উপরের বিভ্রান্তিগুলির বিপরীতে আরেকটি বিভ্রান্তি, পোশাকী অনুকরণকে গুরুত্বহীন ভাবা বা পোশাক-পরিচ্ছদ ইত্যাদি ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অনুকরণ অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করা। এ সকল বিষয়ে কোনো ‘সুন্নাত’ নেই বলে দাবি করা। কাফির মুশরিকরা যে পোশাক পরত তিনিও সেই পোশাক পরতেন বলে দাবি করা।

উপরের আলোচনা থেকে

আমরা দেখেছি যে, এ দাবি কুরআন, হাদীস ও সাহাবীগণের শিক্ষার বিরোধী। এখানে নিম্নের বিষয়গুলি বিবেচ্য:

(১) মক্কার কাফিরগণ যেভাবে হজ্জ করতো, কুরবানী করতো, আকীকা করতো বা বিবাহের অনুষ্ঠানাদি করতো, প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার করে বাকি বিষয় ঠিক রেখে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসকল ইবাদত বা অনুষ্ঠান পালন করেছেন, কিন্তু সেজন্য আমরা এসকল ইবাদত বা অনুষ্ঠানাদির ক্ষেত্রে তাঁর অনুসরণ-অনুকরণ ত্যাগ করতে পরি না।

(২) কুরআন ও হাদীসে

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অনুকরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং সেক্ষেত্রে ইবাদত, মু‘আমালাত, পোশাক ইত্যাদির মধ্যে কোনো বিভাজন বা পার্থক্য করা হয়নি। কাজেই এ বিভাজন আমাদের মনগড়া এবং কুরআন ও হাদীসের স্পষ্ট নির্দেশের বিরোধী। মূলত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সকল কর্ম, আদর্শ ও রীতিই অনুকরণীয়। অনুকরণের গুরুত্বের কমবেশি হবে সে বিষয়ে তাঁর নির্দেশনা, শিক্ষা ও গুরুত্ব অনুসারে।

ইবাদত বিষয়ক,

সামাজিক, প্রাকৃতিক বা জাগতিক যে কোনো বিষয়ে তাঁর কর্মের সাথে যদি মৌখিক নির্দেশনা যুক্ত হয় তাহলে নির্দেশনা অনুসারে তার গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়। মনগড়াভাবে তাঁর কোনো কর্ম বা রীতিকে কম গুরুত্বপূর্ণ বা অনুকরণ-অযোগ্য বলে মনে করার মূল কারণ নিজের প্রবৃত্তির অনুকরণের প্রবণতা।

এ সকল বিভাজনের মাধ্যমে এরা বলতে চান যে, আমার কাছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পোশাক, খাদ্য, পারিবারিক জীবন, অর্থনৈতিক নীতি, রাষ্ট্রীয় নীতি বা অন্য কোনো দিক ভাল লাগছে না, এ বিষয়ে অন্যান্য সম্প্রদায়ের রীতিই আমার বেশি পছন্দ। এজন্য আমি সেগুলিকে জাগতিক, আরবীয় বা তৎকালীন বলে উড়িয়ে দিচ্ছি।

(৩) অনুকরণ যুক্তি নির্ভর নয়,

আবেগ ও ভালবাসা নির্ভর। যাকে মানুষ ভালবাসে, ভক্তি করে বা আদর্শ মনে করে তার অযৌক্তিক কর্মকেও অনুকরণ করে। রাজনীতি, ফুটবল, ক্রিকেট ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিভিন্ন ‘তারকা’র চুল, পোশাক ইত্যাদির অনুকরণের ক্ষেত্রে ‘ফ্যান’ বা ভক্তদের অবস্থা দেখেই আমরা তা বুঝতে পারি। একজন মুমিন হৃদয়ের সকল আবেগ ও ভক্তি দিয়ে ভালবাসেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে। কাজেই তিনি সকল যুক্তির ঊর্ধ্বে তাঁর অনুকরণ করবেন সেটাই স্বাভাবিক। বিভিন্ন যুক্তি ও অজুহাত তুলে তাঁর অনুকরণ পরিত্যাগ করার প্রবণতা আমাদের দুর্বল ঈমান ও অপূর্ণ ভালবাসার প্রমাণ।

