আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 4199

বিবাহ-তালাক

প্রকাশকাল: 29 জুলাই 2017

প্রশ্ন

আমি একটি মেয়েকে ভালোবাসতাম। গত বছর মার্চ মাসে মেয়েটির বিয়ে হয়ে যায়। তবে ওর বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরেও ওর সাথে আমার সব সময় যোগাযোগ ছিল। বর্তমানে ওদের ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে। এখন মেয়েটি তার পূর্ণ ইদ্দতকালীন সময় অতিক্রম করার পরে আমি তাকে বিয়ে করতে চাই। আমি আমার মায়ের কাছে মেয়েটিকে বিয়ে করার জন্য আর্জি পেশ করেছি এবং আমার মা তাতে সায় দিয়েছেন। কিন্তু ও যে তালাকপ্রাপ্তা এই কথাটি আমি আমার মায়ের কাছে গোপন রেখেছি। কারণ এই কথাটি শুনলে আমার পরিবার হয়তো মেয়েটির সাথে আমাকে বিয়ে দিতে রাজি হবে না। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে, উভয়পক্ষের কল্যাণের উদ্দেশ্যে মেয়েটি তালাকপ্রাপ্তা এই কথাটি গোপন রেখে বিবাহের কাবিন নামায় বৈবাহিক পরিচিতির জায়গায় মেয়েটি অবিবাহিত লিখে ওর সাথে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হলে, আমাদের বিয়ে ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে হালাল বা বৈধ হবে কিনা?

উত্তর

আপনারা যেভাবে পাপপূর্ণ সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছেন তাতে বিয়ে হলেও কোন সুখ-শান্তি আসবে বলে মনে হয় না। প্রথমত বিবাহপূর্ব ভালোবাসার কোন বৈধতা ইসলামে নেই। এরপর যখন মেয়েটির বিবাহ হয়ে গেল তখন কেন মেয়েটি আপনার সাথে সম্পর্ক রাখবে? যদি সম্পর্ক রাখবেই তাহলে বিবাহে রাজী হবে কেন? আপনিই বা কেন সম্পর্ক চালিয়ে গেলেন? আপনার দুইজন ঐ ছেলের প্রতি যে জুলুম-অন্যায় করলেন, আপনি কি মনে করেন এর কোন ফল আপনাদের ভোগ করতে হবে না? প্রেমের বিয়ে এমনিতেই টিকে না তারপর আবার আরেকজনের মানসিক ও আর্থিক ক্ষতি করলেন আপনারা। এই চরম পাপের ফলাফল কখনো শুভ হবে না। শরীয়তের দৃষ্টিতে বিয়ে হালাল-বৈধ হবে কিন্তু তার আগে ঐ ছেলের কাছে হাজার বার ক্ষমা চাওয়া উচিৎ, আরো উচিৎ আপনাদের চক্রান্তের স্বীকার হয়ে সে যে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে সেটা পুষিয়ে দেওয়া।আপনারা যেটা করেছেন সেটা কঠিন অপরাধ। আর তালাকপ্রাপ্তা এই কথাটি গোপন রেখে বিবাহের কাবিন নামায় বৈবাহিক পরিচিতির জায়গায় মেয়েটি অবিবাহিত লিখে উভয়পক্ষের কোন কল্যানই হবে না, কয়েক দিন পর সব জানাজানি হবে, কল্যানের চেয়ে অকল্যানই বেশী হবে। মিথ্যা কথা লেখার কারণে সংশ্লিষ্ট সবার কবীরা গুনা হবে। সুতরাং কী করবেন ভালো করে ভাবুন।