আমরা ইতঃপূর্বে দেখেছি যে, আবৃতব্য গুপ্তাঙ্গকে (private parts) ইসলামী পরিভাষায় ‘আউরাত’ বা ‘সতর’ বলা হয়। বস্তুত দেহের কতটুকু অংশ গুপ্তাঙ্গ (private parts) বলে বিবেচিত হওয়া উচিত সে বিষয়ে মানবীয় যুক্তি, বিবেক বা জ্ঞানের মাধ্যমে কোনো সঠিক বা ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্তে পৌছানো সম্ভব নয়। অসংখ্য বিবেকবান, বুদ্ধিমান ও জ্ঞানী মানুষ মানব দেহ পুরোপুরি অনাবৃত রাখাকেই যুক্তি, বুদ্ধি ও বিবেকের আলোকে সঠিক বলে মনে করেন। মানুষের দেহের কোনো অংশ আবৃতব্য বা private parts বলে তাঁরা স্বীকার করেন না। আবার অনেকেই মানব দেহ পুরোপুরি আবৃত করাই সঠিক বলে দাবি করেন। অন্য অনেকে কিছু অংশ আবৃতব্য গুপ্তাঙ্গ ও কিছু অংশ প্রদর্শনযোগ্য বলে বিশ্বাস করেন। আর যেহেতু মানবীয় বুদ্ধি-বিবেক এক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সক্ষম নয়, সেহেতু আমাদেরকে এ বিষয়ে ওহী বা আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রত্যাদেশ (Divine revelation)-এর উপর নির্ভর করা ছাড়া গতি নেই।

এ বিষয়ে ইসলাম-গ্রহণকারী জাপানী মহিলা খাওলা নিকীতা লিখেছেন: “Why hide the body in its natural state? you may ask… How you can answer to a nudist if she asks you why you hide your busts and hips although they are as natural as your hands and face? It is the same for the hijab of a Muslima. We consider all our body except hands and face as private parts because Allah defined it like this…”1A View Through Hijab, by Sister Khaula from Japan, 10/25/1993, Published in Riyadh by Dr. Saleh Al-Saleh, p 63.

ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ, বই: পোশাক, পর্দা ও দেহ-সজ্জা, পৃ. ২৫৯।