মুমিন যেমন নিজের জন্য আল্লাহর ক্ষমা ভিক্ষা করবেন, তেমনি মুসলিম উম্মাহর সকল সদস্যের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন। বিশেষত নিজের পিতামাতা, আত্মীয়, বন্ধু ও পূর্ববর্তী মুসলিমগণের জন্য। কুরআনে আল্লাহ বলেছেন, পরবর্তী যুগের মুসলিম প্রজন্মরা বলে:

رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلإِخْوَانِنَا الَّذِينَ سَبَقُونَا بِالإِيمَانِ وَلَا تَجْعَلْ فِي قُلُوبِنَا غِلاًّ لِلَّذِينَ آَمَنُوا رَبَّنَا إِنَّكَ رَءُوفٌ رَحِيمٌ

“হে আমাদের প্রভু, আপনি আমাদেরকে ক্ষমা করুন এবং ঈমানের ক্ষেত্রে অগ্রণী আমাদের ভাইদেরকে ক্ষমা করুন। আর আপনি আমাদের অন্তরে মুমিনগণের বিরুদ্ধে কোনো হিংসা, বিদ্বেষ বা অমঙ্গলের ইচ্ছা রাখবেন না। হে আমাদের প্রভু, নিশ্চয় আপনি মহাকরুণাময় ও পরম দয়ালু।”1সূরা (৫৯) হাশর: ১০ আয়াত।

এভাবে সকল মুসলিমের জন্য ক্ষমা ভিক্ষা করা ফিরিশতা ও নবীগণের সুন্নাত। কুরআন কারীমে এ ধরনের অনেক দু‘আ উল্লেখ করা হয়েছে। পিতামাতার জন্য ইস্তিগফারের ফযীলতে একাধিক হাদীস বর্ণিত হয়েছে। একটি সহীহ হাদীসে আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:

إِنَّ الرَّجُلَ لَتُرْفَعُ دَرَجَتُهُ فِي الْجَنَّةِ فَيَقُولُ أَنَّى هَذَا فَيُقَالُ بِاسْتِغْفَارِ وَلَدِكَ لَكَ

“জান্নাতে কোনো কোনো ব্যক্তির মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে। তখন সে বলবে: কীভাবে আমার মর্যাদা বৃদ্ধি পেল? তখন তাকে বলা হবে, তোমার সন্তান তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছে, এজন্য তোমার মর্যাদা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।”2ইবন মাজাহ, (৩৩-কিতাবুল আদব, ১-বাব র্বিরিল ওয়ালিদাইন) ২/১২০৭, নং ৩৬৬০ (ভা ২/২৬০); বূসীরী, মিসবাহুয যুজাজাহ ৪/৯৮, হাইসামী, মাজমাউয যাওয়াইদ ১০/২১০। হাদীসটি সহীহ।

বই : রাহে বেলায়াত

ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ।