পাশ্চাত্যের অন্ধ অনুকরণ আমাদেরকে ধ্বংসের পথে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। বেহায়াপনা ও অশ্লীলতার কারণে পাশ্চাত্যের মানুষেরা ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনের প্রশান্তি হারিয়েছে। সর্বোপরি একারণে পাশ্চাত্যে পারিবারিক কাঠামো ভেঙ্গে গিয়েছে। লক্ষলক্ষ নারী-পুরুষ বিবাহ না করে পশুর মত জীবন যাপন করছে।

নতুন প্রজন্মের জন্ম প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শতাব্দীর মধ্যে পাশ্চাত্যের White race বা সাদা জাতি বিলীন হওয়ার পথে। আর এর একমাত্র কারণ নারী স্বাধীনতার নামে বেহায়াপনার প্রসার।নারী স্বাধীনতার নামে মুসলিম মহিলাদেরকে সেই পথে ডাকা হচ্ছে। সর্বত্র একটি দৃশ্য আমাদের নযরে পড়ে। পুরুষ মাথা থেকে পা পর্যন্ত আবৃত করে পোশাক পরেছেন। তার পাশে মহিলা দাঁড়িয়ে আছেন শরীরের অধিকাংশ স্থান অনাবৃত করে।

শালীন পোশাক

যদি স্বাধীনতার পরিপন্থী হয় তাহলে এই পুরুষটি কি স্বাধীনতা বিহীন? তিনি কি তার পাশের মহিলার অধীন?? একজন পুরুষ যদি তার পুরো শরীর আবৃত করেও স্বাধীনতা ও ভদ্রতা রক্ষা করতে পারেন তাহলে মহিলা কেন পারবেন না? একজন মহিলার দেহ অনাবৃত করলে তার কি কোনো দৈহিক, মানসিক বা সামাজিক কোনো লাভ আছে? একমাত্র বেহায়া পুরুষদের কুদৃষ্টির পরিতৃপ্তি দান ছাড়া এর আর কোনো উদ্দেশ্য আছে কি?

এ সকল বেহায়া পশু চরিত্রের পুরুষেরাই বিভিন্ন অজুহাতে মেয়েদেরকে নগ্ন করে তাদের নারীত্ব ও শালীনতা নষ্ট করতে চায়। কুরআন ও হাদীসের আলোকে আমরা বুঝি যে, একজন মুসলিম নারীর জন্য মাথার চুল, কান, গলা হাত, বাজু বা দেহের যে কোনো অঙ্গ অনাবৃত রেখে বাইরে যাওয়া বা ঘরের মধ্যেও গাইর মাহরাম আত্মীয়দের সামনে এভাবে যাওয়া ব্যভিচার, মদ্যপান ও অন্যান্য কঠিন হারাম কর্মগুলির মতই কঠিন হারাম কর্ম।

মুসলিম মহিলার জন্য এগুলি আবৃত করা যেমন ফরয, তাকে শরীয়তের মধ্যে পরিচালিত করা তার স্বামী বা পিতার জন্যও অনুরূপ ফরয আইন। আমরা সমাজে এমন অনেক দীনদার মানুষ দেখতে পাই, যিনি নিজে দাড়ি রেখেছেন এবং টুপি পরিধান করেন, অথচ তার স্ত্রী বা কন্যা মাথা, চুল বা দেহের অন্যান্য অংশ অনাবৃত করে চলেন। দাড়ি রাখা ওয়াজিব, টুপি পরা সুন্নাত, কিন্তু স্ত্রী ও কন্যার মাথায় কাপড় পরানো ও তাদেরকে পর্দা মানানো ফরয।

আর ফরয বাদ দিয়ে ওয়াজিব, সুন্নাত বা নফল পালনের অর্থই হলো নগ্ন হয়ে পাগড়ী পরা। আমরা অনেকেই এরূপ উদ্ভট ধার্মিকতায় লিপ্ত।

খুতবাতুল ইসলাম

ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ।