আজ …… হিজরী সালের রবিউল আউয়াল মাসের প্রথম জুমুআ। আজ আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জন্ম বা মীলাদুন্নবী নিয়ে আলোচনা করব, ইনশা আল্লাহ। কিন্তু তার আগে আমরা এ সপ্তাহের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসগুলির বিষয়ে সংক্ষেপ আলোকপাত করি।
…………………………………………………………………………………………………..
আজ আমরা সেই নবীর জন্ম ও জীবনীর সামান্য কিছু বিষয় আলোচনা করব। মানব জাতির সৃষ্টির শুরুতেই যার মর্যাদার কথা লিপিবদ্ধ হয়েছিল মহান রবের দরবারে। সহীহ হাদীসে ইরবাদ ইবনু সারিয়া (রা) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে বলতে শুনেছি:
إِنِّي عَبْدُ اللَّهِ فِي أُمِّ الْكِتَابِ لَخَاتَمُ النَّبِيِّينَ (إِنِّي عِنْدَ اللهِ مَكْتُوْبٌ بِخَاتَمِ النَّبِيِّيْنَ) وَإِنَّ آدَمَ لَمُنْجَدِلٌ فِي طِينَتِهِ وَسَأُنَبِّئُكُمْ بِتَأْوِيلِ ذَلِكَ (بِأَوَّلِ ذَلِكَ) دَعْوَةِ أَبِي إِبْرَاهِيمَ وَبِشَارَةِ عِيسَى قَوْمَهُ وَرُؤْيَا أُمِّي الَّتِي رَأَتْ (حِيْنَ وَضَعَتْنِي) أَنَّهُ خَرَجَ مِنْهَا نُورٌ أَضَاءَتْ لَهُ قُصُورُ الشَّامِ وَكَذَلِكَ تَرَى أُمَّهَاتُ النَّبِيِّينَ صَلَوَاتُ اللَّهِ عَلَيْهِمْ
“যখন আদম তার কাদার মধ্যে লুটিয়ে রয়েছেন (তাঁর দেহ তৈরি করা হয়েছে কিন্তু রূহ প্রদান করা হয় নি) সেই অবস্থাতেই আমি আল্লাহর নিকট উম্মুল কিতাবে খাতামুন নাবিয়্যীন বা শেষ নবী রূপে লিখিত। আমি তোমাদেরকে এর শুরু বা ব্যাখ্যা সম্পর্কে জানাব। তা হলো আমার পিতা ইবরাহীমের (আ) দোয়া, ঈসার (আ) সুসংবাদ এবং আমার আম্মার দর্শন। তিনি যখন আমাকে জন্মদান করেন তখন দেখেন যে, তাঁর মধ্য থেকে একটি নূর (জ্যোতি) নির্গত হলো যার আলোয় তাঁর জন্য সিরিয়ার প্রাসাদগুলি আলোকিত হয়ে গেল।”1ইবনু হিব্বান, আস-সহীহ ১৪/৩১৩; হাকিম, আল-মুসতাদরাক ২/৬৫৬; আহমদ, আল-মুসনাদ ৪/১২৭, ১২৮; হাইসামী, মাজমাউয যাওয়াইদ ৮/২২৩।
অন্য হাদীসে আবূ হুরাইরা (রা) বলেন,
قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ مَتَى وَجَبَتْ لَكَ النُّبُوَّةُ قَالَ وَآدَمُ بَيْنَ الرُّوحِ وَالْجَسَدِ
“তাঁরা (সাহাবীগণ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, কখন আপনার জন্য নবুয়ত স্থিরকৃত হয়? তিনি বলেন: যখন আদম দেহ ও রূহের মধ্যে ছিলেন তখন।”2তিরমিযী, আস-সুনান ৫/৫৮৫। ইমাম তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান, সহীহ গরীব বলেছেন।
