As-Sunnah Trust

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর

আস-সালামু আলাইকুম। কবরে গেলে মানুষ লুঙ্গিতে গিট দেয়। এটা ইসলামি শরিয়া সম্মত নাকি কুসংস্কার? জানালে উপকৃত হতাম।
বড় বোন যদি বেপর্দায় চলে আমি কি তার জন্য কেয়ামতের দিন প্রশ্নমুখী/সাজাপ্রাপ্ত হবো? বোন বয়সে বড় হওয়ায় আমার শাসন মানেনা/করতে পারিনা কঠোর ভাবে।
শরিকে কোরবানীতে সবার টাকার বিশুদ্ধতা যাচাই করা তো সম্ভব নয় এক্ষেত্রে করণীয় কি? জাযাকাল্লাহ খাইরান
আস-সালামু আলাইকুম। মৃত বাবা মার আখিরাতে লাভের জন্য সন্তানের করনিয় আমল কি কি? এবং কবর জিয়ারতের সময় কি কি আমল করা মাইয়াতের জন্য সবচেয়ে লাভজনক?
আস-সালামু আলাইকুম…আমি আমার এক আত্মীয়ের বাসায় কিছু দিনের জন্য গিয়ে ওখানে নিকাব পরেই থাকছিলাম যেহেতু সেখানে আমার গায়রে মাহরাম উপস্থিত ছিলেন। গায়রে মাহরামদের সাথেও কম কথা বলছিলাম (নিকাব পরেই)। আমাকে তখন বলা হয়েছে যে, কুরআনে হিজাব পরতে বলা হয়েছে, কোনো পরপুরুষের সাথে সে আকর্ষিত হয় এরকম কণ্ঠে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে এবং এরকম করে হিজাব পরে প্রায় সব কাজই করা যায়।তাই এভাবে নিকাব পরে থাকাটা বাড়াবাড়ি। আমি কি তাহলে ভুল করে বাড়াবাড়ি করে ফেলেছি? আর এর জন্য কি আমি গুনাহগার হবো?
মুন্সিগন্জের গজারিয়ায় চাকরির কারনে থাকি। একটি মাদ্রাসায নামাজ পড়ি। মাদ্রাসার ছাত্র আর হুজুররাসহ মিলাদ কিযাম করে। আমি বাইরে বসে থাকি। আমার প্রশ্ন হলো কিযাম করা এটা সুন্নাত নাকি? কিযাম করা যদি হাদিস সম্মত না হয তাহলে তাদের ইমামতিতে নামাজ হবে কি?
বর্তমানে বাসা বাড়িতে টিকটিকির উপদ্রব অনেক বেশি। টিকটিকির উপদ্রব থেকে বাঁচার কোন উপায় ও নেই। যেখানে সেখানে যেকোন সময় টিকটিকির বিষ্টা পাওয়া যায়। আমার প্রশ্ন হচ্ছে বিছানা বালিশে বা কাপড়ে টিকটিকির বিষ্টা লাগলে কাপড়টা কি নাপাক হয়ে যাবে? পুরোটা কি পানি দিয়ে পরিষ্কার করা বাধ্যতামূলক?
আস-সালামু আলাইকুম, আমার বাড়ি পটিয়া, চট্টগ্রামে, আমি বেসরকারি চাকরি করি, সাপ্তাহে দু দিন ছুটি পায়, কুরআন কারীম শুদ্ধভাবে তেলওয়াত শিখার জন্য পটিয়ায় আপনাদের পরিচালিত কোন প্রতিষ্ঠান আছে কিনা জানতে চাই। কাওমী মাদ্রাসা গুলোতে ছুটির দিনে কুরআন শিক্ষার সুযোগ আছে কিনা? যদি না থাকে সেক্ষেত্রে আপনাদের উদ্যোগ গ্রহণ করে আমারা যারা চাকরিজীবী আছি আমাদের জন্য কুরআন শিক্ষার ব্যাবস্হা করার অনুরোধ রইল
আস-সালামু আলাইকুম আমার প্রশ্ন হলো আমি মেয়েদের পোশাক অনলাইনে বিক্রি করতে চাই। কিন্তু মডেলিং এর পোশাক পরা ছবি পোস্টে করতে হয় এটা কি জায়েজ হবে?
তাকের উপর কোরআন শরীফ রাখা ছিল আমি খেয়াল করিনি রাগের মাথায় তাক ধাক্কা দেয়ায় তাকসহ কোরআন শরীফ নিচে পড়ে যায়। এখন আমি কি করতে পারি?
আস-সালামু আলাইকুম, জাকাতের জন্য বাংলাদেশে সরকার প্রদত্ত গর্ভাবস্থা ভাতা এবং শিশু যত্ন ভাতা দিয়ে কীভাবে এগিয়ে যেতে হবে তা জানা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে, 1) আমার স্ত্রীর সোনার অলঙ্কার আছে, 2) একটি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশে তার ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স আছে, 3) তিনি তার এবং সন্তানের জন্য শুধুমাত্র ‘ফল খাওয়ার’ জন্য 30000.00+ টাকা ভাতা পান। (এই ভাতা তিনি একবারে পাননি; এটি মাসিক ভিত্তিতে।) কিন্তু আমি “ফল ক্রয়ের খরচ” বহন করি এবং সে তার ব্যাংকে ভাতার টাকা জমা করে। প্রশ্নঃ তিনি সরকারের কাছ থেকে যে ‘সঞ্চয়কৃত অর্থ’ পেয়েছেন তার জন্য আমাদের কি জাকাহ দিতে হবে? যদি হ্যাঁ হয়, কিভাবে এবং কখন?
আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আমি জানতে চাচ্ছি (১) কোন ব্যক্তি যদি আত্মহত্যা করে তাহলে তার জানাজা পড়া জায়েজ কিনা? বা কিভাবে পড়বো। (২) আত্মহত্যাকারী ওই ব্যক্তি কতদিন পর্যন্ত জাহান্নামে থাকবে, নাকি সে কোনদিনও মুক্তি বা জান্নাতে যেতে পারবে না?
আস-সালামু আলাইকুম। যদি কেউ সকালে এমন সময় ঘুম থেকে উঠে যে সে উযূ করে আসতে আসতে সূর্যদয় শুরু হয় অর্থাৎ সালাতের নিষিদ্ধ সময় শুরু হয়ে যায় তাহলে কি সে ঐ সময়েই ফজরের সালাত আদায় করবে নাকি সালাতের নিষিদ্ধ সময় শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে তারপর তা কাযা আদায় করবে?
আমার কাছে ঔষধ কোম্পানির একটা চাকরির অফার এসেছে।কাজ হল ডাক্তার ভিজিট করা এবং ঔষধ এর দোকানে অর্ডার কাটা। মূল বেতন ১৭ হাজার টাকা ta / da বাদে। কোম্পানি ডাক্তারকে তাদের ঔষধ লেখানোর জন্য টাকা বা উপহার দেওয়া হয়। এই টাকা বা উপহার আমাকে দিয়ে দেওয়া হবে। আমার এখন প্রশ্ন হল দুটো ১) কোম্পানির টাকা বা উপহার আমার মাধ্যমে ডাক্তারকে দেওয়া হলে এতে আমি দোষী হবো কিনা? ২) যদি কিছুটা দোষী হইও, শুধু ঐটুকুর জন্য আমি মূল বেতন এবং টার্গেট পূরণের জন্য যে অর্থ পাবো তা বৈধ হবে কিনা?
আস-সালামু আলাইকুম। শায়েখ, বাড়ি থেকে আমার কর্মক্ষেত্র সফর পরিমাণ দূরত্বে। এখন- ১. আমার কর্মক্ষেত্রে যদি ১৫ দিনের কম সময় থাকার নিয়ত করি তাহলে কি নামাজ কসর পড়তে হবে? আমি এখানে বাসা ভাড়া করে থাকি কিন্তু প্রতি সপ্তাহে বাড়ি যাই। ২. আর কর্মক্ষেত্র থেকে বাড়িতে যাওয়ার পথে যদি কোন আত্নীয়ের বাড়িতে থাকি তাহলে কি মুসাফির থাকব নাকি মুকিম হয়ে যাব? আত্নীয়ের বাড়ি থেকে আমার বাড়ি ৩ কিলো ব্যবধান।
আস-সালামু আলাইকুম, আমি কুরআন পড়ার সময় মুখ থেকে কিছু থুতুর ফোটা কুরআনে পরে যায়, এতে কি গুনাহ হবে আমার। দয়া করব জানাবেন ২. আমার বয়সের আগেই চুল পেকে যাচ্ছে, এই ক্ষেত্রে আমি কি বিশেষ প্রয়োজনে চুলে কলপ করতে পারবো?
