As-Sunnah Trust

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 4846

অর্থনৈতিক

প্রকাশকাল: 7 May 2019

প্রশ্ন

আস-সালামু-আলাইকুম,
আমি প্রায় ৪ বছর পূর্বে এক ব্যক্তির সাথে একটি ব্যবসায়িক চুক্তি করেছিলাম। উনি তাবলীগের লোক ছিলেন এবং প্রায় ই ৪০ দিন বা তারও বেশী সময় উধাও হয়ে যেতেন। এজন্য আমি তার সাথে চুক্তি করি যে, যদি তিনি ব্যবসা শুরুর ৬ মাসের মধ্যে তার প্রতিশ্রুত টাকা ব্যবসায় বিনিয়োগ না করেন এবং ব্যবসা উক্ত কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হলে (তাবলিগী ভাই) তার শেয়ার হতে বঞ্চিত থাকবেন। পরবর্তীতে, আমি ব্যবসা থেকে বেশ কিছু টাকা খরচ করি এবং আশা করি যে, তিনি হয়ত আগামীতে তার প্রতিশ্রুত টাকা দিতে পারবেন না। এবং তিনি তার প্রতিশ্রুত টাকা আর দেন ও নি। যার কারণে ব্যবসা আর করা হয় নি। সাধারণ চুক্তি অনুযায়ী তিনি তার টাকা ফেরত পাবেন না; কিন্তু এখন ইসলাম এবং বান্দার হক জানার পর মনে খুতখুতি শুরু হয়েছে। এরপর আমি তাকে ব্যবসার সামগ্রিক খরচ হিসাব করে তাকে বাকী টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বললে, তিনি সম্পূর্ণ টাকা ফেরত চান, নতুবা টাকা নিবেন না বলে জানিয়ে দেন। এমনকি তাকে চেক ও দেয়া হয়েছিল, তিনি ছিড়ে ফেলেছেন। ১) এই অবস্থায়, আমি কি করব? তাকে কি তার প্রদত্ত সব টাকা দিতে হবে? ব্যবসা কিন্তু শুরু করা যায় নি তার টাকা না দেওয়ার ফলে; কিন্তু শুরুর দিকের খরচ ঠিকই হয়েছিলো (অনেক টা যেমন দোকানের ফার্নিচার, ভাড়া ইত্যাদি, কিন্তু মালামাল আর কেনা হয় নি রকমের)। ২) সামগ্রিক খরচ বাদ দিয়ে যে টাকা থাকে সেটা দেয়াও কি আমার জন্য জরুরী? যেহেতু চুক্তি মোতাবেক সে আর টাকা দাবী করতে পারবে না? ৩) টাকা সে না নিতে চাইলে, এই টাকা কি দান করে দিলে সেটি আদায় হয়ে যাবে
উল্লেখ্য ঐ সময় আমার নিয়ত তার টাকা না দেওয়ার থাকলেও, এখন আমার নিয়ত আল্লাহ যদি তৌফিক দেন, তাহলে তার সমুদয় টাকাই আমি ফেরত দিয়ে দিব, এমনকি খরচের টাকাও রাখব না। কিন্তু যতদিন আল্লাহ তৌফিক না দেন, এর ভেতর কি করণীয় বুঝিয়ে বলবেন। জাঝাকাল্লাহ খায়ের।

উত্তর

ওয়া আলাইকুমুস সালাম। সামগ্রিক খরচ বাদ দিয়ে যে টাকা থাকে সেটা দেয়া আপনার জন্য জরুরী। সুতরাং ঐ লোকের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কারণে দোকানের ফার্নিচার, ভাড়া ও অন্যন্য কাজ করে যে পরিমাণ টাকা লোকসান হয়েছে সে পরিমাণ টাকা ঐ লোকের টাকা থেকে আপনি নিয়ে নিবেন। বাকী টাকা ফেরৎ দিবেন। আপনি তাকে বলবেন, আপনি খরচ বাদে তার বাকী টাকা ফেরৎ দিতে চান। আপনাদের দুজনের কাছে গ্রহনযোগ্য এমন কোন ব্যক্তির মাধ্যমে বিষয়টি ফয়সালা করুন। অন্য কাউকে দান করবেন না। প্রয়োজনে তার উত্তরাধীকরদের সাথেও যোগাযোগ করবেন।