আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 5888

পোশাক-পর্দা

প্রকাশকাল: 14 মার্চ 2022

প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। শায়েখ! আমার একটি পর্দার পোষাকের পেইজ আছে। ২০২০ সালে রোড এক্সিডেন্ট এ আমার বাবা মারা যান। আমি ওই সালেরই প্রথম দিকে আল্লাহর রহমতে ইসলাম এর দিকে ধাবিত হই এবং আমার বাবা মারা যাওয়ার পরে আমার ফ্যামিলিও ইসলাম এর দিকে আসে। আমার বাবা মারা যাওয়ায় আমাদের কোনো উপার্জনের সোর্স ছিলনা। আমার কোনো মাহরামও নেই। আমার বড় চাচা আমার বাবার লাশটা অব্দি দেখতে আসেন নি এবং এই দুই বছরে কোনো খোজও নেন নি। যাই হোক আমার বাবার একটি বাসা আছে যেখান থেকে আমরা মাসে ২০-২৫০০০ টাকা পাই যা আমাদের চলার জন্য যথেষ্ট না। বাবা মারা যাবার পড় থেকেই আমি আল্লাহর নিকট মন প্রাণ দিয়ে দুয়া করেছি আল্লাহ আমাদের হালাল রিযিক এর ব্যবস্থা করুন। সেই উসীলায় আমি এই বোরকা নিকাব এর ব্যবসায়ের সন্ধান পাই। আমার পেইজে সবই কালো রং এর বোরকা আছে, এরপর কফি কালার অলিভ কালার এমন বোরকা,আর কালার বোরকার ক্ষেত্রে দেওয়ালে ঝুলিয়ে ছবি দিই। আর নিকাব বোরকা গুলোর আমি নিজে পরিধান করে ছবি গেয়ে না ভূলেও। সর্বোচ্চ মেইনটেইন করে। মাসে ৪ টা বুস্ট চলে, ভিডিও বুস্ট করতে হয় তাই নিকাব এর টিউটোরিয়াল দিই কালো কালার, একদম কালো আমার হাত ঢাকা থাকে চোখ বেশি স্পষ্ট থাকেনা। ভ্রু ঢাকা। (আমার পেইজে এসে দীনের দাওয়াহ এর নামে খুব বাজে ভাবে বোনেরা হামলা করে এবং যা তা কথা শুনায়) আমি হারাম ব্যবসা করি ইত্যাদি বলে বলে। আমি একজন হেদায়েত প্রাপ্তা আল্লাহর এর রহমতে হেদায়েত পেয়েছি। আমার এই পেইজ থেকে মাসে ২০০০০ বা কখনো ১২-১৩ হাজার টাকা উপার্জন হয় যা দিয়ে আমার পরিবার এর বাজার খরচ নিজের খরচ চালাই। আমি জানতে চাই পেইজে আমার বিজনেস এর তাড়নায় নিকাব কালো বোরকা এগুলোর একদম সর্বোচ্চ মেইনটেন করে ছবি বা ভিডিও দেওয়া জায়েজ হবে কি না? 

উত্তর

ওয়া আলাইকুমুস সালাম। যারা আপনার প্রতি খারাপ ব্যবহার করে তারা কাজটা ভাল করেন না। খারাপ ব্যবহার করে কাউকে ভালো করা যায় না। আপনি যেভাবে ভিডিও আপলোড করছেন তাকে না জায়েজ বলা যাবে না। আর এই ব্যবসা তো পুরোপুরি জায়েজ। তবে আপনার শরীরের ভিডিও না দিয়ে শুধু বোরকা বা নেকাবে বা যা কিছুর ব্যবসা করছেন সেটা দিলে সবচেয়ে উত্তম হয়। সামাজিক অবক্ষয়ের এই যুগে এভাবে ভিডিও ফেসবুকের দেয়ার কারণে আপনার ফিৎনার মধ্যে পড়ে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা থেকে যায়, কারণ শয়তান সব সময় মানুষের পিছনে লেগেই আছে। আল্লাহ আপনাকে দ্বীনের উপর অটল রাখুন।