সাদকায়ে জারিয়ার মাধ্যমে মানুষ মৃত্যুর পরেও কবরে থেকে সওয়াব লাভ করতে থাকে। আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘মানুষ মৃত্যুবরণ করলে- তার যাবতীয় আমল বন্ধ হয়ে যায়, তবে ৩টি আমল বন্ধ হয় না; ১. সাদকায়ে জারিয়া। ২. এমন জ্ঞান-যার দ্বারা উপকৃত হওয়া যায়। ৩. এমন নেক সন্তান- যে তার জন্য দোয়া করে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৪৩১০)
এক কথায় বলা যায়, সাদকায়ে জারিয়া হলো- আখিরাতের জন্য ইনভেস্ট পুঁজি। যার বেনিফিট ও লাভ মৃত্যুর পরেও একজন মানুষের আমলনায় জমা হতেই থাকে। সুতরাং মৃত্যুর আগে যথাসম্ভব প্রত্যেকের কিছু সাদকায়ে জারিয়ার কাজ করার চেষ্টা করে যাওয়া উচিত। কিন্তু কথা হলো- সাদকায়ে জারিয়া কাদের দেওয়া যাবে? এর উত্তর হলো- সাদকায়ে জারিয়া (প্রবহমান/স্থায়ী দান) হলো- এমন দান, যা থেকে দীর্ঘস্থায়ী ভাবে মানুষ উপকৃত হয়।

বর্তমান সাদকায়ের চলমান খাতসমূহ

১. মসজিদ ও মাদরাসা নির্মাণ।

২. দাতব্য চিকিৎসালয়।

৩. দাওয়াত ও তাবলীগ : দা’ওয়াত, আদেশ – নিষেধ, দীন প্রতিষ্ঠা বা নসীহতের এই দায়িত্বই উম্মাতে মুহাম্মাদীর অন্যতম দায়িত্ব ও বৈশিষ্ট্য।

৪. ইসলামি লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা বা তাতে বই-পুস্তক কিনে দেওয়া।

৫. ইসলাম সম্পর্কে বই-পুস্তক লেখা।

৬. ইন্টারনেট বা বিনামূল্যে বই-পুস্তক ও দ্বীন শিক্ষার উপকরণ বিতরণের মাধ্যমে ইসলাম প্রচার করা।

৭. এতিম, গরীব অসহায় তালিবুল ইলম (দ্বীন শিক্ষার্থী) এর লেখাপড়ার পৃষ্ঠপোষকতা করা এবং তার বই-পুস্তক এর ব্যবস্থা করে দেয়া।

৮. কুরআন শিক্ষা দেয়া বা কুরআন দান করা।

৯. এতিম, দুঃস্থ ও অসহায় লোকদের জন্য ঘরবাড়ি তৈরি করা।

১০. গরিব অথবা সর্ব সাধারণের পানি পানের উদ্দেশ্য টিউবওয়েল স্থাপন।

১১. রক্তদানের মাধ্যমে মানুষের জীবন রক্ষা করা।