আসসালামু আলাইকুম। মুহতারাম, বেশ কিছুদিন আগে প্রশ্নগুলো করছিলাম কিন্তু এখনও উত্তর পাইনি বলে আবার করছি। ১) জুম্মার দিনে আমাদের এলাকার প্রায় মসজিদেই দেখা যায়, ইমাম হুজুর এসে বাংলায় কিছু কথা বলেন, এর পর সুন্নাত সালাত পড়ার সময় দেন তারপর আরবীতে খুতবা শুরু করেন। পাশাপাশি সহিহ বুখারির হাদিস নং: ৯১০ হাদিস থেকে জানা যায় যে, সালমান ফারসী রাজিয়াল্লাহুআনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইওআসসলাম বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমুআর দিন ভালভাবে গোসল করে তেল বা সুগন্ধি ব্যবহার করে (মসজিদে) গমন করবে অতঃপর (মসজিদে) কাউকে না ডিঙিয়ে সাধ্যানুযায়ী নামায পড়বে এবং যখন ইমাম খুতবা দেয়ার জন্য বের হবে তখন চুপ করে তা শুনবে, তার এক জুমুআ থেকে অপর জুমুআর মাঝের সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। এই হাদিসে রাকআত সংখ্যা নির্দিষ্ট করা হয়নি বলে আলেমগণ বলেছেন দুই রাকআত থেকে শুরু করে যত ইচ্ছা পড়বে, যত বেশি পড়বে ততো বেশি সওয়াব হবে। এমতাবস্থায়, মসজিদে প্রবেশের পর যদি দেখা যায়, আরবী খুতবা শুরুর আগে বাংলায় কথা বলছেন, তাহলে কী সেসময় উপরিউক্ত হাদিস অনুসারে আরবী খুতবা শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত দুই রাকআত দুই রাকআত করে সালাত আদায় করতে থাকব, নাকি কোন কিছু না পড়ে উনার বাংলায় বলা কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনতে থাকবো এবং উনার বাংলায় বলা কথাগুলোর পর যখন চার রাকাআত সুন্নাত সালাতের সময় পাওয়া যাবে তখন সুন্নাত সালাত আদায় করবো?
২) আমি যতটুকু জানতে পেরেছি, আযানের উত্তর দেয়ার মাসনুন নিয়ম হচ্ছে, আযানের শব্দগুলো শুনার পরপরই নিজে নিজে বলার পর (শুধুমাত্র হাইয়ালাসালালাহ ও হাইয়ালাল ফালাহ শুনার পর লা-হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা-বিল্লাহ বলা), দরূদ-এ-ইব্রাহিম পরে আযানের মাসনুন দোয়াটি (আল্লাহুম্মা রাব্বাহাযিহি দাওয়াতিত্তামা ওয়া আত্তাহ। ) পড়া। তদ্রুপ আমার জানামতে, ইকামাতের উত্তর দেয়ার মাসনুন নিয়ম হচ্ছে, ইকামাতের শব্দগুলো শুনার পরপরই নিজে নিজে বলা (শুধুমাত্র হাইয়ালাসালালাহ ও হাইয়ালাল ফালাহ শুনার পর লা-হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা-বিল্লাহ বলা)। এমতাবস্থায়, আমার প্রশ্ন, আযান ও ইকামাতের উত্তর দেয়ার উপরিউক্ত নিয়মগুলো সঠিক কিনা এবং জুম্মার সালাতের প্রথম ও দ্বিতীয় আযান ও ইকামাতের উত্তর কী এক নিয়মে দিতে হবে?