As-Sunnah Trust

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 7227

অর্থনৈতিক

প্রকাশকাল: 25 Mar 2025

প্রশ্ন

সরকারি চাকুরিতে প্রভিডেন্ট ফান্ড নিয়ে ২ টি সিস্টেম দেখা যায়। ২ টি সিস্টেম নিয়ে জানতে চাই।

১. সরকারি রাজস্ব খাতে বেতন হলেঃ এই সিস্টেমে মূল বেতনের ৫% প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা করা বাধ্যতামূলক। একজন চাকুরিজীবি চাইলে এটি সর্বোচ্চ ২৫% পর্যন্ত জমা করতে পারে। চাকুরিজীবি ১০০০ টাকা মাসে জমা রাখলে সরকার অতিরিক্ত ১০০০ টাকা দিয়ে মোট ২০০০ টাকা ঐ চাকুরিজীবির নামে জমা হয়। এই জমা টাকার উপর বছর শেষে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদ দেয়। এখন চাকুরিজীবি চাইলে সুদ গ্রহন বন্ধ করে রাখতে পারে।

২. সরকারি সায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হলেঃ এই সিস্টেমে মূল বেতনের ১০% প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা করা যায়। একজন চাকুরিজীবি চাইলে এটি নাও রাখতে পারে। চাকুরিজীবি ১০০০ টাকা মাসে জমা রাখলে প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত ১০০০ টাকা দিয়ে মোট ২০০০ টাকা ঐ চাকুরিজীবির নামে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা হয়। এই জমা টাকার উপর বছর শেষে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদ দেয়। এখন চাকুরিজীবি চাইলে সুদ গ্রহন বন্ধ করে রাখতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিষ্ঠানের সকল টাকার উপর সুদ দেয়। কেউ যদি সুদ বন্ধ করে রাখে তাহলে তাঁর টাকার উপর প্রদত্ত সুদ প্রতিষ্ঠান অন্য সকল কর্মচারীর (যাদের সুদ চালু রাখা) মাঝে বন্টন করে দেয়।

উপরের ২টি ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ ব্যাংক বলে দেয় সুদ কত আর আসল কত। এক্ষেত্রে একজন কর্মচারীর করনীয় কি? সুদ গ্রহন জায়েজ হবে কি?

( বি.দ্রঃ অনেক কর্মচারী এমন নিয়ত করে তাঁর টাকার উপর প্রদত্ত সকল সুদ সে দান করবে চাকুরি শেষে। এমন নিয়ত কি জায়েজ হবে)

উত্তর

শুধুমাত্র মূল বেতনের যে  ৫% প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা করা বাধ্যতামূলক সেটা থেকে যে সুদ আসবে সেটা নেয়া কর্মীর জন্য জায়েজ হবে। যেহেতু এই ৫% টাকা তার মালিকানায় আসতে পারে না, সে ব্যবহার করতে পারে না তাই এই টাকার লাভ তার জন্য ফকীহগণ জায়েজ বলেছেন। বাকী আর কোন পদ্ধতি থেকে পাওয়া অতিরিক্ত টাকা সুদ হিসেবে গণ্য হবে, হারাম হবে, নেওয়া যাবে না। অর্থাৎ নিজ থেকে টাকা প্রভিডেন্ট ফান্ডে রেখে সেখান থেকে সুদ নেয়া যাবে না। চাকুরী শেষে সুদ থেকে প্রাপ্ত টাকা দান করবে, এটা একটা খারাপ নিয়ত। হালাল টাকা থেকে যতটুকু সম্ভব দান করবেন। হারাম টাকা উপার্জনের দরকার নেই।  আল্লাহ তায়ালা হারাম টাকা দান করার কথা বলেন নি, হালাল টাকা দান করার কথা বলেছেন।