আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 5433

ব্যক্তিগত ও পারিবারিক

প্রকাশকাল: 14 ডিসে. 2020

প্রশ্ন

আমার বাবা ১৯৯৩ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। তিনি অত্যন্ত ধর্মভীরু ছিলেন। আমার বাবা যখনই জমি কিনেছেন তা ছেলে – মেয়েদের নামে কিনেছেন। তিনি ব্যবসা করে সংসার চালাতেন। আমাদের বড় ভাইকে নিজ খরচে সৌদি আরবে পাঠিয়েছেন। ঢাকার মিরপুরে যখন জমি কিনেন তখন বড়ভাইয়ের কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়েছিলেন। সে জমি তিনি আমার ৩ ভাইয়ের নামে দলিল করেন। তখন মেঝ ও ছোট ভাই পড়ালেখা করতো। তারপর তিনি মেয়েদের নামে সাভারে কম দামে কিছু জমি কিনেছেন। এই জমির পজিশন ভালো নয় তাই বোনেরা এতে অসন্তুষ্ট। আমার বাবা গ্রামের বাড়ির জমিও ভাইদের নামেই কিনেছেন। বাবার নিজ নামে গ্রামের বাড়িতে খুবই সামান্য পরিমাণ জমি আছে। আর মায়ের নামে কিছুই নেই। আমার মা সম্পুর্ণভাবে ভাইদের উপর নির্ভরশীল। এজন্য আমার মা মাঝে মধ্যে দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন। আমার ভাইদের ধারণা বাবা যে বন্টন করে গেছেন তা সম্পূর্ণ ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিক হয়েছে। কিন্তু বোনেরা মনে করে জমির মূল্যের দিক থেকে আকাশ- পাতাল পার্থক্য রয়েছে। কারণ ভাইদের নামের জমির মূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা আর বোনদের জমির মূল্য মাত্র ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা আমার প্রশ্ন হলো, আমার মা যদি তার প্রাপ্য অংশের জন্য বাবাকে মাফ করে দেন তাহলে কী তার ওয়ারিশরা বঞ্চিত হবেন না? আর মাফ করলেই কি মাফ হবে? আর বোনেরা মনে করেন জমির মূল্যের পরিমাপ হিসাব করলে তাদেরকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এজন্যে কি বাবা গুনাহগার হবেন? ভাইয়েরা কি এর জন্য কোনভাবেই দায়ী হবেন না? এজন্য এখন কি করলে সবার জন্যই ভালো হবে?

উত্তর

আপনার বাবা ইনসাফ করে যান নি। এই জন্য তার গুনাহ হওয়ার সম্ভাবনা আছে, তিনি শাস্তির সম্মুখীন হতে পারেন। তবে আপনারা যদি আপনাদের সকল সম্পদ ভাইবোন- মা তথা সকল ওয়ারিশদের মাঝে ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী বন্টন করেন তাহলে আশা করি আপনার আব্বা মাফ পেয়ে যাবেন। সম্পদের মূল্য অনুযায়ী মা মোট সম্পদের ৮ ভাগের একভাগ এবং বোনরা ভাইদের অর্ধেক পাবেন, এভাবে ভাগ করবেন। যদিও আপনার পিতার কাজের জন্য আপনারা গুনাহগার হবেন না, কিন্তু আদর্শ সন্তান হিসেবে আপনাদের পিতা কিয়ামতের দিন প্রশ্ন-শাস্তির সম্মুখীন হোক, নিশ্চয় এটা আপনারা চান না।