দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপধারণ করেছে। সাধ্যমত দেশের সব শ্রেনী-পেশার মানুষের এখন একসাথে হয়ে বন্যার্ত মানুষের পাশে দাড়ানো উচিত। যাদের দ্বারা স্বশরীরে অবস্থান করা সম্ভব তারা বন্যা কবলিত অঞ্চলে গিয়ে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে মানুষের পাশে দাড়াতে পারেন।
নির্মাণাধীন “আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর আস-সুন্নাহ মাসজিদ কমপ্লেক্সে” পুরুষ ও নারীদের জন্য পৃথক সালাতের ব্যবস্থা, কুরআন শিক্ষা, সর্বসাধারণের জন্য মাসজিদ ভিত্তিক দিনি শিক্ষা ও বিবিধ দা’ওয়াহ কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে একটি আদর্শ মাসজিদ ও যুগের চাহিদা পূরণে নানামূখি কল্যাণমূলক কাজে ভূমিকা রাখছে।
মাসজিদভিত্তিক মক্তব পরিচালনা, শিক্ষা, গবেষণা, প্রশিক্ষণ, শিক্ষা উপকরণ, মাদরাসা বিনির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষন, দাওয়াহসহ বিবিধ সদাকায়ে যারিয়া মূলক কার্যক্রমে আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট এ অর্থ ব্যয় করে থাকে। এই সকল খাতকে সমৃদ্ধ করে কল্যাণমূলক কাজকে গতিশীল করতে আমরা সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।
আগ্রহী দাতাগণের নিমিয়ত অনুদান আস সুন্নাহ ট্রাস্টের শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা, প্রশিক্ষণ, দুস্থ্য মানবতার সেবা ও উন্নয়ন, মিডিয়া-প্রচার ও দাওয়াহ কার্যক্রমসহ সার্বিক ব্যয়ভার বহন করতে চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে।
যাকাতের নির্ধারিত খাত সমূহে-সুন্নাহ ট্রাস্ট এ অর্থ ব্যয় করে থাকে। দুস্থ পুনর্বাসন, বিনামূল্যে দাতব্য চিকিৎসা, এতিম, অসহায়, দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের ব্যয় বহনসহ বিভিন্ন ফলপ্রসূ পদ্ধতিতে যাকাতের অর্থ ব্যয় করা হয়ে থাকে।
২০১১ ইং (১৪৩২ হি.) থেকে অসহায়, গরীব ও দুস্থ্যদের জন্য যাকাত ভিত্তিক চিকিৎসা প্রকল্প চালু করা হয়। প্রতি সপ্তাহে এম.বি.বি.এস ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মাধ্যমে বিনামূল্যে ব্যবস্থাপত্র এবং ঔষুধ প্রদান করা হয়। এছাড়াও ২০১৩ থেকে হোমিও চিকিৎসা সেবা প্রদান করা শুরু হয়েছে।
আস সুন্নাহ ট্রাস্ট বন্যা সহ অন্যান্য দুর্যোগে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সদা সচেষ্ট। সিলেট, সুনামগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিগত সময়ে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করেছে। দুর্যোগে জরুরী সহযোগতিার কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে এই তহবিলে সকলের সহযোগিতা ও দু্আ একান্ত কাম্য।
একজন এতিমের সার্বিক দায়িত্বভার গ্রহণের মোট খরচ প্রতি মাসে ৬,০০০/(ছয় হাজার) টাকা। কোনো দাতা চাইলে সারা বছরের খরচ একসাথে দিতে পারেন। উল্লেখ্য, দাতাকে তাঁর নির্ধারিত এতিমের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সার্বিক অগ্রগতি ও অবস্থার প্রতিবেদন প্রতি ৬ মাস পরপর লিখিতভাবে জানানো হবে। ইনশাআল্লাহ!
দান-সদকা দুই প্রকার, সাধারণ সদকা ও সদকায়ে জারিয়া। দান করলে বিপদাপদ দূর হয়,সম্পদ বৃদ্ধি পায়। দান আল্লাহ তাআলার ক্রোধকে নিভিয়ে দেয়। এতিম দুস্থ শিক্ষার্থীদের ইলম শেখায় সহযোগীতা করা নিঃসন্দেহে সদকায়ে জারিয়ার অন্তর্ভুক্ত। যার সাওয়াব কেয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
ইসলাম শান্তি ও মানবতার ধর্ম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুসলমানদের একটি দেহের ন্যায় বলে আখ্যায়িত করেছেন। কেউ সাচ্ছন্দ্যে জীবন যাপন করবে আর কেউ মানবেতর জীবন কাটাবে এটা ইনসাফ বহির্ভূত। এজন্য আস সুন্নাহ ট্রাস্ট দুস্থ-অসহায় মানুষদের পুনর্বাসনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে।