আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 450

অর্থনৈতিক

প্রকাশকাল: 24 এপ্রিল 2007

প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ, আমার এক রক্ত সম্পর্কীয় আত্নীয় হযরত উসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু নিয়ে বাজে ধারনা পোষণ করেন। তাকে জীবিত অবস্থায় ১০ জন সাহাবীর (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম) জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্তির হাদীসটি দেখিয়ে সতর্ক করলে তিনি এই হাদীসের ব্যাপারে আমার মনে সংশয় সৃষ্টির চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে বুখারী ও মুসলিমে উসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে জান্নাতী হিসেবে যে সব হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো তার সামনে পেশ করি। তখন তিনি দাবী করেন হাদীস হচ্ছে শুধুমাত্র কুরআনের ব্যাখ্যা, কুরআনের ব্যাখ্যা দেয়া ছাড়াও নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জীবনে অসংখ্য কথা বলেছেন, অসংখ্য কাজ করেছেন। এগুলো হাদীসের অন্তর্গত নয়। তিনি বলেন উসমানকে (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) জান্নাতী হিসেবে ঘোষনা করা আল্লাহর কোনো মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হয়ে থাকতে পারে। যেমন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রুমা কূপ খননের জন্য উসমানকে (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) অনুরোধ করলে তিনি তা রাখেননি। কিন্তু পরবর্তীতে যখন এই কুপ খননকারীর জান্নাত প্রাপ্তির ঘোষনা দেন তখন উসমান (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) কুপ খনন করে দেন। পরিশেষে তিনি এই কথা বলেন যে যদি উসমান জান্নাতে যায় তাহলে জাহান্নামে যাওয়ার মত মানুষ থাকবে না আমার প্রশ্ন হচ্ছে, এই ব্যাক্তির সাথে রক্ত সম্পর্কীয় আত্নীয়তা, সামাজিক ও অন্যান্য সম্পর্ক রক্ষার ব্যাপারে কি করণীয়? তার সাথে আমি কিরূপ আচরণ করবো? দয়া করে বিস্তারিত জানাবেন। আসসালামু আলাইকুম, জাঝাকুমুল্লাহু খাইরান।

উত্তর

ওয়া আলাইকুুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। আপনার আত্মীয়কে প্রশ্ন করুন, তিনি কুরআন বিশ্বাস করেন কি না? তিনি কি কুরআনকে অধিক নির্ভরযোগ্য মনে করেন না ইতিহাসকে? মহান আল্লাহ কুরআন কারীমে বলেছেন: وَالسَّابِقُونَ الأَوَّلُونَ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالأَنصَارِ وَالَّذِينَ اتَّبَعُوهُم بِإِحْسَانٍ رَّضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُواْ عَنْهُ وَأَعَدَّ لَهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي تَحْتَهَا الأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا ذَلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ প্রথম অগ্রগামী মুহাজিরগণ ও আনসারগণ, এবং যারা তাদের সুন্দরভাবে অনুসরণ করেছে আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট এবং আল্লাহ তাদের জন্য প্রস্তুত করেছেন জান্নাত…। (সূরা তাওবা: ১০০ আয়াত) কুরআনের এ আয়াতটি নিশ্চিত করে যে, খাদিজা, আলী, আবূ বকর, উসমান, যুবাইর ইবনুল আওয়াম ও অন্যান্য সকল মুহাজির সাহাবী যারা প্রথম অগ্রগামী হিসেবে ইসলাম গ্রহণ করেন তাঁদের উপর আল্লাহ সন্তুষ্ট এবং তাঁদের জন্য আল্লাহ জান্নাত প্রস্তুত করে রেখেছেন। কুরআনের এ সাক্ষ্যর পরেও যে ব্যক্তি তার জান্নাতী হওয়ায় সন্দেহ পোষণ করেন তিনি মূলত কুরআনের বাণীকেই বিশ্বাস করেন না। যারা বিশ্বাস করেন যে, আলী বংশের একজন ইমাম বা পীরের সাহচর্যে যেয়ে একজন মানুষ এক দিনেই বড় বুজুর্গ হয়ে যেতে পারে, অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে দীর্গ ২৩ বৎসর জীবন কাটিয়েও সাহাবীগণ ঈমান শিখতে পারেন নি তিনি মূলত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকেই অবমাননা করেন। শীয়া মতবাদ অনুসারে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যর্থ নবী ছিলেন মুহাম্মাদ (সা.)! নাউযু বিল্লাহ! তিনি দীর্ঘ ২৩ বছর জীবনপাত করেও মাত্র এক ডজনের বেশি মানুষকে ঈমান শেখাতে পারেন নি। উসমান (রা) বা অন্যান্য সাহাবীদের বিরুদ্ধে বর্ণিত ঘটনাবলি সবই তাঁদের মৃত্যুর প্রায় ১৫০/২০০ বছর পরে জনশ্রুতি নির্ভর ঐতিহাসিক বর্ণনার মাধ্যমে লিপিবদ্ধ। প্রায় সকল বর্ণনায় শীয়া ঐতিহাসিকদের বর্ণনা বা সংকলন। নিম্নের বিষয়গুলো লক্ষ্য করুন: নিম্নের বিষয়গুলো লক্ষ্য করুন: রাসূলুল্লাহ সা.-এর পরিজন ও বংশধরের প্রতি এ ভালবাসা ও ভক্তি কখনোই তাঁর সহচর ও সাহাবীগণের প্রতি ভালবাসার সাথে সাংঘর্ষিক নয়। কিন্তু শীয়াগণ পরিবার ও বংশধরের ভালবাসার নামে সাহাবীগণের প্রতি বিদ্বেষ, ঘৃণা ও কুৎসা রটনায় লিপ্ত হয় এবং সাহাবীগণের প্রতি বিদ্বেষকে ঈমানের অংশ বানিয়ে নেয়। তারা ইহূদীদের ষড়যন্ত্রে বিভ্রান্ত হয়ে সাহাবীগণকে ইসলামের শত্র বলে গণ্য করে। তারা নবী-পরিবারের ভালবাসাকে সাহাবীগণের ভালবাসার পরিপন্থী বলে গণ্য করে। এ বিষয়ে অগণিত মিথ্যা তারা প্রচার করে। গত কয়েক শতাব্দী যাবত পাশ্চাত্য-প্রাচ্যবিদগণও সাহাবীগণের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেন। এ সকল প্রচারের একটিই উদ্দেশ্য: ইসলামের মর্মমূলে আঘাত করা ও ইসলামের সৌধকে ভেঙ্গে ফেলা। সাহাবীগণের সততা প্রশ্নবিদ্ধ হলে ইসলামের সত্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়; কারণ কেবলমাত্র তাঁদের মাধ্যমেই ইসলাম প্রচারিত হয়েছে। সাহাবীগণের সততায় অবিশ্বাস করার অর্থ রাসূলুল্লাহ সা.-এর নবুওয়ত অবিশ্বাস করা। যারা মনে করেন যে, অধিকাংশ সাহাবী স্বার্থপর, অবিশ্বাসী বা ধর্মত্যাগী ছিলেন, তাঁরা নিঃসন্দেহে মনে করেন যে, মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সা. একজন ব্যর্থ নবী ছিলেন (নাঊযূ বিল্লাহ!)। লক্ষ মানুষের সমাজে অজ্ঞাত অখ্যাত দু-চার জন মুনাফিক থাকা কোনো অসম্ভব বিষয় নয়। কিন্তু সুপরিচিত সাহাবীগণের সততায় সন্দেহ পোষণ করলে রাসূলুল্লাহ সা.-এর ব্যর্থতার দাবি করা হয়। একজন ধর্ম প্রচারক যদি নিজের সহচরদের হৃদয়গুলিকে ধার্মিক বানাতে না পারেন, তবে তিনি কিভাবে অন্যদেরকে ধার্মিক বানাবেন! তাঁর আদর্শ শুনে, ব্যবহারিকভাবে বাস্তবায়িত দেখে ও তাঁর সাহচর্যে থেকেও যদি মানুষ সততা অর্জন করতে না পারে, তবে শুধু সে আদর্শ শুনে পরবর্তী মানুষদের সততা অর্জনের কল্পনা বাতুলতা মাত্র। আজ যিনি মনে করেন যে, কুরআন পড়ে তিনি সততা শিখেছেন, অথচ মুহাম্মাদ সা.-এর কাছে কুরাআন পড়ে, জীবন্ত কুরআনের সাহচর্যে থেকেও আবূ বকর, উমার, উসমান, আবূ হুরাইরা, আমর ইবনুল আস, মুআবিয়া, আবূ মূসা আশআরী রা. বা অন্য কোনো সাহাবী সততা শিখতে পারেন নি, তিনি মূলত মুহাম্মাদ সা.-এর নবুওয়তকেই অস্বীকার করেন। শীয়াগণ কাউকে দেবতা ও কাউকে দানব বানিয়েছেন। দুটি বিষয়ই মানবীয় প্রকৃতির সাথে সাংঘর্ষিক। মানবীয় দুর্বলতার সাথে সততার কোনো বৈপরীত্য নেই। সাহাবীগণ মানুষ ছিলেন; মানবীয় দুর্বলতার ঊর্ধ্বে ছিলেন না। মানবতার সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষকের সাহচর্যে মানুষের মধ্যে সর্বোচ্চ সততা ও বেলায়াত তাঁরা অর্জন করেছিলেন। কোনো স্কুলের সফলতা যেমন ছাত্রদের পাশের হারের উপর নির্ভর করে, তেমনি ধর্মপ্রচারকের সফলতা নির্ভর করে তাঁর সাহচর্য-প্রাপ্তদের ধার্মিকতার উপর। কাজেই নুবুওয়াতে বিশ্বাসের অনির্বার্য দাবি সাহাবীগণের সততায় বিশ্বাস। আর এ বিশ্বাসই নিশ্চিত করেছে কুরআন ও হাদীস। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করছি: (১) কুরআনে বারবার সাহাবীগণের প্রশংসা করা হয়েছে, তাঁদের ধার্মিকতার সাক্ষ্য দেওয়া হয়েছে এবং তাঁদেরকে জান্নাতের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে।মক্কা বিজয়ের পূর্বের ও পরের সকল সাহাবীকে জান্œাতের সুসংবাদ প্রদান করে আল্লাহ বলেন: لا يَسْتَوِي مِنْكُمْ مَنْ أَنْفَقَ مِنْ قَبْلِ الْفَتْحِ وَقَاتَلَ أُولَئِكَ أَعْظَمُ دَرَجَةً مِنَ الَّذِينَ أَنْفَقُوا مِنْ بَعْدُ وَقَاتَلُوا وَكُلا وَعَدَ اللَّهُ الْحُسْنَى وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ তোমাদের মধ্যে যারা (মক্কা) বিজয়ের পূর্বে ব্যয় করেছে এবং সংগ্রাম করেছে তারা এবং পরবর্তীরা সমান নয়; তারা মর্যাদায় শ্রেষ্ঠ তাদের চেয়ে যারা পরবর্তীকালে ব্যয় করেছে এবং সংগ্রাম করেছে। তবে আল্লাহ উভয়কেই কল্যাণের (জান্নাতের) প্রতিশ্রতি দিয়েছেন।সূরা (৫৭) হাদীদ: ১০ আয়াত। রাসূলুল্লাহসা.এর সকল সাহাবীর ঢালাও প্রশংসা করে ও তাঁদের ধার্মিকতা, সততা ও বিশ্বস্ততার ঘোষণা দিয়ে মহান আল্লাহ বলেন: وَلَكِنَّ اللَّهَ حَبَّبَ إِلَيْكُمْ الإِيمَانَ وَزَيَّنَهُ فِي قُلُوبِكُمْ وَكَرَّهَ إِلَيْكُمْ الْكُفْرَ وَالْفُسُوقَ وَالْعِصْيَانَ أُوْلَئِكَ هُمْ الرَّاشِدُونَ কিন্তু আল্লাহ তোমাদের নিকট ঈমানকে প্রিয় করেছেন এবং তাকে তোমাদের হৃদয়গ্রাহী করেছেন। তিনি কুফ্র, পাপ ও অবাধ্যতাকে তোমাদের নিকট অপ্রিয় করেছেন। তারাই সৎপথ অবলম্বনকারী। সূরা (৪৯) হুজুরাত, ৭ আয়াত। সাহাবীগণের মধ্যে মতভেদ হয়েছে এবং কখনো কখনো যুদ্ধবিগ্রহ হয়েছে। ভুল বুঝাবুঝি, সামাজিক প্রেক্ষাপট, ষড়যন্ত্র ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে দুজন সৎ ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তির মধ্যে বিরোধ, মামলা বা যুদ্ধ হতে পারে। শুধু যুদ্ধ বা বিরোধের কারণে কাউকে অপরাধী বলা যায় না। যুদ্ধবিগ্রহ ঐতিহাসিক সত্য। তবে সেগুলিতে কার কি ভূমিকা ছিল সে বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। এ বিষয়ক ইতিহাস লেখা হয়েছে ঘটনার প্রায় ২০০ বৎসর পর শীয়া মতবাদ প্রভাবিত আব্বাসী শাসনামলে শীয়াগণের বর্ণনার উপর নির্ভর করে। কুরআন ও হাদীস সাহাবীগণের মর্যাদা ও সততা নিশ্চিত করেছে। এ সকল যুদ্ধবিগ্রহের অযুহাতে তাঁদের কারো নামে কুৎসা রটনা বা বিদ্বেষ পোষণ করার অর্থ কুরআন ও হাদীসের অগণিত নির্দেশনা জনশ্রতির কারণে বাতিল করে দেওয়া। কোনো কোর্টে যদি কোনো দলের নেতৃস্থানীয় কাউকে অপরাধী বলে রায় দেওয়া হয় তবে সে দলের অনুসারীরা রায়কে মিথ্যা বলবেন কিন্তু নেতার সততায় বিশ্বাস হারাবেন না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ অতি-সাম্প্রতিক বিষয়। তারপরও সকলেই শুধু ইতিহাস বিকৃতির কথা বলেন। ঐতিহাসিকরা যদি কোনো নেতার অপরাধের অনেক তথ্য পেশ করেন তবুও তার অনুসারীরা সে তথ্য বিশ্বাস করবেন না। তাহলে মুমিন কিভাবে রাসূলুল্লাহ সা.-এর সহচরদের বিষয়ে কুরআন প্রমাণিত সততার সাক্ষ্যের বিপরীতে ইতিহাসের বর্ণনার উপর নির্ভর করবেন? আমরা শুধু এতটুকুই বলব যে, যুদ্ধ বিগ্রহ ঘটেছে, কিন্তু কার কী ভূমিকা তা আমরা এতদিন পরে ইতিহাসের বর্ণনার উপর নির্ভর করে নির্ধারণ করতে পারব না। তবে কুরআন ও হাদীসের বর্ণনার উপর নির্ভর করে আমরা তাঁদের পরিপূর্ণ সততা ও বেলায়াতে বিশ্বাস করি। আমরা মনে করি যে, তাঁদের যুদ্ধ-বিগ্রহ ইত্যাদি ভুল বুঝাবুঝি ও ইজতিহাদী মতপার্থক্যের কারণেই ঘটেছে। এতে তাঁদের তাকওয়া ও বেলায়াত (আল্লাহর ওলী হওয়ার মর্যাদা) ক্ষতিগ্রস্থ হয় নি। আরেকটি বিষয় দেখুন, যদি ইহূদীদেরকে প্রশ্ন করা হয়: শ্রেষ্ঠ মানুষ কারা? তারা একবাক্যে বলবেন: আমাদের নবী মূসার (আ) সহচরগণ। যদি খৃস্টানদেরকে প্রশ্ন করা হয়: শ্রেষ্ঠ মানুষ কারা? তারা একবাক্যে বলবেন: আমাদের নবী ঈসার (আ) হাওয়ারী-সহচরগণ। আর যদি শীয়াদেরকে প্রশ্ন করা হয় নিকৃষ্ট-ঘৃণ্যতম মানুষ কারা? তবে তারা একবাক্যে বলবেন: আমাদের নবী মুহাম্মাদ সা.এর সহচরগণ!! শীয়াদেরকে প্রশ্ন করুন: সবচেয়ে ভাল মানুষ কারা? তারা বলবেন: আলী (রা)-এর সাথীগণ। তাদেরকে প্রশ্ন করুন: সবচেয়ে খারাপ মানুষ কারা? তারা একবাক্যে বলবেন: মুহাম্মাদ সা.-এর সাথীগণ!! কাউকে ভালবাসার অতি স্বাভাবিক প্রকাশ তার সাথে জড়িত সকলকে ভালবাসা ও সম্মান করা। এমনকি তাদের কোনো অপরাধ প্রমাণিত হলেও অজুহাত খুঁজে তা বাতিল করতে চেষ্টা করা। কারণ প্রিয়তমের সাথীদেরকে খারাপ কল্পনা করতে মন মানে না। আর কারো সঙ্গীসাথীকে সর্বোচ্চ ঘৃণা করার সুনিশ্চিত অর্থ ঐ ব্যক্তির প্রতি ভালবাসা না থাকা। কাজেই মুহাম্মাদ সা.-এর সাথীদেরকে পথভ্রষ্ট প্রমাণ করা ও তাঁদেরকে ঘৃণা করা যাদের ধর্মের মূল ভিত্তি তাঁদের থেকে মুহাম্মাদ সা.-এর হাদীস বা দীন শিক্ষা করা কি সম্ভব? যদি তিনি তার অবস্থান থেকে ফিরে না আসেন তাহলে তাকে সামাজিকভাবে বয়কট করুন। তার সাথে উঠা-বসা লেনদেন বন্ধ করুন।