যিকর ইসলামের অন্যতম ইবাদত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কী শব্দে যিকর করতে হবে, কখন কীভাবে করতে হবে তা সবই শিখিয়েছেন। তিনি ও তাঁর সাহাবীগণ তা পালন করেছেন। তাঁরা কখনো সমবেতভাবে সশব্দে যিকর করেননি। কখনো কখনো কোনো কোনো যিক্রের শব্দ ব্যক্তিগতভাবে সশব্দে বলেছেন। যেমন, বিতর সালাতের পরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনবার ‘সুবহানাল মালিকিল কুদ্দূস’ বলতেন। শেষবারে সশব্দে টেনে টেনে বলতেন। অনেক সময় সালাতের সালাম ফেরানর পরে দু’একবার তাকবীর তাহলীল শব্দ .করে বলেছেন। এধরনের কিছু ঘটনা ছাড়া সাধারণভাবে সকল নিয়মিত যিকর নীরবে মনে মনে আদায় করতেন। তাঁর এই দু’একবার সশব্দে যিকরের উপর ভিত্তি করে সশব্দে যিকর জায়েয বলা হয়েছে। এরপর সূফীগণ শব্দ করে যিকরকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। অধিকাংশ যিকর সশব্দে বা জোরে জোরে আদায় করাই তাঁদের রীতিতে পরিণত হয়।
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ, বই: এহ্ইয়াউস সুনান, পৃ. ১৭৪।
সকল বিদ‘আত কর্মই মূলত জায়েজ, হাদীসের বিশুদ্ধতা যাচাই: রাসূলুল্লাহ (সা.) এর নির্দেশ ও সাহাবীগণের, সালাতই শ্রেষ্ঠ যিকর, মুনাজাত ও দু‘আ, যিলহজ্জ মাস এবং প্রথম তেরদিনের আমল সমূহ:, বাইবেল পরিচিতি ৩য় অংশ