আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

সাম্প্রতিক সংবাদ

সর্বদা দু‘আ করা

মানব প্রকৃতির একটি বিশেষ দিক আনন্দের সময়ে আল্লাহকে ভুলে থাকা। কিন্তু বিপদে পড়লে বেশি বেশি দু‘আ করা। নিঃসন্দেহে এ আচরণ মহান প্রতিপালকের প্রকৃত দাসত্বের অনুভূতির সাথে সাংঘর্ষিক।

কুরআনে বিভিন্ন স্থানে

এ স্বভাবের নিন্দা করা হয়েছে। এক স্থানে আল্লাহ বলেন:
﴾وَإِذَا أَنْعَمْنَا عَلَى الإِنْسَانِ أَعْرَضَ وَنَأَى بِجَانِبِهِ وَإِذَا مَسَّهُ الشَّرُّ فَذُو دُعَاءٍ عَرِيضٍ﴿
“যখন আমি মানুষকে নি‘আমত প্রদান করি। তখন সে মুখ ফিরিয়ে নেয় ও দূরে সরে যায়। আর যখন কোনো অমঙ্গল বা কষ্ট তাকে স্পর্শ করে তখন সে লম্বা চওড়া দু‘আ করে।”1সূরা (৪১) ফুসসিলাত: ৫১।

মুমিনের উচিত সকল

অবস্থায় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা। নিয়ামতের মধ্যে থাকলে তার স্থায়িত্ব প্রার্থনা করা ও সকল অকল্যাণ থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া। কোনো অসুবিধা থাকলে তার কাছে আশ্রয় ও মুক্তি চাওয়া। এটা মুমিনের চরিত্র। মুমিনের অন্তর এভাবে শান্তি পায়। আর এরূপ অন্তরের দু‘আই আল্লাহ কবুল করেন। আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:

مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَسْتَجِيبَ اللهُ لَهُ عِنْدَ الشَّدَائِدِ وَالْكَرْبِ فَلْيُكْثِرْ الدُّعَاءَ فِي الرَّخَاءِ
“যে ব্যক্তি চায় যে কঠিন বিপদ ও যন্ত্রণা-দুর্দশার সময় আল্লাহ তার প্রার্থনায় সাড়া দিবেন। সে যেন সুখ-শান্তির ও স্বচ্ছলতার সময় বেশি বেশি আল্লাহর কাছে দু‘আ করে।” হাদীসটি সহীহ2তিরমিযী (৪৯-কিতাবুদ দা‘ওয়াত, বাব… দা‘ওয়াতাল মুসলিমি…) ৫/৪৩১ (৪৬২), নং ৩৩৮২ (ভা ২/১৭৫); মুসতাদরাক হাকিম ১/৭২৯।

বই: রাহে বেলায়াত
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহ.।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
আপনার ইমেইল
Print

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.