আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 5688

সুদ-ঘুষ

প্রকাশকাল: 26 আগস্ট 2021

প্রশ্ন

আস-সালামু আলাইকুম, আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি, কুরআন তেলাওয়াত করি, হাদীস বুখারী ও মুসলিম শরীফ পড়ি। আমি বাংলাদেশ পুলিশে কনস্টেবল পদে আছি। আগে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে ছিলাম সেখানে কোনো ঘুষ ছিলো না। বেতন পাইতাম সেটা দিয়েই চলতাম। এখন আমার পোস্টিং কক্সবাজার জেলায় একটি থানায়। আমি কোনো প্রকার ঘুষ খাই না। আমার সঙ্গীয়রা ঘুষ নিলেও আমি তা থেকে কোনো প্রকার ভাগ নেই না। প্রশ্ন হচ্ছে মাঝে মাঝে তদন্ত মোবাইল ডিউটিতে গেলে এলাকার মানুষ ঠান্ডা বা নাস্তা করায় এবং চেয়ারম্যানরা জুস বিস্কুট বা পানীয় জাতীয় খাবার দেয় এগুলো কি খেতে পারবো তবে কোনো প্রকার টাকা আমি নেই না। বিপদ আমার এখানে নামাজ আদায় করি মাঝে মাঝে সঙ্গীয়দের হাদিস নিয়ে আলোচনা করলে বা ঘুষ খাওয়া হারাম বললে তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে। পুলিশের সর্বনিম্ম স্তর কনস্টেবল যেখানে থেকে কিছু বললে অফিসার এবং সঙ্গীদের শত্রুতে পরিণত হয় এবং চাকরিও যাইতে পারে। কনস্টেবল চাকরি নিতে জমি বিক্রি করে ১২ লক্ষ টাকা দেয় এখন চাকরি ছেড়ে দিলে বা চলে গেলে আমার পরিবার কেমনে চালাবো। মাটির বাসা ছাড়া আমার আর কিছু নেই দেনাও আছে ৫ লক্ষ টাকা। বেতনের টাকা হলেই আমার সংসার চলে। প্রায় ৮ বছর আমার বাবা মাকে তালাক দিয়ে বিয়ে করছেন। আমিসহ মা ও ছোট ভাই নানার বাসায় থাকি, নানাও মারা গেছেন ৪ বছর হলো। নানি মা ছোট ভাই আমার বেতনের উপর চলে। এমন অবস্থায় আমার করণীয় কি আমাক একটা পরামর্শ দিবেন প্রিয় শায়েখ।

উত্তর

ওয়া আলাইকুমুস সালাম। আপনি ইসলামী বিধান অনুযায়ী চলবেন। যতটুকু সম্ভব মানুষকে ভালে কথা বলবেন। বিপদ হওয়ার আশঙ্কা থাকলে কোন কথা বলার দরকার নেই। আপনি ঘুষ নিবেন না। ঘুষ হারাম, এটা তাদেরকে বলার দরকার নেই। অন্যদের নিয়ে চিন্তা করার একদম দরকার নেই, শুধু নিজে ভাল থাকার চেষ্টা করবেন। ঐসব বিপদগামী সঙ্গিদের নিয়ে কুরআন-হাদীসের আলোচনাও দরকার নেই।