আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

সাম্প্রতিক সংবাদ

তাঁর আনুগত্য ও অনুসরণই নাজাতের ওসীলা

অনেক আয়াতে ইরশাদ করা হয়েছে যে,

তাঁর অনুসরণ ও আনুগত্যই নাজাতের, রহমতের ও ক্ষমার একমাত্র ওসীলা। ইরশাদ করা হয়েছে:
﴾قُلْ إِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّونَ اللهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمْ اللهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَاللهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ ৩১ قُلْ أَطِيعُوا اللهَ وَالرَّسُولَ فَإِنْ تَوَلَّوْا فَإِنَّ اللهَ لا يُحِبُّ الْكَافِرِينَ ৩২﴿

“বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর। যাতে আল্লাহ তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু। বলুন, আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য প্রকাশ কর। বস্তুত যদি তারা বিমুখতা অবলম্বন করে। তাহলে আল্লাহ কাফেরদিগকে ভালবাসেন না।”1সূরা (৩) আলে-ইমরান: ৩১, ৩২ আয়াত।

﴾وَأَطِيعُوا اللهَ وَالرَّسُولَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ﴿

“আর তোমরা আনুগত্য কর

আল্লাহ ও রাসূলের, যাতে তোমাদেরকে রহমত করা হয়।”2সূরা (৩) আলে-ইমরান: ১৩২ আয়াত।

﴾وَمَنْ يُطِعْ اللهَ وَرَسُولَهُ يُدْخِلْهُ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا وَذَلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ﴿
“যে কেউ আল্লাহ ও রাসূলের আদেশমতো চলে। তিনি তাকে জান্নাতসমূহে প্রবেশ করাবেন। যেগুলোর তলদেশ দিয়ে স্রোতস্বিনী প্রবাহিত হবে। তারা সেখানে চিরকাল থাকবে। এ হলো বিরাট সাফল্য।”3সূরা (৪) নিসা: ১৩ আয়াত।

﴾يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُوْلِي الأَمْرِ مِنْكُمْ فَإِنْ تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللهِ وَالرَّسُولِ إِنْ كُنتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ﴿

“হে ঈমানদারগণ!

মান্য কর নির্দেশ আল্লাহর, মান্য কর নির্দেশ রাসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা ক্ষমতার অধিকারী বা হুকুমদাতা তাদের। তারপর যদি তোমরা কোনো বিষয়ে বিবাদে প্রবৃত্ত হয়ে পড়, তবে তা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নিকট উপস্থাপন কর, যদি তোমরা আল্লাহ ও কিয়ামত দিবসের উপর বিশ্বাসী হয়ে থাক।”4সূরা (৪) নিসা: ৫৯ আয়াত।

﴾فَلا وَرَبِّكَ لا يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لا يَجِدُوا فِي أَنفُسِهِمْ حَرَجًا مِمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوا تَسْلِيمًا﴿

“অনন্তর, তোমার প্রভুর কসম।

কখনই তারা ঈমানদার হবে না। যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে বিচারক হিসাবে গ্রহণ করবে। অতঃপর তোমার মীমাংসার ব্যাপারে তাদের মনে কোনো রকম সংকীর্ণতা অনুভব করবে না এবং তা সন্তুষ্টচিত্তে কবুল করে নেবে।”5সূরা (৪) নিসা: ৬৫ আয়াত।

﴾وَمَنْ يُطِعْ اللهَ وَالرَّسُولَ فَأُوْلَئِكَ مَعَ الَّذِينَ أَنْعَمَ اللهُ عَلَيْهِمْ مِنْ النَّبِيِّينَ وَالصِّدِّيقِينَ وَالشُّهَدَاءِ وَالصَّالِحِينَ وَحَسُنَ أُوْلَئِكَ رَفِيقًا﴿
“আর যে কেউ আল্লাহর হুকুম এবং তাঁর রাসূলের হুকুম মান্য করবে। তাহলে যাঁদের প্রতি আল্লাহ নি‘আমত দান করেছেন। সে তাঁদের সঙ্গী হবে। তাঁরা হলেন নবী, ছিদ্দীক, শহীদ ও সৎকর্মশীল ব্যক্তিবর্গ। আর তাদের সান্নিধ্যই হল উত্তম।”((সূরা (৪) নিসা: ৬৯ আয়াত।))

﴾يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللهَ وَرَسُولَهُ وَلَا تَوَلَّوْا عَنْهُ وَأَنْتُمْ تَسْمَعُونَ﴿
“হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নির্দেশ মান্য কর। এবং শোনার পর তা থেকে বিমুখ হয়ো না।”6সূরা (৮) আনফান: ২০ আয়াত।

﴾وَمَنْ يُطِعْ اللهَ وَرَسُولَهُ وَيَخْشَ اللهَ وَيَتَّقِيهِ فَأُوْلَئِكَ هُمْ الْفَائِزُونَ﴿

“যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে।

আল্লাহকে ভয় করে ও তাঁর শাস্তি থেকে বেঁচে থাকে তারাই কৃতকার্য।”7সূরা (২৪) নূর: ৫২ আয়াত

﴾قُلْ أَطِيعُوا اللهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ فَإِنْ تَوَلَّوا فَإِنَّمَا عَلَيْهِ مَا حُمِّلَ وَعَلَيْكُمْ مَا حُمِّلْتُمْ وَإِنْ تُطِيعُوهُ تَهْتَدُوا وَمَا عَلَى الرَّسُولِ إِلَّا الْبَلاغُ الْمُبِين﴿
“বলুন, আল্লাহর আনুগত্য কর। এবং রাসূলের আনুগত্য কর। অতঃপর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও। তবে তাঁর উপর ন্যস্ত দায়িত্বের জন্যে তিনি দায়ী। এবং তোমাদের উপর ন্যস্ত দায়িত্বের জন্যে তোমরা দায়ী। তোমরা যদি তাঁর আনুগত্য কর। তবে সঠিক পথ পাবে। রাসূলের দায়িত্ব তো কেবল সুস্পষ্টরূপে পৌঁছে দেয়া।”8সূরা (২৪) নূর: ৫২ আয়াত

ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহ.
বই: এহ্ইয়াউস সুনান, পৃ. ৫৭-৫৯।

ইসলামী আকীদার উৎস ও ভিত্তি ওহীর ইলম, কেন আমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নির্দেশ অমান্য করব?, সিয়াম, ইফতার, পানাহার ও মেহমান সম্পর্কিত কিছু দু‘আ, কুফর বনাম তাকফীর, জীবিত ব্যক্তির ওসীলা দিয়ে দোয়া করার বিধান

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
আপনার ইমেইল
Print

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.