As-Sunnah Trust

প্রশ্নোত্তর

প্রশ্নোত্তর 230
মুহতারামঃ আসসালামু আলাইকুম। আমার প্রশ্নঃ আমার জিবনের অনেক ওয়াক্ত সালত কাজা হয়ে গিয়েছে যার কোন হিসাব নেই। আমি কি ভাবে তা আদাই করব? বেশি বেশি নফল পরে না কি উমরি কাজার আদায় করে? উমরি কাজার বিসয়ে কি সহিহ হাদিস আছে? আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান কারুন। আমিন।

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 230

প্রশ্ন

মুহতারামঃ আসসালামু আলাইকুম। আমার প্রশ্নঃ আমার জিবনের অনেক ওয়াক্ত সালত কাজা হয়ে গিয়েছে যার কোন হিসাব নেই। আমি কি ভাবে তা আদাই করব? বেশি বেশি নফল পরে না কি উমরি কাজার আদায় করে? উমরি কাজার বিসয়ে কি সহিহ হাদিস আছে? আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান কারুন। আমিন।

উত্তর

ওয়া আলাইকুমুস সালাম। রাসূলুল্লাহ সা. এর যুগে কোন মুসলমান ইচ্ছাকৃত ভাবে কোন নামাযই কাজা করেন নি সুতরাং ইচ্ছাকৃত ভাবে বছর বছর নামায কাজা করলে কি করতে হবে সে বিষয়ে সহীহ হাদীসে পাওয়া যাবে না। অধিকাংশ আলেমের অভিমত হলো বহুদিন ধরে ইচ্ছাকৃত নমায ছেড়ে দিলে (যাকে অনেকেই উমরি কাজা বলে) উক্ত নামায আদায় করতে হবে। তা সে যত ওয়াক্তই হোক না কেন। আর আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে, যেন তিনি ক্ষমা করে দেন। তবে কোন কোন আলেম বলেছেন,উমরি কাজা করা লাগবে না, আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে, মাফ চাইতে হবে। সর্বাবস্থায় যথাসম্ভভ শুধু ফরয সালাতগুলো কাযা আদায় করা উচিত। সাধ্যের মধ্যে কাযা আদায় করার পাশাপাশি বেশি বেশি নফল সালাত আদায় করতে হবে এবং তাওবা ইসতিগফার করতে হবে। দলীল এবং ইমাম ও ফকীহদের মতামত বিস্তারতি জানতে দেখুন, আলফিকহুল ইসলামিয়্যতুল কুয়েতিয়্যাহ, ৩৪/২৬; আলফিকহুল ইসলামিয়্যু ও আদিল্লাতুহু, ২/৩০১; আদদুররিল মুযিয়্যাহ শারহু দুররিল বাহিয়্যাহ, ১/১০৮; আল ফিকহ্ আলা মাজাহিবিল আরবা, ১/৭৫৭।