As-Sunnah Trust

প্রশ্নোত্তর

প্রশ্নোত্তর 6612
আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।  কেউ যদি জীবনের বহু বছর নামাজ না পড়ে এবং পরবর্তীতে তাওবা করে নামাজী হয়, তবে তাকে কি ঐ সকল নামাজ কাযা পড়তে হবে? আর তার বদলে কি তার সন্তান কাযা সম্পূর্ণ করতে পারবে। তাছাড়া শুনেছি ইচ্ছাকৃত নামাজ ত্যাগ করা কুফর, এক্ষেত্রে এ কাজ কেউ করলে

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 6612

প্রশ্ন

আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।  কেউ যদি জীবনের বহু বছর নামাজ না পড়ে এবং পরবর্তীতে তাওবা করে নামাজী হয়, তবে তাকে কি ঐ সকল নামাজ কাযা পড়তে হবে? আর তার বদলে কি তার সন্তান কাযা সম্পূর্ণ করতে পারবে। তাছাড়া শুনেছি ইচ্ছাকৃত নামাজ ত্যাগ করা কুফর, এক্ষেত্রে এ কাজ কেউ করলে সে কি আর মুসলিম থাকে না? সেসময় কি সে অ-মুসলিম বিবেচিত হবে?

উত্তর

রাসূলুল্লাহ সা. এর যুগে কোন মুসলমান ইচ্ছাকৃত ভাবে কোন নামাযই কাজা করেন নি সুতরাং ইচ্ছাকৃত ভাবে বছর বছর নামায কাজা করলে কী করতে হবে সে বিষয়ে সহীহ হাদীসে পাওয়া যায় না।  অধিকাংশ আলেমের অভিমত  হলো বহুদিন ধরে ইচ্ছাকৃত নমায ছেড়ে দিলে (যাকে অনেকেই উমরি কাজা বলে) উক্ত নামায কাযা আদায় করতে হবে। তা সে যত ওয়াক্তই হোক না কেন। যিনি নামায ছেড়েছেন তাকে কাযা করতে হবে, তার সন্তান কাযা করবে না।  আর আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে, যেন তিনি ক্ষমা করে দেন। যারা কুরআন-সুন্নাহতে বিশ্বাস করে, নামায ফরজ হওয়াকে মেনে নেয় তারা যদি ইচ্ছা করে নামায ছেড়ে দেয়, তাহলে অ-মুসলিম হবে না ইনশআল্লাহ। তবে নামায ছাড়ার কারণে কবীরা গুনাহ হবে। আলফিকহুল ইসলামিয়্যু ও আদিল্লাতুহু, ২/৩১৩