(৪) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

আরবীয় আবহাওয়ার জন্য বিভিন্ন পোশাক পরতেন বলে পোশাকের ক্ষেত্রে তাঁর অনুকরণ অপ্রয়োজনীয় বলে আমরা দাবি করি। এরপর আমরা নিজেদের দেশীয় বা বাঙালী পোশাক বাদ দিয়ে ‘ইউরোপীয় পোশাক’ পরিধান করি, যদিও ইউরোপীয়দের পোশাকও তাদের দেশীয় আবহাওয়ার ভিত্তিতেই তৈরি। বিষয়টি ইউরোপীয় পোশাকের প্রতি আমাদের ভালবাসা ও ‘আরবীয়’ পোশাকের প্রতি আমাদের ‘ঘৃণা’ প্রমাণ করে।

(৫) মুমিনের সর্বদা চিন্তা করবেন

কিসে আমার ‘সাওয়াব’ বেশি হবে। কিসে গোনাহ হবে না সেই চিন্তা ঈমানের দুর্বলতা প্রকাশ করে। জাগতিক বিষয়ে সামান্য লাভ, অল্প টাকা বা অল্প নাম্বারের জন্য আমরা যেমন ব্যকুলতা প্রকাশ করি ও পরিশ্রম করি, আল্লাহর রহমত, সাওয়াব ও আখিরাতের সম্পদের বিষয়ে মুমিন তার চেয়েও বেশি ব্যকুল ও পরিশ্রমী হবেন। ‘যেহেতু কাজটি মুস্তাহাব, না করলে গোনাহ নেই সেহেতু কাজটি করব না’ এ চিন্তা মুমিনকে ক্রমান্বয়ে বৃহৎ ক্ষতির মধ্যে নিপতিত করে। কাজেই ‘মুস্তাহাব’ অনুকরণও যতটুকু সম্ভব পালন করতে সচেষ্ট হতে হবে।

(৬) অধিকাংশ ক্ষেত্রেই

পোশাকী অনুকরণ বা ‘সুন্নাতী পোশাক’ ব্যবহার নফল-মুস্তাহাব পর্যায়ের কর্ম। যে সকল পোশাক-পরিচ্ছদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পরিধান করেছেন এবং করতে উৎসাহ প্রদান করেছেন কিন্তু পরিধান না করলে বা ব্যতিক্রম করলে গোনাহ হবে বলে জানাননি সেগুলি পরিধান করলে সাওয়াব হবে, না করলে গোনাহ হবে না।

অনুরূপভাবে

যে সকল পোশাক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পরিধান করেছেন কিন্তু পরিধান করতে কোনোরূপ উৎসাহ প্রদান করেননি সেগুলিও কোনো মুসলিম অনুকরণের উদ্দেশ্যে পরিধান করলে তাতে সাওয়াব হবে। তবে তা পরিধান না করলে কোনো গোনাহ হবে না। অধিকাংশ মাসনূন অর্থাৎ সুন্নাতসম্মত বা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ব্যবহৃত পোশাক-পরিচ্ছদই এ পর্যায়ের। এ সকল পোশাক হুবহু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অনুকরণে পরিধান করতে আগ্রহী ছিলেন সাহাবীগণ এবং তৎপরবর্তী সকল যুগের সকল ধার্মিক মুসলিম।

(৭) পোশাকী অনুকরণ

অধিকাংশ সময় ‘মুস্তাহাব’ হলেও যেহেতু তা সর্বদা আমাদের দেহকে ঘিরে রাখে এজন্য সজাগ মুমিনের হৃদয়ে এর প্রভাব অনেক বেশি। অনুকরণ অনুকরণকারীর মনে অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বের প্রতি ভালবাসা, আকর্ষণ ও সম্পর্ক বৃদ্ধি করে। ক্ষুদ্রতম জাগতিক বিষয়েও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অনুকরণ আমাদের হৃদয়ে তাঁর প্রতি ভালবাসা বৃদ্ধি করবে, যা আমাদের ঈমান ও মুক্তির জন্য অতি প্রয়োজনীয়। সর্বদা আমাদেরকে তাঁর সাথে সম্পর্কিত ভাবতে সাহায্য করবে। আমাদের হৃদয়ে অনাবিল আনন্দ ও বরকত বয়ে আনবে।

(৮) ‘পোশাকী অনুকরণ’ নফল বিষয়,

বা নফল-মুস্তাহাব বিষয়ে বাড়াবাড়ি বা চাপাচাপি করতে নেই, এ নীতির ভিত্তিতে অনেক ইসলামী ব্যক্তিত্ব পোশাকী অনুকরণে চাপাচাপি বর্জন করতে গিয়ে উল্টো পোশাকী অনুকরণকে নিরুৎসাহিত করেন। নফল-মুস্তাহাব চাপাচাপির বিষয় নয়, তবে উৎসাহ প্রদানযোগ্য বিষয়। বিশেষত যারা আল্লাহর পথে অগ্রসর হতে চান তাঁদের জন্য তা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ফরয-ওয়াজিবের পাশাপাশি নফল-মুস্তাহাব কর্মের মাধ্যমেই বান্দা আল্লাহর প্রিয় হতে পারে বলে কুরআন ও হাদীসে বারংবার বলা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবীগণের রীতিও তাই।

(৯) সর্বোপরি আমরা

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবীগণের হাদীসের আলোকে জানতে পেরেছি যে, পোশাক-পরিচ্ছদ, পানাহার ইত্যাদি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জাগতিক বিষয়েও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অনুকরণ ও অনুসরণ প্রশংসনীয় এবং সাহাবীগণ এ বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করতেন।

(১০) সকল মুসলিমের পক্ষে

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হুবহু অনুকরণ বা সকল সুন্নাত পালন সম্ভব হয় না তা আমরা সহজেই বুঝতে পারি। উপরন্তু পোশাক-পরিচ্ছদ জাতীয় অধিকাংশ ‘সুন্নাত’ পালন না করলে কোনো গোনাহ হবে না। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কোনো কর্ম, রীতি বা মতামতকে সামান্যতম ঘৃণা, অবজ্ঞা বা অবহেলা করা বা অচল মনে করা নিঃসন্দেহে ঈমান বিরোধী। দুঃখজনকভাবে অনেক ইসলাম-প্রেমিক মানুষও এরূপ ঈমান বিরোধী ধারণায় আক্রান্ত হয়েছেন।

(১১) যাদের বিরোধিতা করতে

বারংবার নির্দেশ দিয়েছেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সে সকল অমুসলিম সম্প্রদায়ের পোশাক-পরিচ্ছদ, রীতি, আচার ইত্যাদি দ্বারা আমরা এমনভাবে পরাজিত, মোহিত ও মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি যে, একমাত্র তাদের চোখেই আমরা দেখি। তাঁদের দৃষ্টি দিয়ে বিচার করি। তারা যাকে স্মার্টনেস বলে মনে করে আমরাও তাকে স্মার্টনেস বলে মনে করি।

পোশাকের ‘উপযোগিতা’ বা ‘গ্রহণযোগ্যতা’ বিচার করার সময় আমরা চিন্তা করি, কুফুরী সংস্কৃতির ধারকেরা অথবা তাদের সামনে সাংস্কৃতিকভাবে পরাজিতরা আমাদের ভালো বলবে, স্মাার্ট বলবে বা প্রশংসা করবে কি-না। আমরা একথা ভাবতে ভুলে যায়, আমাদের পোশাক বা আচার-আচরণ দেখে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কতটুকু খুশি হবেন।

স্মার্টনেস, ব্যক্তিত্ব, সৌন্দর্য ইত্যাদি

বিষয় অনেকাংশেই আপেক্ষিক। জর্জ ওয়াকার বুশ, লালকৃষ্ণ আদভানী বা তাঁদের অনুসারী ও অনুগতদের নিকট যে পুরুষ বা মহিলার পোশাক, স্টাইল বা চালচলন তৃপ্তিদায়ক, সুন্দর ও স্মার্ট বলে বিবেচিত হবে উমার ইবনুল খাত্তাব, আলী ইবনু আবী তালিব, বিলাল ইবনু আবি রাবাহ (রা.) ও তাঁদের অনুসারী ও অনুগতদের নিকট সেগুলি অত্যন্ত বাজে, নোংরা, অসুন্দর ও আপত্তিকর মনে হতে পারে। আবার এর উল্টোটিও বাস্তব।

(১২) অনেক ‘ইসলামপ্রিয়’