আস-সালামু আলাইকুম, আমার প্রশ্ন তিনটি। প্রথমত, কুরআন শরীফের বাংলা কিংবা ইংরেজি অনুবাদ পড়ে কি আমি সাওয়াবের আশা করতে পারি? দ্বিতীয়ত, কিছু কিছু কুরআন অনলাইনে পেয়েছি যেগুলো সম্পূর্ণ অনূদিত অবস্থায় আছে (উদাহরণ: Saheeh International), অর্থাৎ তাতে মূল আরবি ভাষার বাক্যগুলো নেই। ইসলাম শেখার ও জানার জন্য এরূপ কুরআন পড়া কি জায়েজ? তৃতীয়ত, কুরআন শরীফ কোন ডিভাইসের মাধ্যমে পড়ার সময় কি অজু রাখতে হবে? জাযাকাল্লাহ। আপনাদের ওয়েবসাইট থেকে অনেক উপকার পেয়েছি। আল্লাহ আপনাদের শ্রমকে কবুল করে নিন, আমিন।
আমার প্রশ্ন হলো কুরআনে রাতে ইফতার করতে বলা হয়েছে, মুসনাদে আহমদ ও মুয়াত্তা মালিক হাদিস আছে যখন একবারে অন্ধকার হয়ে যেত তখন ইফতার করত। কিন্তুু বুখারীর, মুসলিম তিরমিজি হাদিসে রাসুল সূর্য ডুবে গেলে ইফতার করতে বলা হয়েছে হঠাৎ এমন পরিবর্তন কেন করা হয়েছে।আমাদের মহল্লার ইমাম সাহেব বলেছেন ইহুদিদের থেকে যখন দেখলেন ইহুদিদের বিপরীত করার জন্য পরিবর্তন করেছেন। প্রশ্ন যিনি কুরআন কে নিজের জীবনের মডেল বানিয়েছেন যাকে জীবন্ত কুরআন বলা হয়েছে তিনি কুরআনের বিপরীত আমল করবেন এটা কিভাবে হয়? ইহুদিরা যদি সঠিক কাজ করে তাহলে বিরোধিতা করার কোন প্রয়োজনীয়তা আছে কি?
আস-সালামু আলাইকুম, আমাদের পরিবারের সকল জমি (নিজ গ্রাম এবং চর এলাকায়) বর্গাচাষী চাষ করেন। নিজ গ্রামের জমির ফসল অর্ধেক দিবেন হিসেবে বর্গা দেওয়া। যদিও ফসল ভাগ করার জন্য আমাদের যাওয়া সম্ভব হয় না। ফসল উঠানো পর বর্গাচাষী ভাগ করে আমাদের গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে থাকেন। চর অঞ্চলের জমির ফসলের ভাগ নিদিষ্ট করে দেওয়া (উদাহরণ ৫০ মণ দিতে হবে)। কিন্তু বর্গাচাষী ফসলের ভাগ দেওয়ার সময় কম দিয়ে থাকেন। আমরা ও এতে আপত্তি করি না। উল্লেখ্য যে চর অঞ্চলের বর্গাচাষী তার নিজ দায়িত্বে ফসল বিক্রি করে আমাদের কে টাকা দিয়ে থাকেন। আরো উল্লেখ্য যে গ্রামের জমির মত অর্ধেক দিবেন হিসেবে বর্গা দেওয়া হলে ফসল অনেক কম দিয়ে থাকেন এবং ফসল কাটার সময় এবং ফসল সংগ্রহ করার সময় বার বার যেতে হয়, যাহা আমাদের জন্য অনেক কঠিন কাজ। আমার প্রশ্ন ১। আমরা নিয়মিত সম্পদের (নগদ টাকা, স্বর্ণ, ব্যাংক জমা টাকা,চর অঞ্চলের জমির ফসলের বিক্রি টাকা ) হিসাব করে যাকাত দিয়ে থাকি। আমরা কি এই যাকাত দেওয়ার পর চর অঞ্চলের জমির ফসলের আলাদা যাকাত দিতে হবে? ২। গ্রামের ফসলের ১০ মণে ১ মণ যাকাত হিসেবে দিয়ে দেওয়া হয়। এই হিসাব কি ঠিক আছে? ৩। চর অঞ্চলের জমির বা গ্রামের জমির বর্গা দেওয়া নিয়ম ঠিক আছে কি? ৪। সম্পদের যাকাত এবং ফসলের যাকাত কি আলাদা হিসেব করতে হয়? বিস্তারিত জানাবেন দয়া করে।
আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। আমি ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ করার জন্য সারচ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অর্থাৎ এসইও শিখতেছি। এর মাধ্যমে সাধারণত কোন ওয়েবসাইটকে র‍্যাঙ্ক করানো হয়। সাধারণত বেশিরভাগ ওয়েবসাইটেই দেখা যায় বেপর্দা মেয়ের ছবি থাকে। যেমন কোন পোশাকের ই কমার্স ওয়েবসাইটগুলোতে মেয়েদেরকে পোশাক পরানো থাকে তা বিক্রি করার জন্য। এখন এই ধরনের ওয়েবসাইটগুলো গুগলে র‍্যাঙ্ক করার জন্য কাজ করলে এর বিনিময়ে যে অর্থ পাওয়া যাবে তা হালাল হবে কিনা। দয়া করে জানালে খুব উপকৃত হব।
আস-সালামু আলাইকুম। আমার প্রশ্ন আপনার কাছে বা জানার ইচ্ছা, আমার বড় ভাই দীর্ঘদিন প্রবাস জীবন পালন করে। ২০১০ সালে তাকে পারিবারিক ভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করা হয়।বিয়ের পর তিনি কিছু দিন দেশে থেকে চলে যান। ২ বছর পর আবার দেশে আসেন এর মাঝে ওনার একটা কন্যা সন্তান জন্মগ্রহন করে। ২০১২ সালে আমার বড় ভাই আবার দেশে আসেন এবার ও কিছুদিন ছুটি কাটিয়ে চলে যান পরে তার একটি ছেলে সন্তান জন্ম গ্রহন করে।কিন্তু এবার তার প্রবাস জীবনে চাকরি জনিত সমস্যা তৈরি হয় যার কারনে প্রায় সাত বছর দেশে আসতে পারে নাই। এর মাঝে ওনার সহর্ধমীনি আমার আপন ছোট বোনের ছেলের সাথে পরকীয়া জড়িয়ে পরে এবং আমার বড় বোন আর ভগ্নীপতির হাতে ওনাদের বাসায় ধরা খায়। বিষয়টি আমার বোন আমার বড় ভাইকে না জানিয়ে আমার বড় বোন আর ভগ্নীপতি আমার ভাবি কে আর আমার ভাগিনাকে শাসন করে বিষয়টি চেপে যান কিন্তু আমার ভাবি এরপরেও পরকিয়া সর্ম্পক চালিয়ে যায় গোপনে। কিন্তু সে আবার আমার পরিবারের সদ্যসের হাতে ধরা খায়। এবার বিষিয় টি নিয়ে গভির ভাবে নেওয়া হয় এবং আমার বড় ভাই কে বিদেশ থেকে একেবারে নিয়ে আসা হয় এবং ওনার সামনে উপস্থাপন করা হয় কিন্তু সামাজিক লজ্জার ভয়ে বিষয়টি আমার বড় ভাইয়ের শশুর বাড়ির কাউকে জানানো হয় নি। কিন্তু দুজনেকেই মারধর করা হয় এবং শেষবারের মত শাসিয়ে ছেড়ো দেওয়া হয়। এরপর পরিবারের মধ্যে যে সুসর্ম্পক ছিল তার কিছুটা ব্যগাত ঘটে। এরপর আমার ভাবি আমার বর ভাইয়ের কানে আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্য যেমন আমার স্ত্রী, আমার বড় বনের ছোট মেয়ে কে নিয়ে, আমার ছোট ভগ্নিপতি কে নিয়ে বিভিন্ন বাজে মন্তব্য এবং তাদের ও নাকি পরকীয়া বা প্রেমের সর্ম্পক আছে বলতে থাকে এবং আমার ছোট ভগ্নিপতি নাকি তাকে কুপ্রস্তাব দিছে এসব বলে পরিবারের মধ্যে এক টা অশান্তি তৈরি করে রেখেছে এবং আমার বড় ভাই তার বউ এর কথায় সহমত প্রকাশ করে পরিবারের সকল সদ্যসের সাথে তর্কে জরিয়ে একপ্রকার সর্ম্পকে ছিন্ন করে রেখেছে। এতে করে পারিবারিক যে সর্ম্পক বজায়য় রাখার যে কথা ইসলাম আমাদের শিক্ষা দেয় তা বজায় রাখা অনেকটা দুরহ হয়ে পরেছে। এখন আমার বা আমাদের করনীয় কী?
আস-সালামু আলাইকুম। আমি একজন মেয়ে, বয়স ২৯ অবিবাহিত।আমার চারপাশে বিয়ে পরবর্তী বিভিন্ন ঝামেলা দেখে ১৮ সালে সিদ্ধান্ত নেই বিয়ে করবো না এবং পরিবারেও জানাই কিন্তু তারা এটা মেনে নেয়নি। আমি ব্যক্তিগতভাবে আল্লাহ ভীরু হওয়ায় সব বিবেচনা করে ২১ সালে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই।ব্যক্তিজীবনে সবসময়ই হালালও সততা কে প্রাধান্য দিয়েছি।পারিবারিক ভাবেই আমার বিয়ে ঠিক হয়। পাত্রের অবৈধ সম্পর্ক থাকায় বিয়েটা ভেঙে যায়। পরবর্তীতে এই বছরের জানুয়ারি তে আমার চেয়ে ৬ বছরের ছোট একজন হুজুর পাত্রের সাথে বিয়ে ঠিক হয়। পাত্র আমার চেয়ে লেখাপড়া,আয়ের দিক থেকে দূর্বল। আমার পরিবার আর আমি বিষয়টা সহজ করেই নিয়েছি। মোহরানা এবং বাকি যা আছে ছেলের সামর্থ্যের উপর ছেড়ে দিয়েছি। আমার শুধু একটাই শর্ত ছিলো আমার পারিবারিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাজ করতে দিতে হবে (পর্দা করেই কাজ করি)।পরবর্তী ছেলের সাথে ফোনে,মেসেজে রেগুলার কথা হতো(আমি অযথা কথা বলা পছন্দ করি না)। পাত্রকে যখন বলতাম এতো কথা বলা ঠিক না তখন বলতো বিয়ের উদ্দেশ্যে কথা বলা যাবে।পরবর্তীতে আমার ও দূর্বলতা সৃষ্টি হয়ে যায়। বিয়ের ঠিক ১ মাস আগে পাত্র আমাকে বলে সে অযোগ্য, ইনকাম কম তাই সে বিয়ে করতে পারবে না। তখন আমি বুঝায়া বলি এসব ব্যাপার না। এটা আবার আমার পরিবার জেনে যায় তাদেরকেও ম্যানেজ করি। তারপরে আবারও পাত্র বিয়ের এক সপ্তাহ আগে একদমই মানা করে দেয় সে বিয়েটা করবে না। কারন দেখায় আমি বাইরে কাজ করলে লোকে তাকে কটুকথা শোনাবে। আমার পরিবারও মেনে নেয় কিন্তু আমার তাকে ভালোলেগেছে যার কারনে আমি এক বছর সময় চেয়েছি কাজ গুছায়া ছেড়ে দেওয়ার জন্য। পরে পাত্র আবার পুনরায় রাজি হয় বিয়ের প্রস্তাব দেয় কিন্তু এখন আমার পরিবার একদমই রাজি না। আমার পরিবারের বক্তব্য হলো পাত্রের কথায় কাজে মিল নাই, ম্যাচিউর না পরবর্তীতে আমাকে কষ্ট দিবে। এখন আমি মানসিক ভাবে খুবই বিপর্যস্ত হয়ে (মরে যেতে মনে চায়) পড়েছি ইবাদতেও মনোযোগ দিতে পারছি না। বিয়েটা আমার জন্য খুবই জুরুরি এটা আমার পরিবারও বোঝার চেষ্টা করছে না। এখন আমি কি করবো বুঝতে পারছি না?
আমি সপরিবারে বিদেশে থাকি। বাবা মা পরলোকগত। দেশে থাকার মতো বাড়িঘর নেই। তাই ৭ বছর যাবত দেশে আসা হয়নি। IBBL ও Al Arafa ব্যাংকে বেশ কিছু ফিক্সড ডিপোজিট আছে। জাকাত পরিশোধের মতো নগদ টাকা হাতে নেই। এবং ব্যাংক দেউলিয়া হবার সম্ভাবনাও আছে। তাই আমার গচ্ছিত টাকা তুলতে পারব কিনা জানি না। তাই প্রতি বছর জাকাত হিসাব করে রাখছি দেশে আসতে পারলেই ব্যাংক থেকে তুলে দিয়ে দিব ইনশাআল্লাহ। আমি মারা গেলে স্ত্রী সন্তানদের অসিয়ত করে রেখেছি দিয়ে দেবার জন্য। জাকাতের হিসাবও তাদের জানিয়ে রাখছি। এখন প্রশ্ন হলো আমার ব্যাংকে রক্ষিত মোট টাকার সাথে বিগত বছরের জাকাতের টাকাও জমা আছে। এখন আমি কি এ বছর শুধু আমার টাকার জাকাত হিসাব করব? নাকি অপরিশোধিত জাকাতের টাকাসহ মোট টাকার ওপর জাকাত হিসাব করব? জাজাকাল্লাহু খাইরান।