আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 1080

হাদীস

প্রকাশকাল: 13 জানু. 2009

প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম, আমার আজকের প্রশ্ন রাজনৈতিক দলে যোগ দেয়া নিয়ে, কোথাকার কোন পরিবেশ জানিনা, দয়া করে পরিবেশ বিন্নটা অনুযায়ী মাসায়েল আলাদা হইলে তাও উল্লেখ করবেন – কারণ এটাও প্রশ্নের ২য় পার্ট;প্রশ্ন ১নিচের ৩ হাদিস সব ইসলামি দলেই ব্যাবহার করছে বাংলাদেশে, ও তারা দলের দিকে ডাকছে- দাওয়াত বলতে তারা দলে যাওয়া বুঝাচ্ছে, তারা বলছে দলে না ঢুকলে নামাজ পড়া না পড়া স্বাধীনতায় থাকে কিন্তু দলে ঢুকলে সে নামাজ কাজা করেনা- তাহলে প্রশ্ন হলও – এই ৩ হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা কি বা এই হাদিস থেকে আমরা সঠিক কি কি আমল করতে পারি সুন্নাত অনুযায়ী? * হাদিস গুলো নিম্নরূপঃ
হযরত আবু দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) এরশাদ করেছেন কোন জঙ্গল কিংবা জনপদে তিনজন লোকও যদি বসবাস করে এবং সেখানে তারা যদি (জামাতবদ্ধভাবে) নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা না করে তবে তাদের উপর শয়তান অবশ্যই আধিপত্য বিস্তার করবে। অতএব জামায়াতবদ্ধ হয়ে থাকা তোমাদের অবশ্য কর্তব্য। কেননা পাল থেকে বিচ্ছিন্ন ছাগলকে নেকড়ে বাঘ সহজেই খেয়ে ফেলে। কেউ যদি মনে করে, জামাতবদ্ধ বা সংগঠিত হয়ে থাকার প্রয়োজন নেই- তাহলে তার জন্য উপরোক্ত দৃষ্টান্তই যথেষ্ট। সুতরাং শয়তানের আক্রমণ থেকে নিজের ঈমান ও আমলকে হেফাজত করতে হলে সংঘবদ্ধ জীবন যাপন করতে হবে। নতুবাঃযে ব্যক্তি সংগঠন থেকে এক বিঘত পরিমাণ বাইরে চলে গেল, সে ইসলামের রজ্জুকে তার গলদেশ থেকে খুলে ফেললো, যতক্ষণ না সে পুনরায় এসে যোগ দেবে। দল ছারা ইমাম নেই, ইমাম ছারা ইসলাম নাই, আনুগত্য ছারা দল নেই এরকম একটি হাদিস (হযরত হারেসুল আশআরী থেকে বর্ণিত, মুসনাদে আহমদ,তিরমিজী। )
তোমাদের মধ্যে এমন একটা দল থাকতেই হবে যারা মানবজাতিকে কল্যাণের পথে ডাকবে। সৎ কাজের আদেশ করবে এবং অন্যায় ও অসৎ কাজে বাধা প্রদান করবে। আর এরাই হবে সফলকাম। সংশ্লিষ্ট প্রশ্ন ২ঃ অনেকে কিসব পরিবেশ পরিস্তিতি এর দোহাই দেয়, কেউ বলে ডান হাত না হয় বাম হাত দিয়ে খেতে হবে। দয়া করে এই বিষয়ে আর্টিকেল লিখে প্রকাশ করুন অথবা থাকলে উত্তরের সাথে বইয়ের নাম টিও রেফার করে দিলে কৃতজ্ঞ থাকবো।

উত্তর

ওয়া আলাইকুমুস সালাম। কুরআন-হাদীসে মুসলিমদের ঐক্যের কথা বলা হয়েছে। দলে দলে ভাগ হতে হবে বলা হয় নি। বরং দলাদলি করতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে আধুনিক রাজনীতি দীনী দাওয়াতের একটি অংশ। এই দাওয়াত অংশ নেয়া অবশ্যই ভাল কাজ। তবে অন্য দল যারা মানুষকে ইসলামের দিকে আহ্ববান করছে তাদেরকে ঘৃনা করা খারাপ কাজ। নিজেদেরকে একে অপরের পরিপূরক মনে করতে হবে। বিস্তারিত জানতে পড়ুন, ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রহ. এর লেখা কুরআন সুন্নাহর আলোকে জামায়াত ও এক্য এবং তার বই ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ ও ইহইয়াউস সুনান।