আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 29

নফল নামায

প্রকাশকাল: 27 ফেব্রু. 2006

প্রশ্ন

(তাহিয়্যাতুল মাসজিদ) মসজিদে প্রবেশ করার পর যদি দুই রাকাত তাহিয়্যাতুল মাসজিদ পড়ার প্রয়োজনীয় সময় না পাওয়া যায় তাহলে মুসুল্লি জামাতের অপেক্ষায় দাড়িয়ে থাকবে নাকি বসে থাকবে। বসে থাকা নাকি মাকরুহ। আবার কেউ কেই বলেন, ইমাম সাহেব দাড়ানোর আগে দাড়িয়ে থাকা আদবের খেলাফ। উত্তম পন্থা কোনটি । হাদীসের আলোকে জানতে চাই।

উত্তর

মসজিদে প্রবেশ করে বসার আগে দুই রাকাত নামাজ পড়া একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত। আবু কাতাদা রাঃ থেকে বর্ণীত একটি হাদীসে এসেছে, রাসূল সাঃ বলেন: إِذَا دَخَلَ أَحَدُكُمْ الْمَسْجِدَ فَلَا يَجْلِسْ حَتَّى يُصَلِّيَ رَكْعَتَيْنِ অর্থঃ তোমাদের কেউ যখনই মসজিদে প্রবেশ করবে সে যেন দুই রাকাত নামাজ পড়া বসে না পড়ে । বুখারী, আস সহীহ, কিতাব, আস সালাত, বাব,ইজা দাখালাল মাসজিদা। উক্ত হাদীসের ভিত্তিতে ইমাম নববী রহঃ বলেন: أجمع العلماء على استحباب تحية المسجد ، ويكره أن يجلس من غير تحية بلا عذر؛ لحديث أبي قتادة المصرح بالنهي অর্থঃ এব্যাপারে উলামায়ে কেরাম একমত যে, তাহিয়্যাতুল মসজিদ (মসজিদে ঢুকে দুই রাকাত নামাজ পড়া) মুস্তাহাব এবং কোন কারন ছাড়া নামাজ না পড়ে বসে পড়া মাকরুহ। মাজমু খন্ড ৩, র্পষ্ঠা ৫৫৪। অতএব এ নামাজের ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়া উচিৎ। শুধু নামাজের আগে নয় বরং যখনই আমরা মসজিদে প্রবেশ করব তখনই দুই নামাজ পড়ে বসব । সময় যদি কম থাকে ফরয,ওয়াজীব, সুন্নাতে মুয়াক্কাদা ঠিক রেখে নামাজ শেষ করব। প্রথম রাকাতে থাকা অবস্থায় ইক্বামত শুরু হয়ে গেলে নামাজ ছেড়ে দিয়ে জামাতে শরীক হবো। সর্বঅবস্থায় হাদীসের অনুস্বরণ করার চেষ্টা করব। তবে যদি একান্তই নামায পড়ার সুযোগ না থাকে তাহলে বসার তুলনায় দাড়িয়ে অপেক্ষা করাই উত্তম। কারন না বসে দাড়িয়ে অপেক্ষা করাটা হাদীসের সাথে বেশি সামঞ্জস্য। এক্ষেত্রে হাদীসের ব্যাক্ষা না করে ফুক্বাহায়ে কেরামের কথার ব্যাক্ষা করে বলব, দাড়িয়ে অনর্থক হাটা চলা করা বা কোন কারন ছাড়া এদিকে সেদিকে তাকিয়ে থাকাকে তাঁরা মাকরুহ বা আদবের খেলাফ বলেছেন। আল্লাহ আমাদেরকে বুঝে শুনে আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন।