আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 925

সফর

প্রকাশকাল: 11 আগস্ট 2008

প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম, ১. একটি হাদিস এমন শুনেছি, সফর এর সময় নিজের এরিয়া থাকা কালীন নামাজের সময় হলে নামাজ কসর না করে সম্পূর্ণ নামাজ আদায় করতে হয়। নিজের এরিয়া ছেড়ে গেলে এরপর নামাজ কসর করতে হয়। (হাদিসের রেফারেন্স টা আমার জানা নেই)। আমি ঢাকার মিরপুর এ বসবাস করি। আমি বাড়িতে যাওয়ার সময় মিরপুর থেকে সায়দাবাদ গিয়ে আমার ফেনী জেলার গাড়ীতে উঠি। আপনার কাছে প্রশ্ন হল আমি কসর কোথায় থেকে শুরু করব, সায়দাবাদ এর পর থেকে নাকি মিরপুর এরিয়া ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে?
তেমনি ভাবে আমার বাড়ী ফেনী জেলা থেকে আরো ১৫ কি.মি. পরে। তাহলে আমি ফেনীতে নেমে কসর করব নাকি ফেনীতে চলে গেলে আর কসর করা লাগবে না পূর্ণ নামাজ পরতে হবে। ২. আরেকটি প্রশ্ন হল এশার নামাজ আমার সফরের সময় কসর হয়েছিল। অর্থাৎ সফরের সময় পরলে কসর পরা লাগতো। কিন্তু তখন না পরে বাড়িতে চলে গেলে, বাড়িতে গিয়ে কি সেই এশার নামাজ কসর করব নাকি পূর্ণ নামাজ পড়ব? আশা করি আমার প্রশ্ন দুটি বুজতে পেরেছেন। আপনাদের কাছ থেকে এর সঠিক উত্তর আশা করতেছি। জাজাকাল্লাহু খাইর।

উত্তর

ওয়া-আলাইকুমুস সালাম। সফরসম দূরত্বের উদ্দেশে নিজ এলাকার বসতি ত্যাগ করলে অর্থাৎ গ্রামের অধিবাসী নিজ গ্রাম ছাড়লে, শহরের অধিবাসী শহর ত্যাগ করলে এবং সিটি শহরে বসবাসকারী সিটি শহর থেকে বের হওয়ার পর থেকে মুসাফির গণ্য হবে। যে সীমানা থেকে মুসাফির বলে গণ্য হয়েছিল; সেই সীমাতে প্রবেশের পর থেকেই মুকীম হয়ে যাবে। সুতরাংআপনি কসর শুরু করবেন ঢাক শহর পর হওয়ার পর। আর ফেনীতে গিয়ে নিজ গ্রামে প্রবেশের আগ পর্যন্ত। কসর করবেন। দলীলসহ বিস্তারিত জানতে দেখুন আমাদের দেয়া ১১নং প্রশ্নের উত্তর; মাসিক আলকাউসার, ডিসেম্বর, ২০১৩, প্রশ্ন নং ২৯৮০। আপনি যদি ওয়াক্তের মধ্যেই বাড়ি চলে আসেন তাহলে পুরো নামায আদায় করবেন। আর যদি পরে বাড়ি আসেন তাহলে কসর করবেন। অর্থাৎ বাড়িতে দুই রাকআত পড়বেন। এক্ষেত্রে মূলনীতি হলো সফর কাজা হওয়া নামায কসর করতে হবে, আর মুকীম অবস্থায় কাজা হওয়া নামায পুরা পড়তে হবে, যে অবস্থাতেই থাকুন না কেন।