জাতি ও উম্মাহর কল্যাণার্থে পরিচালিত আস সুন্নাহ ট্রাস্টের নানামুখী কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু হবে আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর-আস সুন্নাহ মসজিদ কমপ্লেক্স। তাওহিদের শিক্ষা বিস্তার এবং সুন্নাহর আলো ছড়িয়ে দেয়া এই কমপ্লেক্সের অন্যতম লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। মহিলাদের সালাতের ব্যবস্থা, সাধারণ ও মহিলা পাঠাগার তৈরি করা এই কমপ্লেক্সের লক্ষ্য।
সুনির্দিষ্ট কোনো খাতে দান করলে সেটা আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট সে খাতেই ব্যয় করে থাকে। আর সাধারণ তহবিলের অর্থ ট্রাস্ট পরিচালিত সকল কল্যাণমূলক কার্যক্রমের জন্য উন্মুক্ত থাকে এবং আস-সুন্নাহ’র দীনি শিক্ষা গবেষণা, প্রশিক্ষণ, মিডিয়া, মানব সেবা ও দাওয়াহমূলক যাবতীয় উদ্যোগ পরিচালনায় এই খাতের অর্থ ব্যয় করা হয়।
আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর-আস সুন্নাহ ট্রাস্টের নিয়মিত ব্যায় সন্চালনের উৎসের অন্যতম মাধ্যম সদস্য হতে প্রাপ্ত অর্থ। যারা মাসিক নির্ধারিত অর্থ প্রদান করেন। এ অর্থ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর-আস সুন্নাহ ট্রাস্টের শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা, প্রশিক্ষণ, দুস্থ্য মানবতার সেবা ও উন্নয়ন, মিডিয়া-প্রচার ও দাওয়াহ কার্যক্রমসহ সার্বিক উন্নয়নে ব্যবহার করা হয়।
সালাতের মত ফরজ এবাদত যাকাত। যাকাতের উদ্দেশ্য দারিদ্র্য বিমোচন ও সম্পদের পবিত্রকরণ। যাকাত এভাবে দেয়া উচিত, যেভোবে আল্লাহর তায়ালার নির্ধারিত খাতে যাকাত প্রদান করা হয়। যার ফলে সমাজ, জাতি ও বিশ্ব দারিদ্র্যমুক্ত হয়। সমাজের দারিদ্র্য বিমোচনে যাকাতের গুরুত্ব অপরিসীম।
২০১১ ইং (১৪৩২ হি.) থেকে অসহায়, গরীব ও দুস্থ্যদের জন্য যাকাত ভিত্তিক চিকিৎসা প্রকল্প চালু করা হয়। প্রতি সপ্তাহে এম.বি.বি.এস ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মাধ্যমে বিনামূল্যে ব্যবস্থাপত্র এবং ঔষুধ প্রদান করা হয়। এছাড়াও ২০১৩ থেকে হোমিও চিকিৎসা সেবা প্রদান করা শুরু হয়েছে।
আস সুন্নাহ ট্রাস্ট বন্যা সহ অন্যান্য দুর্যোগে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সদা সচেষ্ট। সিলেট, সুনামগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিগত সময়ে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করেছে। দুর্যোগে জরুরী সহযোগতিার কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে এই তহবিলে সকলের সহযোগিতা ও দু্আ একান্ত কাম্য।
একজন এতিমের সার্বিক দায়িত্বভার গ্রহণের মোট খরচ প্রতি মাসে ৬,০০০/(ছয় হাজার) টাকা। কোনো দাতা চাইলে সারা বছরের খরচ একসাথে দিতে পারেন। উল্লেখ্য, দাতাকে তাঁর নির্ধারিত এতিমের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সার্বিক অগ্রগতি ও অবস্থার প্রতিবেদন প্রতি ৬ মাস পরপর লিখিতভাবে জানানো হবে। ইনশাআল্লাহ!
দান-সদকা দুই প্রকার। ১. সাধারণ সদকা। ২. সদকায়ে জারিয়া। দান করলে বিপদাপদ দূর হয়, সম্পদ বৃদ্ধি পায়। দান আল্লাহ তা‘আলার ক্রোধকে নিভিয়ে দেয়। এতিম ও দুস্থ তালিবুল ইলম/শিক্ষার্থীকে ইলম শেখায় সহযোগীতা করা নিঃসন্দেহে সদকায়ে জারিয়ার অন্তর্ভুক্ত। যার সাওয়াব কেয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
ইসলাম শান্তি ও মানবতার ধর্ম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুসলমানদের একটি দেহের ন্যায় বলে আখ্যায়িত করেছেন। কেউ বহুতল ভবনে সাচ্ছন্দ্যে জীবন যাপন করবে আর কেউ গৃহহীন মানবেতর জীবন কাটাবে এটা ইনসাফ ও মানবতার বহির্ভূত। এজন্য আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট গৃহহীন ও দুস্থ-অসহায় মানুষদের পুনর্বাসনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে।