ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। বোন! আসলে ছেলে হওয়া অথবা মেয়ে হওয়া এটি মহান আল্লাহর সিদ্ধান্ত। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা ছেলে,আর যাকে ইচ্ছা মেয়ে দান করেন। আবার কাউকে তিনি কোন সন্তান ই দেন না। যদি আপনার রিলেটিভের মেয়ে সন্তানের কারণেই তার উপরে যুলুম-নির্যাতন করা হয়ে থাকে,তাহলে তারা মূলত মহান আল্লাহর উপরেই রাগ প্রকাশ করছে যে,আল্লাহ তুমি মেয়ে দিয়ে ভুল করেছ!!!নাউজুবিল্লাহি মিন যালিক। তাদের একথা ও মনে রাখা উচিত আধুনিক ডাক্তারগণ বলেছেন যে,মেয়ে হওয়ার জন্য স্বামী দায়ী,মানে স্বামীর কারনে ই মেয়ে সন্তান পেটে আসে। প্রশ্নের বিবরন অনুযায়ী মেয়ে সন্তান প্রসব করার কারনে নির্যাতন করা,তালাক দেওয়া তাদের বড় ধরনের জুলুম হয়েছে,মানুষের অধিকার হরণ করেছে। এই জন্য অত্যাচারিত ব্যক্তির নিকট ক্ষমা না চাইলে কিয়ামতের দিন তারা মহান আল্লাহর দরবারে ধৃত হবে। ইসলামের দৃষ্টিতে সন্তান যতদিন দুধ পান করবে ততদিন তার মায়ের নিকট থাকবে,এবং এরপর ও সন্তান যদি মায়ের নিকট থাকতে চায় তাহলে থাকতে পারবে। তবে সর্ব হালতে সন্তান প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগ পর্যন্ত যাবতীয় খরচ পিতাকে ই বহন করতে হবে। যদি পিতা এ ক্ষেএে কোন ধরণের খামখেয়ালী করেন, তাহলে তিনি অবশ্যই সন্তানের অধিকার খর্ব করার অপরাধে মহান আল্লাহর নিকট ধৃত হবেন। ইসলামী আইন অনুযায়ী স্বামী সন্তানের যাবতীয় খরচ বহন করব। আল্লাহ আপনাদের সহায় হোক এবং আপনাদেরকে উত্তম বিনিময় দান করুক। আমিন।