আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 5931

সুদ-ঘুষ

প্রকাশকাল: 26 এপ্রিল 2022

প্রশ্ন

আস-সালামু আলাইকুম। আমার বাড়ি থেকে কর্মস্থল ২২/২৩ কিলোমিটার দূরে। প্রতিদিন বাড়ি থেকে সিএনজি/ অটোরিক্সায় যাওয়া আসা করি। এতে সময় এবং ভাড়া অনেক বেশি লাগে। তাই, চিন্তা করলাম একটি মোটরসাইকেল কিনব। কিন্তু আমার কাছে টাকা ছিল না। অন্য একজনের টাকা ছিল। উনি একটি মোটরসাইকেল কিনে ২০% লাভে যে টাকা হবে তা ১২ টি মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে এই শর্তে আমার কাছে বিক্রি করতে রাজি হলেন। আমাকে জিজ্ঞেস করলেন কোন মোটরসাইকেল কিনব। আমি বললাম ‘ হোন্ডা লিভো।’ তারপর মোটরসাইকেলের শোরুমে খোঁজ নিয়ে দেখেন উক্ত মটরসাইকেলের দাম ১২৫৫০০/= টাকা। ২০% লাভে এটির দাম হয় ১৫০৬০০/= টাকা। আমি রাজি হলাম। উনি বললেন, লাভসহ মোট টাকার একটি ব্যাংকের চেক এক বছর পরের তারিখ দিয়ে লিখে উনার কাছে রাখতে হবে। তারপর আমি আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক থেকে চেক সংগ্রহ করি। তরপর মোটরসাইকেল ক্রয় করার সময় আমাকে সাথে নিয়ে গেলেন। আমি শোরুম থেকে মটরসাইকেল পছন্দ করে দেই আর উনি সেখানে নগদ মূল্য দিয়ে কিনে নেন। তারপর উনি নিজে মোটরসাইকেল চালিয়ে আমাকে নিয়ে আমার কর্মস্থলে আসেন। আসার পথে ৫০০/= টাকার তেল ভরেন। এই ৫০০/= টাকা মোটরসাইকেলের ক্রয়মূল্যের সাথে যোগ করে যে টাকা হয় তার সাথে ২০℅ লাভ যোগ করে দেখেন ১৫১২০০/= টাকা হয়। তারপর দুজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে উপরে উল্লিখিত আগের চুক্তিটি বলে বিক্রয় কাজ সমাধা করা হয়। আমার প্রশ্ন হলো, উপরের ক্রয় বিক্রয়টি ইসলামী শরীআত অনুযায়ী ঠিক আছে কি? আমার ভয় হয়, এইভাবে ক্রয় বিক্রয় সুদি লেনদেনের মত হয়ে গেল কিনা। দয়া করে জানাবেন।

উত্তর

উক্ত কেনা বেচা বৈধ হয়েছে। এই চুক্তিতে কোন সুদ নেই।