আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 6249

জাদু-টোনা

প্রকাশকাল: 10 মার্চ 2023

প্রশ্ন

আস-সালামু আলাইকুম। মুহ্তারাম, আমি মোঃ বেলাল হোসেন, রাজশাহী। আমার ছেলের বয়স ১২ বছর। সে ২০২১ সালে নভেম্বর মাসে হেফজ শুরু করে প্রথম সপ্তাহে ১ পারা কোরআন মুখস্ত করে। এরপর থেকে তার প্রচন্ড পেট ব্যাথা ও বমি শুরু হয়। বিগত ২০২২ সালে সমস্যা এত তীব্র হয় যে, মাদ্রাসা যাওয়া প্রায়ই বন্ধ হয়ে যায়। তাই ঐ পুরো ২০২২ সাল মিলে আরও এক প্যারা কোরআন মুখস্থ করে। তাঁকে অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি, অনেক পরিক্ষা-নিরিক্ষা করিয়েছি।

কিন্তু ডাক্তার রিপোর্ট দেখে বলে তাঁর কোন সমস্যা নেই। এরপরে গত রমজান মাসে আমি এভারকেয়ার হাসপাতাল, ঢাকায় নিই। ওখানেও অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়, কিন্তু ডাক্তার বলেছে রিপোর্টে কোন সমস্যা নেই। এরপর ৩/৪ হুজুরকে দেখিয়েছি। তারা ২ জন বলেছে দুষ্ট জিনের আছর, বদ নজর, কালো যাদু, কেউ কিছু পেটে খারাপ কিছু খাওয়ায়েছে ইত্যাদি। আবার ২/১ জন ডাঃ ও হুজুর বলেছেন চাপের পড়ালেখা না করানোয় ভালো। তাই ২০২৩ সালে তাকে প্রাইমারী স্কুলে ভর্তি করেছি।

কিন্তু আমার ও আমার পরিবারের একান্ত ইচ্ছা আমার সন্তান অনেক বড় আলেম হবে, সারা দুনিয়া ব্যাপী যেন ইসলামের দাওয়াত পৌছে দিতে পারে। তাই আপনার নিকট আকুল আবেদন আমার জন্য পরামর্শ দিবেন যেন আল্লাহ্ তায়ালা তাকে সম্পূর্ণভাবে সুস্থতা দান করে কেরআনের ময়দানে ফিরিয়ে দেন। বিঃদ্রঃ বিগত ৪/৫ মাস ধরে সকল ঔষধপত্র বন্ধ করে আমার পরিবার ও আমি আপনার শেখানো দোয়া কালাম পড়ে ঝাঁড়-ফু করছি। আলহামদুলিল্লাহ আগের চেয়ে এখন একটু ভাল।

উত্তর

ওয়া আলাইকুমুস সালাম। হিফজ পড়তে চাপ হলে পড়াবেন না। আলেম হতে হলে হিফজ না করলেও চলে। সুতরাং শরীর যেন ভালো থাকে সেটা খেয়াল রেখে পড়ালেখার চাপ কম দিয়ে কোন ইসলামী প্রতিষ্ঠানে পড়াথে থাকুন। শরীর ভালো হলে, আরেকটু বয়স হলে ধীরে ধীরে সে আরো পড়াশোনা করতে পারবে ইনশাআল্লাহ। তাকে কোন চাপ দিবেন না, তার পক্ষে যতটুকু সম্ভব সে ততটুকু পড়াশোনা করুক। নিয়মিত দুআ করবেন।