হাজার হাজার বছর ধরে নবী-রাসূলগণ ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন এবং বিশ্বাসী মানুষেরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছেন তাঁর আগমনের। এ সকল ভবিষ্যদ্বাণীর বিস্তারিত আলোচনা খুতবার স্বল্প পরিসরে সম্ভব নয়। শুধু ইহূদী ও খৃস্টান সম্প্রদায়ের নিকট বিদ্যমান ‘বাইবেল’ থেকে কয়েকটি উদ্ধৃতি প্রদান করব। পাশ্চাত্যের সকল বাইবেল গবেষক একমত যে। ইহূদী-খৃস্টানগণ বিভিন্নভাবে তাওরাত, যাবূর ও ইঞ্জিলের মধ্যে বিকৃতি, পরিবর্তন, সংযোজন ও বিয়োজন করেছেন। তাঁরা মুহাম্মাদ সা. বিষয়ক ভবিষ্যদ্বাণীগুলি বিকৃত করেছেন।
তারপরও অনেক ভবিষ্যদ্বাণী রয়ে গিয়েছে, যা তারা পুরো বিকৃত করতে পারে নি। যেমন বাইবেলের তাওরাত নামে কথিত অংশের প্রথম পুস্তক Genesis বা “আদিপুস্তকের” ১৭ অধ্যায়ের ২০ আয়াতে আল্লাহ ইবরাহীম (আ)-কে প্রতিশ্রুতি দেন যে, ইসমাঈলের বংশ থেকে একটি মহান জাতি (a great nation) তৈরি করবেন। এরপর তাওরাতের ৫ম পুস্তক Deuteromony বা “দ্বিতীয় বিবরণ” নামক গ্রন্থের ১৮ অধ্যায়ের ১৮ আয়াতে লিখিত হয়েছে যে, আল্লাহ মূসা (আ)-কে বলেন: I will raise them up a Prophet from among their brethren, like unto thee, and will put my words in his mouth; and he shall speak unto them all that I shall command him. “আমি উহাদের জন্য উহাদের ভ্রাতৃগণের মধ্য হইতে- অর্থাৎ বনী ইসরাঈলের ভ্রাতৃগণ বনী ইসমাঈলের মধ্য থেকে- তোমার সদৃশ এক ভাববাদী- রাসূল উৎপন্ন করিব। ও তাঁহার মুখে আমার বাক্য দিব; আর আমি তাঁহাকে যাহা যাহা আজ্ঞা করিব। তাহা তিনি উহাদিগকে বলিবেন।”
দ্বিতীয় বিবরণের ৩৩ অধ্যায়ের ২ আয়াতে বলা হয়েছে: The LORD came from Sinai, and rose up from Seir unto them; he shined forth from mount Paran, and he came with ten thousands of saints: from his right hand went a fiery law for them. অর্থাৎ “সদাপ্রভু সীনয় হইতে আসিলেন, সেয়ীর হইতে তাহাদের প্রতি উদিত হইলেন; পারণ পর্বত হইতে আপন তেজ প্রকাশ করিলেন। দশ সহস্র পবিত্রের সহিত3বাংলা বাইবেলে ‘নিকট হইতে’ লেখা হয়েছে। তবে ইংরেজি অথোরাইযড ভার্সনের ভাষ্য অনুসারে ‘সহিত’ হওয়া বাঞ্ছনীয়। আসিলেন; তাহাদের জন্য তাঁহার দক্ষিণ হস্তে অগ্নিময় ব্যবস্থা ছিল।”
আররের মক্কাকে পারান বলা হতো।
বাইবেলে বিভিন্ন স্থানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইসমাঈল (আ) পারান প্রান্তরে বসতি স্থাপন করেন। এখানে সীনয় হতে আগমন বলতে মূসা (আ)-এর আগমন। সেয়ীর হতে উদিত হওয়া বলতে ঈসা (আ)-এর আগমন। ও পারান হতে তেজ প্রকাশ বলতে মুহাম্মাদ সা.-এর আগমন বুঝানো হয়েছে। আর তিনি মক্কা বিজয়ের সময় দশ হাজার পবিত্রকে সাথে নিয়ে এসেছিলেন। এবং মানবতার জন্য অগ্নিময় বিধান কুরআন দিয়ে গিয়েছেন। ইসমাঈল (আ)-এর পুত্র কেদাররে নামানুসারে বাইবেলে বিভিন্নস্থানে আরবরদেরকে কেদার-বংশীয় বলা হয়েছে।
বাইবেলের পুরাতন নিয়মের একটি পুস্তক যিশাইয় নবীর পুস্তক। এ পুস্তকের ২১ অধ্যায়ে ১৩-১৭ আয়াতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হিজরত। পথিমধ্যে তিহামার উম্মু মা’বাদের নিকট থেকে পানি ও দুগ্ধ গ্রহণ। এক বছরের মধ্যে বদর যুদ্ধে কুরাইশদের পরাজয়ের বিষয়ে বলা হয়েছে: “আরর দেশের উপরে দায়িত্ব। হে দদানীয় পথিক দলসমূহ, তোমরা আরবে বনের মধ্যে রাত্রি যাপন করিবে।
তোমরা তৃষিতের কাছে জল আন; হে টেমা-দেশবাসীরা। তোমরা অন্ন লইয়া পলাতকদের সহিত সাক্ষাৎ কর। কেননা তাহারা খড়্গের সম্মুখ হইতে, নিষ্কোষিত খড়্গের, আকর্ষিত ধনুর ও ভারী যুদ্ধের সম্মুখ হইতে পলায়ন করিল। বস্তুতঃ প্রভু আমাকে এই কথা কহিলেন, বেতনজীবীর বৎসরের ন্যায়। আর এক বৎসর কাল মধ্যে কেদরের সমস্ত প্রতাপ লুপ্ত হইবে। আর কেদর-বংশীয় বীরগণের মধ্যে অল্প ধনুর্ধর মাত্র অবশিষ্ট থাকিবে।”
প্রচলিত বাইবেলে আমরা দেখি যে, ঈসা (আ) বারংবার পারাক্লীটস বা প্রশংসিত ব্যক্তি (মুহাম্মাদ), শাফায়াতকারী। সাহায্যকারী সত্যের আত্মা বা ‘আল-আমীন’-এর আগমনের কথা জানাচ্ছেন। খৃস্টান পাদরিগণ এগুলির বিভিন্ন ভুল ব্যাখ্যা করে খৃস্টানদেরকে বিভ্রান্ত করে। সুস্পষ্টতই এখানে মুহাম্মাদ সা.-এর আগমনের কথা বলা হয়েছে।
বাইবেলের ইঞ্জিল শরীফ বলে
কথিত অংশে যোহনের লেখা ইঞ্জিলের ১৬ অধ্যায়ের ৭, ১২-১৩ আয়াতে বলা হয়েছে: Nevertheless I tell you the truth; It is expedient for you that I go away: for if I go not away, the Comforter (Paracletos)/ (Periclytos) will not come unto you; but if I depart, I will send him unto you. … I have yet many things to say unto you, but ye cannot bear them now. Howbeit when he, the Spirit of truth, is come, he will guide you into all truth: for he shall not speak of himself; but whatsoever he shall hear that shall he speak: and he will shew you things to come.
“তথাপি আমি তোমাদিগকে সত্য বলিতেছি। আমার যাওয়া তোমাদের পক্ষে ভাল। কারণ আমি না গেলে, সেই ফারাক্লীত: Paracletos: সুপারিশকারী বা Periclytos প্রশংসিত ব্যক্তি তোমাদের নিকটে আসিবেন না; কিন্তু আমি যদি যাই। তবে তোমাদের নিকটে তাঁহাকে পাঠাইয়া দিব।… তোমাদিগকে বলিবার আমার আরও অনেক কথা আছে। কিন্তু তোমরা এখন সেই সকল সহ্য করিতে পার না। পরন্ত তিনি, সত্যের আত্মা (আস-সাদেক, আল-আমীন) যখন আসিবেন। তখন পথ দেখাইয়া তোমাদিগকে সমস্ত সত্যে লইয়া যাইবেন। কারণ তিনি আপনা হইতে কিছু বলিবেন না। কিন্তু যাহা যাহা শুনেন, তাহাই বলিবেন। এবং আগামী ঘটনাও তোমাদিগকে জানাইবেন।”
এরূপ অনেক স্পষ্ট ভবিষ্যদ্বাণী বাইবেলের মধ্যে রয়েছে। রেভারেন্ড প্রফেসর ডেভিড বেঞ্জামিন আরমেনীয়ার একজন বিশপ ছিলেন। তিনি খৃস্টধর্মের উপরে সর্বোচ্চ লেখাপড়া করেন এবং গ্রীক, ল্যাটিন, সিরিয়ান, আরামাইক, হিব্র“, কালডীয়ান ইত্যাদি ভাষায় সুপ-িত ছিলেন। ১৯০০ সালের দিকে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তাঁর রচিত অনেকগুলি মূল্যবান পুস্তকের একটি Muhammad in the Bibble। এ পুস্তকে তিনি এ জাতীয় অনেক ভবিষ্যদ্বাণী উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া মুসল্লীদেরকে বিশেষ করে আল্লামা রাহমাতুল্লাহ কিরানবী লিখিত ‘ইযহারুল হক্ক’ গ্রন্থটি পাঠ করতে অনুরোধ করছি। বইটির বাংলা অনুবাদ ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছে।
মানবতার অপেক্ষার পালা শেষ হলো,
মহান আল্লাহর মহান নবীর আগমনের সময় হলো। ইবরাহীম (আ)-এর দোয়ার বাস্তবায়নে ইসমাঈল (আ)-এর বংশে আরবে শ্রেষ্ঠতম কুরাইশ বংশে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জন্মগ্রহণ করেন। সহীহ হাদীস থেকে জানা যায় যে, তিনি সোমবার জন্মগ্রহণ করেন। আবু কাতাদা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -কে সোমবার দিন রোযা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়। তিনি বলেন :
ذَاكَ يَـوْمٌ وُلِـدْتُ فِـيـهِ وَيَـوْمٌ بُـعِثْـتُ أَوْ أُنْـزِلَ عَلَيَّ فِيهِ
“এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এই দিনেই আমি নবুয়্যত পেয়েছি।”4সহীহ মুসলিম ২/৮১৯।
আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন :
وُلِدَ النَّبِيُّ ৎ يَوْمَ الاثْنَيْنِ وَاسْتُنْبِئَ يَوْمَ الاثْنَيْنِ وَتُوُفِّيَ يَوْمَ الاثْنَيْنِ وَخَرَجَ مُهَاجِرًا مِنْ مَكَّةَ إِلَى الْمَدِينَةِ يَوْمَ الاثْنَيْنِ وَقَدِمَ الْمَدِينَةَ يَوْمَ الاثْنَيْنِ وَرَفَعَ الْحَجَرَ الأَسْوَدَ يَوْمَ الاثْنَيْنِগ্ধ
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সোমবারে জন্মগ্রহণ করেন। সোমবারে নবুয়্যত লাভ করেন, সোমবারে ইন্তেকাল করেন। সোমবারে মক্কা থেকে হিজরত করে মদীনার পথে রওয়ান করেন। সোমবারে মদীনা পৌঁছান এবং সোমবারেই তিনি হাজরে আসওয়াদ উত্তোলন করেন।”((মুসনাদে আহমাদ ৪/১৭২-১৭৩, নং ২৫০৬।))
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জন্মের সাল সম্পর্কে কায়স ইবনু মাখরামা (রা.) বলেন :
وُلِدْتُ أَنَا وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ الْفِيلِ. وَسَأَلَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ قُبَاثَ بْنَ أَشْيَمَ أَخَا بَنِي يَعْمَرَ بْنِ لَيْثٍ أَأَنْتَ أَكْبَرُ أَمْ رَسُولُ اللَّهِ ৎ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَكْبَرُ مِنِّي وَأَنَا أَقْدَمُ مِنْهُ فِي الْمِيلادِ وُلِدَ رَسُولُ اللَّهِ ৎ عَامَ الْفِيلِ.
“আমি ও সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দু’জনেই ‘হাতির বছরে’ জন্মগ্রহণ করেছি। উসমান ইবনু আফফান (রা.) কুবাস ইবনু আশইয়ামকে (রা) প্রশ্ন করেন। আপনি বড় না সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বড়? তিনি উত্তরে বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার থেকে বড়। আর আমি তাঁর পূর্বে জন্মগ্রহণ করেছি।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘হাতীর বছরে’ জন্মগ্রহণ করেন।”5তিরমিযী, আল-জামিয়, প্রাগুক্ত ৫/৫৫০, নং ৩৬১৯। ইমাম তিরমিযী বলেছেন: হাদীসটি হাসান গরীব। হাতীর বছর অর্থাৎ যে বৎসর আবরাহা হাতি নিয়ে কাবা ঘর ধ্বংসের জন্য মক্কা শরীফ আক্রমণ করেছিল। ঐতিহাসিকদের মতে এ বছর ৫৭০ বা ৫৭১ খ্রিষ্টাব্দ ছিল।6আকরাম যিয়া আর-উমারী, আস-সীরাতুন নাবাবীয়্যাহ আস-সহীহা ১/৯৬-৯৮, মাহদী রেজকুল্লাহ, আস-সীরাতুন নাবাবীয়াহ, ১০৯-১১০ পৃ।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
কোন মাসের কত তারিখে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সে সম্পর্কে হাদীসে নববী থেকে কিছুই জানা যায় না। সাহাবীগণের মাঝেও এ বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট মত প্রচলিত ছিল না। একারণে পরবর্তী যুগের আলিম ও ঐতিহাসিকগণ তাঁর জন্মতারিখ সম্পর্কে অনেক মতভেদ করেছেন। ইবনু হিশাম, ইবনু সা’দ, ইবনু কাসীর। কাসতালানী ও অন্যান্য ঐতিহাসিক ও সীরাত লিখক এ বিষয়ে ১২টিরও বেশি মতামত উল্লেখ করেছেন। জন্ম মাসের বিষয়ে আটটি মত পাওয়া যায়।
কেউ বলেছেন মুর্হারাম, কেউ বলেছেন সফর। কেউ বলেছেন রবিউল আউয়াল, কেউ বলেছেন রবিউস সানী। কেউ বলেছেন রজব এবং কেউ বলেছেন রামাদান মাসে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। যারা রবিউল আউয়াল মাসকে তাঁর জন্ম মাস বলেছেন তারাও তারিখ নিয়ে অনেক মতভেদ করেছেন। কেউ বলেছেন তিনি এ মাসে ২ তারিখে। কেউ বলেছেন ৮ তারিখে, কেউ বলেছেন ১০ তারিখে, কেউ বলেছেন ১২ তারিখে।
কেউ বলেছেন ১৭ তারিখে এবং কেউ বলেছেন ২২ তারিখে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। প্রত্যেক মতের পক্ষেই কোনো কোনো সাহাবী বা তাবিয়ী থেকে মতামত বর্ণনা করা হয়েছে।7ইবনু সা’দ, আত-তাবাকাতুল কুবরা ১/১০০-১০১, ইবনু কাসীর, আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ২/২১৫, আল-কাসতালানী, আহমদ বিন মুহাম্মাদ, আল-মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যা ১/৭৪-৭৫, আল-যারকানী, শরহুল মাওয়াহিব আল-লাদুন্নিয়্যা ১/২৪৫-২৪৮, ইবনু রাজাব, লাতায়েফুল মায়ারেফ ১/১৫০; ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর, এহইয়াউস সুনান, ৫১৯-৫২১ পৃষ্ঠা (পরিমার্জিত ও পরিবর্তিত পঞ্চম সংস্করণ)
তাঁর জন্মের কয়েক মাস পূর্বেই তাঁর পিতা আব্দুল্লাহ ইবনু আব্দুল মুত্তালিব ইন্তেকাল করেন। জন্মের পর তাঁর মাতা তাঁর নাম রাখেন আহমদ। আর তাঁর দাদা তাঁর নাম রাখেন মুহাম্মাদ। মুহাম্মাদ নামেই তিনি অধিক পরিচিত ছিলেন। আবূ মূসা আশআরী (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে তাঁর নামগুলি বলতেন।
তিনি বলতেন:
أَنَا مُحَمَّدٌ وَأَحْمَدُ وَالْمُقَفِّي وَالْحَاشِرُ وَنَبِيُّ التَّوْبَةِ وَنَبِيُّ الرَّحْمَةِ
“আমি মুহাম্মাদ, আমি আহমাদ, আমি আল-মুকাফ্ফী (সর্বশেষ), আমি আল-হাশির (জমায়েতকারী), আমি নাবিইউত তাওবা (তাওবার নবী) এবং আমি নাবিইউর রাহমাত (রহমতের নবী)।”8মুসলিম, আস-সহীহ ৪/১৮২৮
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জন্ম নিঃসন্দেহে উম্মাতের জন্য মহা আনন্দের বিষয়। তবে এ আনন্দ প্রকাশ যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সাহাবীগণের সুন্নাত অনুসারে হয় তাহলে তাতে সাওয়াব হবে।
আমরা যে কোনো
“জায়েয” পদ্ধতিতে “জায়েয” খাবার খেতে পারি। তাতে আমরা খাবারের মজা, আনন্দ ও পুষ্টি লাভ করব। তবে সুন্নাত পদ্ধতিতে সুন্নাত খাবার খেলে মজা, আনন্দ ও পুিষ্ট ছাড়াও আমরা অতিরিক্ত ‘সাওয়াব’ লাভ করব। আমারা যে কোনো “জায়েয” পোশাক যে কোনো “জায়েয” পদ্ধতিতে পরিধান করতে পারি। এতে আমাদের সতর ঢাকা ও সৌন্দর্য অর্জন হবে। তবে সুন্নাত পদ্ধতিতে সুন্নাত পোশাক পরিধান করলে আমরা সতর ঢাকা।
ও সৌন্দর্যের সাথে সাথে সাওয়াব ও বরকত অর্জন করব। অনুরূপভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মীলাদ বা জন্মে আমাদের আনন্দ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সাহাবীগণের সুন্নাত। অনুসারে করতে পারলে আমরা এতে অফুরন্ত সাওয়াব ও বরকত লাভ করতে পারব।
সফর মাসের প্রথম খুতবায় আমরা সুন্নাতের গুরুত্ব আমরা জেনেছি। আমরা দেখেছি যে, সুন্নাত অর্থ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হুবহু অনুকরণ। তিনি যে ইবাদতটি যেভাবে পালন করেছেন তা সেভাবে পালন করাই তাঁর সুন্নাত। বিভিন্ন সহীহ হাদীসের আলোকে আমরা দেখেছি যে। সুন্নাত ভালবাসলে ও সুন্নাত জীবিত করলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাথে জান্নাতে অবস্থানের নিয়ামত লাভ করা যাবে।
ফিতনার সময়ে সাহাবীগণের সুন্নাত অবিকল অনুসরণ করলে ৫০ জন সাহাবীর সমপরিমাণ সাওয়াব পাওয়া যায়। কাজেই আমরা যদি মীলাদুন্নবী সা.-এর আনন্দ অবিকল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবীগণের পদ্ধতিতে করতে পারি। তাহলে আনন্দ প্রকাশের সাথে সাথে আমরা এরূপ অফুরন্ত সাওয়াব লাভ করতে পারব। তাহলে আমরা কেন সুন্নাত পদ্ধতি বাদ দিয়ে নিজেদের ইচ্ছামত পদ্ধতিতে মীলাদুন্নবী সা. পালন করব? সুন্নাত পদ্ধতিতে সাওয়াব কম হয় মনে করে? না সুন্নাত পদ্ধতি বর্তমানে অচল মনে করে? এতে তো সুন্নাত অবজ্ঞা করার গোনাহ হয়ে যাবে।
মীলাদ পালনের সুন্নাত পদ্ধতি হলো
প্রতি সোমবার সিয়াম পালনের মাধ্যমে আল্লাহর দবরারে শুকরিয়া জানানো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে আমাদের এ পদ্ধতি শিখিয়েছেন। এ ছাড়া আমরা দেখেছি যে, মূসা (আ) ও পরবর্তীকালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আশূরার দিন সিয়াম পালন করেছেন। এ থেকে আমরা বুঝি যে। বড় নেয়ামত ও বিজয়ে আনন্দ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ক্ষেত্রে নবীগণের সুন্নাত হলো সিয়াম পালন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মীলাদ বা জন্মে আনন্দ প্রকাশের দ্বিতীয় সুন্নাত পদ্ধতি হলো সর্বদা তাঁর উপর দরুদ ও সালাম পাঠ করা। তিনি আমাদের জন্য যা করেছেন আমরা জীবন বিলিয়ে দিলেও তাঁর সামান্যতম প্রতিদান দিতে পারব না। কারণ আমরা হয়ত আমাদের পার্থিব সংক্ষিপ্ত জীবনটা বিলিয়ে দিলাম। কিন্তু তিনি তো আমাদের পার্থিব ও পারলৌকিক অনন্ত জীবনের সফলতার পথ দেখাতে তাঁর মহান জীবনকে উৎসর্গ করেছেন।
তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি আমাদের নূন্যতম দায়িত্ব যে আমরা সর্বদা তাঁর জন্য সালাত ও সালাম পাঠ করব। আল্লাহর যিকর ও সালাত সালামের জন্য ওযু করা শর্ত নয়। তবে তা উত্তম বসে, শুয়ে, দাঁড়িয়ে, হাঁটতে হাঁটতে, ওযুসহ বা ওয-ছাড়া সর্বাবস্থায় সালাত-সালাম পাঠ করতে হবে। বিভিন্ন সহীহ হাদীস থেকে জানা যায় যে। একবার সালাত পাঠ করলে বান্দা নিম্নের সাত প্রকার পুরস্কার লাভ করে:
একবার দরুদ পাঠ করলে
(১) মহান আল্লাহ দরুদ পাঠকারীর দশটি গোনাহ ক্ষমা করেন, (২) দশটি সাওয়াব দান করেন, (৩) দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করেন, (৪) দশটি রহমত দান করেন, (৫) ফিরিশতাগণ তার জন্য দু‘আ করতে থাকেন, (৬) ফিরিশতাগণ পাঠকারীর নাম ও তার পিতার নামসহ তার সালাত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্র রাওযায় পৌঁছে দেন, (৭) তিনি নিজে এবার সালাত পাঠকারীর জন্য ১০ বার দুআ করেন। বেশি বেশি সালাত পাঠকারীর জন্য রয়েছে অতিরিক্ত দুটি পুরস্কার। প্রথমত আল্লাহ তার সমস্যা ও দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দিবেন। এবং দ্বিতীয়ত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শাফায়াত তাঁর পাওনা হবে।
সালাতের সাথে সাথে সালাম পাঠ করতে হবে। তাঁর উপর সালাম পাঠ করলে। স্বয়ং আল্লাহ সালাম পাঠকারীকে সালাম প্রদান করেন। সালাম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর রাওযা মুবারাকায় ফিরিশতাগণ পৌঁছে দেন এবং তিনি সালামের উত্তর প্রদান করেন।9বিস্তারিত দেখুন, ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর, রাহে বেলায়াত, পৃষ্ঠা ১৪৮-১৬৬।
মীলাদে মুসতাফায় আনন্দ প্রকাশের ক্ষেত্রে সাহাবীগণের অন্যতম সুন্নাত হলো। সর্বদা তাঁর সীরাত-শামাইল আলোচনা করা। সাহাবীগণ, তাবিয়ীগণ, তাবি-তাবিয়ীগণ বা আমাদের ইমামগণ কেউ কখনো ১২ই রবিউল আউয়াল বা অন্য কোনো দিনে মীলাদ উপলক্ষে আনন্দ। উৎসব বা সমাবেশ করেন নি। তাঁরা সদা সর্বদা সুযোগ মত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জীবনী, জন্ম, সীরাত, সুন্নাত, আখলাক, নির্দেশ এগুলি আলোচনা করতেন। আমাদেরও উচিত সর্বদা সুযোগ মত এরূপ আলোচনার মাজলিসের আয়োজন করা।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
এর আগমনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের অন্যতম দিক হলো তাঁর মহান শিক্ষা ও পবিত্রতম চরিত্রের কথা বিশ্ববাসীকে জানানো। ইসলামের সত্য ও সরলতা যে কোনো মানুষকে মুগ্ধ করে। এবং সাধারণভাবে মানুষ সহজেই ইসলাম গ্রহণ করে। এভাবে অতি দ্রুত ইসলাম বিভিন্ন মানব সমাজে বিস্তার লাভ করেছে। ইসলামের এ অগ্রযাত্রায় বিক্ষুদ্ধ হয়ে সকল যুগেই অন্ধকারের পূজারীরা মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে।
