অশ্লীলতা শুধু ব্যক্তির ক্ষতি করে না। এটা পুরো সমাজ ও জাতিকে ধ্বংস করে। মানবসভ্যতাকে ধ্বংস করে। আল্লাহ তাআলা আমাদের ভেতরে যে নারী—পুরুষের প্রতি আকর্ষণ দিয়েছেন। এটা বাঁধ ভাঙ্গা। মানুষ এই আকর্ষণে বিবাহ করে। পরিবার গঠন করে। নতুন প্রজন্মের মানুষ জন্ম পায়। এভাবেই মানবসভ্যতা টিকে আছে। বিশ্বের প্রতিটি প্রাণি প্রাণি হয়ে জন্মে। মানুষ মানুষ হয়ে জন্মে না। মানুষকে জন্মের পরে পিতা—মাতার স্নেহ এবং শিক্ষা ও মূল্যবোধ দিয়ে মানুষ বানাতে হয়।

মানুষ যদি অশ্লীলতায় নেমে যায়। তবে তার ভয়াবহতা সুদূরপ্রসারী। যারা অশ্লীলতায় নামে তারা পরিবার গঠন করতে পারে না। পরিবার গঠন করলেও পরিবার টেকে না। অশ্লীলতা যে সমাজে বাড়বে সেই সমাজে পরিবার গঠন নষ্ট হয়ে যাবে। আমেরিকায় ১৯৮০ সালে প্রায় ৮০% মানুষ পরিবার গঠন করত। ২০০০ সালে প্রায় ৪০% মানুষ পরিবার বিহীন। ২০১৫ এর পরিসংখ্যানে দেখবেন। প্রায় অর্ধেক মানুষ সেখানে পরিবার বিহীন। কারণ, মানুষ যখন অশ্লীলতায় পশুর মতো পথেঘাটে প্রকাশ্য অশ্লীলতায় লিপ্ত হয়। তখন সে পশুর থেকেও নীচে নেমে যায়। অথচ পশুরাও কিন্তু ব্যভিচার করে না। পশুরা প্রজননের প্রয়োজন ছাড়া ব্যভিচার (পড়ঢ়ঁষধঃব) করে না, ধর্ষণ করে না, খুন করে না। পশুরা পশুদের নিয়ম—নীতি মেনে চলে।

যখন ব্যাপকভাবে অশ্লীলতার দরজা খুলে দেয়া হয়। তখন মানবসভ্যতা দ্রুত ধ্বংস হয়ে যায়। মানুষ পরিবার গঠন করতে পারে না। পরিবারের ছেলে—মেয়েরা পিতা—মাতার স্নেহ পায় না। পিতা—মাতা অবাধ যৌন—জীবনের পরে যখন বিবাহ করে। তখন ওই আগের অশ্লীলতাই ভালো লাগে। কারণ ওখানে কোনো দায়ভার ছিল না। এজন্য তাদের পরিবার টেকে না। পরিবার ভেঙ্গে যায়, পরিবারে ঝগড়া হয়। ছেলে—মেয়েরা পিতা—মাতার সঠিক স্নেহ, মায়া—মমতা পায় না। তাদের ভেতরে মানবীয় মূল্যবোধ গড়ে ওঠে না। এইজন্য সকল আসমানি ধর্ম অশ্লীলতাকে নিষেধ করেছে। কাজেই অশ্লীলতার দরজা খুলে দিলে মানবসভ্যতা দ্রুত ধ্বংসের দিকে যায়।

অশ্লীলতা প্রতিরোধে আমাদের করণীয়, না জানার চেয়ে ভুল জানা বেশি ক্ষতিকর