As-Sunnah Trust

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 6276

প্রশ্ন

আস-সালামু আলাইকুম শায়েখ… আমার এক বন্ধু আছে। বেশ কয়েক বছর ধরেই তার সাথে আমার বন্ধুত্ব… সে ধর্মে মুসলিম। কিন্তু সম্প্রতি কিছুদিন আগে লক্ষ করলাম তার মধ্যে নাস্তিকতার প্রভাব রয়েছে (এতদিন পর জানতে পারার কারন, সে এসব ব্যাপারে কারো সাথে তেমন শেয়ার করে না)… এ বিষয়ে তার সাথে কথা বললে সে নাস্তিকতার বিষয় আংশিক স্বীকার করে । তার ভাষ্যেমতে ” সে সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করে, কিন্তু আল্লাহ তায়ালাই যে ঐ সৃষ্টিকর্তা এইটা নিয়ে সে সন্দেহ প্রকাশ করে… সে কোরআন এর কিছু আয়াত নিয়ে সন্দেহ পোষন করে/অস্বীকার করে… সে মনে করে কিছু কিছু আয়াত পরিবর্তন হয়ে গেছে, ঐসব আয়াত গুলো ভুল/ঠিক নয়… বিশেষ করে জান্নাতী হুরদের ব্যাপারে যে আয়াত আছে এইটা নিয়ে সে নোংরা মনোভাব প্রকাশ করে… এছাড়াও তার মতে ,জাহান্নামে কেও যাবে না (কারন, সৃষ্টিকর্তা কখনো তার বান্দাকে কষ্ট দিবে না)”… সুন্নাতে খতনার ব্যাপারেও সে মনে করে, ইসলাম জুলুম করছে। এটা একটা কু-প্রথা… এরকম আরোও নানান কথা বলে… এসব ব্যাপারে আমারা তাকে আমাদের সাধ্যেমতো বুঝিয়েছি…তবুও সে তার মনোভাব পরিবর্তন করেনি… অন্যদিকে সে জুমার নামাজ ও পড়ে, রোজাও করে, বিপদে পড়লে দোয়াও পাঠ করে.. মোট কথা আর ৫/১০ টা মুসলিম এর মতোই আচারন করে… এমতবস্থায়, সে কি কাফির/অমুসলিম হয়ে গেছে?  আর তার সাথে কি বন্ধুত্ব রাখা যাবে? 

উত্তর

ওয়া আলাইকুমুস সালাম।জ্বী, তিনি আর মুসলিম নন। কুরআনের আয়াত অস্বীকার করলে সে আর মুসলিম থাকে না। তার নামায রোজার কোন মূল্য নেই। নিজেকে এই ফিতনা থেকে রক্ষা করার জন্য তাকে এড়য়ে চলবেন, তার থেকে দূরে থাকবেন। বন্ধুত্ব রাখার দরকার নেই।