অতীতের মত বর্তমান যুগেও পাশ্চাত্যের ধর্মগুরু ও পণ্ডিতগণ ইসলামের বিরুদ্ধে। ও বিশেষত ইসলামের নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিরুদ্ধে অগণিত মিথ্যাচারের মাধ্যমে তাঁকে কলঙ্কিত করতে অপচেষ্টা করছে। মুহাম্মাদ সা. জিহাদ করেছেন ও জিহাদ অনুমোদন করেছেন বলে তারা তাঁকে সন্ত্রাসী বলে চিত্রিত করছে। অথচ তাদের ধর্মগ্রন্থ বাইবেলে নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোর নির্বিশেষে নির্বিচারে অপরধর্মের ম্নাুষদের হত্যা করতে। এবং তাদের উপাসনালয় ভেঙ্গে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অনুরূপভাবে যারা ইহূদী-খৃস্টান নয় বাইবেলে তাদেরকে কুকুর ও শূকর নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রচলিত বিকৃত বাইবেলের বর্বর জিহাদকে মানবিক রূপদান করেছেন। সন্ত্রাস ও সংঘাতের পথ রুদ্ধ করেছেন এবং জাতিধর্ম ও লিঙ্গবর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের সাম্য ও অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। আজ আমাদের দায়িত্ব হলো তাঁর মহান শিক্ষা বিশ্বের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
বড় দুঃখজনক বিষয় হলো, হাজার বছর বাংলার মুসলিমদের পাশে বাস করল সাওতাল, গারো, চাকমা ও অন্যান্য উপজাতির মানুষেরা। কিন্তু আমরা তাদেরকে মুহাম্মাদ সা.-এর পরিচয় তাদের কাছে তুলে ধরলাম না বা তাঁকে চিনতে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করলাম না। অথচ খৃস্টান মিশনারীগণ হাজার হাজার মাইল দূর থেকে এসে তাদের নবী ঈসা মাসীহর কথা তাদেরকে শোনালো। এবং তাদেরকে খৃস্টান বানিয়ে নিল। আমাদের একটু ভেবে দেখা দরকার।
আমাদের দুর্ভাগ্য যে,
বৎসরের প্রায় প্রতিদিন আমরা সাধারণত বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে, মানুষদের মুখ থেকে। বই বা পত্রপত্রিকা পড়ে সারাদিন অনেক কিছু শুনি, পড়ি, দেখি এবং বলি, কিন্তু এর মধ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থাকেন না। আমরা তাঁর বিষয়ে খুব কমই পড়ি, বলি, দেখি বা শুনি। এরূপ অবহেলা ও দূরত্বের সাথে যদি আমরা মাঝে মধ্যে মীলাদ করে আমাদের ভালবাসা প্রকাশ করি তবে তা ভ-ামি ছাড়া আর কিছুই হবে না।
সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হলো, আমাদের নিজেদের “মীলাদ” অর্জন করা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি ঈমান এনে, তাঁর শরীয়ত মোতাবেক জীবন গঠন করে। তাঁর সুন্নাতের পরিপূর্ণ অনুসরণ করে, সদা সর্বদা তাঁর উপর দরুদ সালাম পাঠ করে। সাধ্যমত বেশি বেশি তাঁর জীবনী ও হাদীস পাঠ করে। ও শ্রবণ করে নিজেদের জন্য নতুন জীবনের নতুন জন্ম লাভ করা। এই তো হলো সর্বোচ্চ সফলতা। আল্লাহ আমাদের সকলকে তাওফীক প্রদান করুন। আমীন।
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর, রাহিমাহুল্লাহ, বই: খুতবাতুল ইসলাম, পৃ. ৯৫-১০২।
পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নাবী, আরশের গায়ে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নাম, হাদীসের বিশুদ্ধতা যাচাই: রাসূলুল্লাহ (সা.) এর নির্দেশ ও সাহাবীগণের, ইফতারি কখন করা সুন্নাত, সিয়াম, ইফতার, পানাহার ও মেহমান সম্পর্কিত কিছু দু‘আ, তারাবীহ: আকীদা, সুন্নাত ও বিদ‘আত