অপরদিকে রাসূলুল্লাহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আনুগত্য ও তাঁর সুন্নাতের অনুসরণ না করা। মু’মিনের চরমতম ক্ষতি ও সকল আমল বরবাদ হওয়ার কারণ। ইরশাদ হচ্ছে:
﴾يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَلَا تُبْطِلُوا أَعْمَالَكُمْ﴿
“হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর, রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আনুগত্য কর। এবং (তাঁদের আনুগত্য থেকে বিমুখ হয়ে) নিজেদের কর্ম বিনষ্ট করো না।”1সূরা (৪৭) মুহাম্মদ: ৩৩ আয়াত

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কর্মের সামান্যতম ব্যতিক্রম, বা তাঁর চেয়ে বেশি কিছু করাও ধ্বংসের কারণ। এক আয়াতে ইরশাদ করা হয়েছে:
﴾يا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لا تُقَدِّمُوا بَيْنَ يَدَيْ اللهِ وَرَسُولِهِ وَاتَّقُوا اللهَ إِنَّ اللهَ سَمِيعٌ عَلِيمٌ﴿
“হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সামনে এগিয়ে যেও না এবং আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ সককিছু শোনেন এবং সবকিছু জানেন।”2সূরা (৪৯) হুজরাত: ১ আয়াত

সকল দ্বিধা,

যুক্তি, তর্ক বা ন্যূনতম বিরোধিতার ঊর্ধ্বে থেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সকল শিক্ষা। বিধিনিষেধ বা এককথায় তাঁর ‘সুন্নাত’ গ্রহণ করাই হলো মুমিনের দায়িত্ব:
﴾وَمَا آتَاكُمْ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا وَاتَّقُوا اللهَ إِنَّ اللهَ شَدِيدُ الْعِقَاب﴿
“রাসূল তোমাদেরকে যা দেন। তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন। তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা।”3সূরা (৫৯) হাশর: ৭ আয়াত

অন্য আয়াতে

মুমিনদেরকে এই শাস্তি ও ধ্বংস থেকে আত্মরক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ করা হয়েছে:
﴾وَأَطِيعُوا اللهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَاحْذَرُوا فَإِنْ تَوَلَّيْتُمْ فَاعْلَمُوا أَنَّمَا عَلَى رَسُولِنَا الْبَلاغُ الْمُبِينُ﴿
“তোমরা আল্লাহর অনুগত হও, রাসূলের অনুগত হও এবং সাবধান থাক। আর যদি তোমরা বিমুখ হও, তবে জেনে রাখ। আমার রাসূলের দায়িত্ব শুধু প্রকাশ্য প্রচার বৈ নয়।”4সূরা (৫) মায়েদা: ৯২ আয়াত

﴾فَلْيَحْذَرْ الَّذِينَ يُخَالِفُونَ عَنْ أَمْرِهِ أَنْ تُصِيبَهُمْ فِتْنَةٌ أَوْ يُصِيبَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ﴿
“যারা তাঁর আদেশের বা কর্মের খিলাফ (ব্যতিক্রম) করে তারা সতর্ক হোক। যে, তাদের উপর আপতিত হবে বিপর্যয় অথবা তাদের উপর আপতিত হবে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।”5সূরা (২৪) নূর: ৬৩ আয়াত

বই: এহ্ইয়াউস সুনান, পৃ. ৬০-৬২।