কুরবানীর গোশত যে কাউকে দেয়া যায়। বন্টন করা আবশ্যক কিছু না, সুন্নাত, মুস্তাহাবও না। দেশের বিভিন্ন জায়গাতে বিভিন্নভাবে বন্টন করা হয়। প্রশ্নে যেভাবে বন্টন করার কথা বলেছেন সেভাবে বন্টন করতে সমস্যা নেই। তবে গরীবের জন্য যেটা রাখা হয়, সেটা যেন নিজেরা ভাগ করে না নেন, এটাও অনেক জায়গাতে ঘটে।
وَ الۡبُدۡنَ جَعَلۡنٰهَا لَكُمۡ مِّنۡ شَعَآئِرِ اللّٰهِ لَكُمۡ فِیۡهَا خَیۡرٌ ٭ۖ فَاذۡكُرُوا اسۡمَ اللّٰهِ عَلَیۡهَا صَوَآفَّ ۚ فَاِذَا وَجَبَتۡ جُنُوۡبُهَا فَكُلُوۡا مِنۡهَا وَ اَطۡعِمُوا الۡقَانِعَ وَ الۡمُعۡتَرَّ ؕ كَذٰلِكَ سَخَّرۡنٰهَا لَكُمۡ لَعَلَّكُمۡ تَشۡكُرُوۡنَ
আর উটকে আমরা আল্লাহর নিদর্শনগুলোর অন্যতম করেছি তোমাদের জন্য তাতে অনেক মঙ্গল রয়েছে।( কাজেই এক পা বাঁধা ও বাকী তিনপায়ে দাঁড়ানো অবস্থায় তাদের উপর তোমরা আল্লাহর নাম উচ্চারণ কর। তারপর যখন তারা কাত হয়ে পড়ে যায় তখন তোমরা তা থেকে খাও এবং আহার করাও ধৈর্যশীল অভাবগ্রস্তকে ও সাহায্যপ্রার্থীদেরকে; এভাবে আমরা সেগুলোকে তোমাদের বশীভূত করে দিয়েছি। যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্ৰকাশ কর। সূরা হাজ্জ, আয়াত ৩৬।
রাসূল সা. বলেছেন,
” إِنَّمَا نَهَيْتُكُمْ مِنْ أَجْلِ الدَّافَّةِ الَّتِي دَفَّتْ فَكُلُوا وَادَّخِرُوا وَتَصَدَّقُوا ” .
অতঃপর এখন তোমরা খেতে পার, জমা করে রাখতে পার এবং সাদাকাহ করতে পার। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৯৭১।