জানার অভাব কয়েক রকম। একটা হল, না জানা। আরেকটা হল, ভুল জানা। না জানার চেয়ে ভুল জানা আরও মারাত্মক। আমরা যখন নতুন নতুন হুযুর হলাম, অর্থাৎ দাখিল পরীক্ষার আগে এবং পরে। এই সময়গুলোতে আমরা সব সময় মানুষদেরকে মসজিদে আনার ব্যাপারে খুব আগ্রহ করতাম। আমি ব্যক্তিগতভাবে ছেলেদের নামায শেখাতাম, মুরব্বিদের নামায শেখাতাম। নামাযের সূরা ফাতিহা, তাশাহহুদ ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো শেখাতাম। যারা পূর্বে কিছুই শেখে নি, তারা এক সপ্তাহে সূরা ফাতিহা মুখস্থ করে ফেলত। কিন্তু যারা পূর্বে গায়রে সহীহ ভাবে কুরআন শিখেছিল, তাদের কিরাআত সহীহ করা কঠিন হয়ে পড়ল। আমাদের গ্রামে একজন মুরব্বি ছিলেন, তাকে যখন সূরা ফাতিহা নিয়ে ধরলাম, বড় কঠিন ব্যাপার! উনি যে সূরা ফাতিহা মুখস্থ করেছেন, সে একটা অদ্ভুত ফাতিহা। আমরা কয়েক মাস ধরেও কিছুই করতে পারলাম না। উনি তার ছোটবেলায় যা যা মুখস্থ করেছেন, কোনোটাই সহীহ না। কিন্তু তার মুখস্থকৃত সূরাগুলোকে যে সহীহ করে দেব, সেটাও আর হল না।
এজন্য ভুল শেখাটা না শেখার চেয়েও মারাত্মক। আপনি কিছুই জানেন না, অতি সহজে শিখতে পারবেন। কিন্তু ভুল মুখস্থ করে আছেন, একবার অভ্যাস হয়ে গেছে, এটাকে সংশোধন করা বেশ কঠিন

ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহ.।