ক্যাটাগরি
প্রশ্নোত্তর 5788
ওয়া আলাইকুমুস সালাম। “রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো কুরআনের বাইরে কোনো কথা বলেননি” এ কথা কে বলেছে? রাসূলুল্লাহ সা. এর হাদীস তো প্রায় সবই কুরআনের বাইরের কথা। কুরআনে যে কথাগুলো নেই সেগুলোই হাদীসে আছে।
কুরআনে থাকলে তো আর হাদীসের প্রয়োজন নেই। তবে হ্যাঁ, রাসূল সা. যা কিছু বলেছেন বা করেছেন তা আল্লাহ তায়ালার অনুমতি ও সন্তুষ্টিতে করেছেন। এ বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, وَمَا يَنطِقُ عَنِ ٱلۡهَوَىٰٓ ٣ إِنۡ هُوَ إِلَّا وَحۡيٞ يُوحَىٰ অর্থাৎ “সে মনগড়া কথাও বলে না। তা তো অহী, যা তার প্রতি প্রত্যাদেশ হয়। সূরা নাজম, আয়াত ৩ ও ৪। আর রাসূলুল্লাহ সা. যা বলেছেন বা করেছেন সে বিষয়ে তাকে অনুস্বরণ করা আমাদের উপর আবশ্যক। আল্লাহ তায়ালা বলেন, مَّن يُطِعِ ٱلرَّسُولَ فَقَدۡ أَطَاعَ ٱللَّهَۖ [النساء: ٨٠] অর্থাৎ “যে রাসূলের আনুগত্য করল, সে আসলে আল্লাহরই আনুগত্য করল। ” সূরা নিসা, আয়াত ৮০।
অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا অর্থাৎ, আর রসূল তোমাদেরকে যা দেন তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা হতে তোমাদেরকে নিষেধ করেন তা হতে বিরত থাক। (সূরা হাশর ৭) আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন, قُلْ إِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّونَ اللهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ অর্থাৎ, বল, তোমরা যদি আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমার অনুসরণ কর। ফলে আল্লাহ তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করবেন। (সূরা আলে ইমরান ৩১)।
কুরআনে শুধু মৌলিক কথাগুলো আছে, সেগুলো ব্যাখ্যা বিশ্লেষন আল্লাহর রাসূল হাদীসে করেছেন। নামায বা সালাতের কথা শুধু কুরআনে আছে, সালাত কখন কীভাবে, কতটুকু আদায় করতে হবে, সেটা আল্লাহর রাসূল সা. মুখে বলেছেন এবং সেগুলো করে দেখিয়েছে। যাকাত, রোজা, হজ্জের ক্ষেত্রেও একই কথা। সুতরাং আপনার দ্বিধাদ্বন্দের মধ্যে পড়ার কোন দরকার নেই। কুরআন যেমন ইসলামের দলীল, হাদীসও তেমন ইসলামের দলীল। ১৭ রাকআত ফরজ সালাত আল্লাহর রাসূল সা. আদায় করতে বলেছেন, এটাই দলীল যে, আমরা ১৭ রাকআত সালাত ফরজ। প্রয়োজনে 01762629405 যে কোন দিন এশার পর।