মানূষ সুন্নাত-সম্মত পোশাকের প্রতি তাঁদের অপছন্দ বা বিরক্তি গোপন করার জন্য ‘ইসলামী যুক্তি’ ব্যবহার করেন। তাঁরা দাবি করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মত পোশাক পরিধান করলে ইসলামের প্রচার ও প্রতিষ্ঠা ব্যাহত হবে। মানুষ ‘সেকেলে’ ইসলাম গ্রহণ করবে না।

কথাটি একদিকে যেমন বাস্তবতার সম্পূর্ণ বিপরীত, তেমনি তা ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সাংঘর্ষিক। শুধু প্রচারকের ‘ইসলামী পোশাকের’ কারণে কখনোই ইসলামের প্রচার ও প্রতিষ্ঠা ব্যাহত হয়নি, বরং তার ‘ইউরোপীয় পোশাকের’ কারণেই অধিকাংশ সময় প্রচার ও প্রতিষ্ঠা বাধাগ্রস্ত হয়।

সবচেয়ে বড় কথা,

অন্যের ‘ইসলাম গ্রহণের আশা’ বা কল্পনার কারণে কি আমরা আমাদের কোনো নফল-মুস্তাহাব ইবাদত বা আদব পরিত্যাগ করতে পারি? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সাহাবীগণ কি কখনো কাফিরদের সামনে ইসলামকে সহজ করার জন্য বা তাদের ইসলাম গ্রহণের আশায় নিজেদের ক্ষুদ্রতম কোনো নফল-মুস্তাহাব কর্ম বা আদব-রীতি পরিত্যাগ করেছেন?

আমরা কখনোই মনে করি না যে, সবাইকে নফল, মুস্তাহাব বা হুবহু অনুকরণ করতে হবে। পোশাকের বিষয়টি অনেক প্রশস্ত। তবে রাসূলুল্লাহ -এর হুবহু অনুকরণ বা নফল-মুস্তাহাব অনুকরণ অপ্রয়োজনীয়, অচল, নিন্দনীয় বা ইসলামের জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করার প্রবণতা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও বিভ্রান্তিকর।

এ কথা ঠিক যে

অনেক পোশাকই সমাজে বিদ্যমান যেগুলি পরলে গোনাহ হবে না। তবে মুমিন জীবনের সকল কর্মেই ‘গোনাহ হবে কি না’ তা চিন্তা করার চেয়ে বেশি চিন্তা করার দরকার ‘সাওয়াব হবে কি না’ বা ‘কত বেশি সাওয়াব হবে।’ যে পোশাক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পরেছেন তা পরিধান করলে তাঁর হুবহু অনুকরণের সাওয়াব ও তাঁর মহব্বত আমরা অর্জন করব।

আর যে পোশাক পরতে তিনি উৎসাহ দিয়েছেন বা ভালবেসেছেন তা পরিধান করলে আরো বেশি সাওয়াব আমরা লাভ করব। আর এ সাওয়াব অর্জন করতে আমাদেরকে অযূ, গোসল, তাসবীহ, যিক্র, সময়ব্যয়, অর্থব্যয় ইত্যাদি কোনো অতিরিক্ত কষ্ট করতে হচ্ছে না। কোনো না কোনো পোশাক তো আমাকে পরতেই হবে। কাজেই আমি কেন এ সুযোগ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করব? কিসের মোহে? কী লাভ হবে আমার দুনিয়া বা আখিরাতে?

মুমিন চেষ্টা করবেন সকল যুক্তির ঊর্ধ্বে তাঁর প্রিয়তমের হুবহু অনুকরণ করার। কোনো কারণে তা করতে না পারলে তাঁর হৃদয়ে আফসোস থাকবে এবং যারা তা করতে পারবেন তাঁদের প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধাবোধ ও ভালবাসা তিনি অনুভব করবেন। তাঁদেরকে এ দিক থেকে তাঁর নিজের চেয়ে অগ্রসর ও উত্তম বলে অনুভব করবেন। মহান আল্লাহ আমাদের হৃদয়গুলিকে তাঁর প্রিয়তম রাসূলে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ভালবাসায় পূর্ণ করে দিন। আমীন!

ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ

বই: পোশাক পর্দা ও দেহ-সজ্জা

পরিচ্ছন্নতা ও পবিত্রতা, আল্লাহর পথের পথিকদের পাপ, হাদীসের বিশুদ্ধতা যাচাই: রাসূলুল্লাহ (সা.) এর নির্দেশ ও সাহাবীগণের, মীলাদুন্নবী (সা.)