As-Sunnah Trust

সাম্প্রতিক সংবাদ

শবে বারাতের গোসল

শবে বারাতের গোসল

১০. ১. শবে বারাতের গোসল
প্রচলিত সনদ-বিহীন কথাগুলির অন্যতম হলো এ রাতে গোসল করার ফযীলত। বিষয়টি যদিও ভিত্তিহীন ও বানোয়াট কথা, তবুও আমাদের সমাজে তা ব্যাপক প্রচলিত। আমদের দেশের প্রচলিত প্রায় সকল পুস্তকেই এ জাল কথাটি লিখা হয় এবং ওয়াযে আলোচনায় বলা হয়। প্রচলিত একটি বই থেকে উদ্ধৃত করছি: “একটি হাদীসে আছে, যে ব্যক্তি উক্ত রাত্রিতে এবাদতের উদ্দেশ্যে সন্ধ্যায় গোসল করিবে, সে ব্যক্তির গোসলের প্রত্যেকটি বিন্দু পানির পরিবর্তে তাহার আমল নামায় ৭০০ (সাতশত) রাকাত নফল নামাযের ছওয়াব লিখা যাইবে। গোসল করিয়া দুই রাকাত তাহিয়্যাতুল অজুর নামায পড়িবে।1১. মাও. গোলাম রহমান, মকছুদোল মো’মেনীন, পৃ. ২৪০। আরো দেখুন: মুফতী হাবীব ছামদানী, বার চান্দের ফযীলত, পৃ. ২৬; অধ্যাপিকা কামরুন নেসা দুলাল, পৃ. ৩০৯।

এ মিথ্যা কথাটি দ্বারা প্রভাবিত ও প্রতারিত হয়ে কঠিন শীতের রাতেও অনেকে গোসল করেন। উপরন্তু ফোটা ফোটা পানি পড়ার আশায় শরীর ও মাথা ভাল করে মোছেন না। এর ফলে অনেকে, বিশেষত, মহিলারা ঠান্ডা-সর্দিতে আক্রান্ত হন। আর এ কষ্ট শরীয়তের দৃষ্টিতে বেকার পরিশ্রম ছাড়া কিছুই নয়। কারণ, সুন্নাতের আলোকে এ রাতে গোসল করে ইবাদত করা আর ওযু করে ইবাদত করার মধ্যে কোনোরূপ পার্থক্য নেই।অনুরূপভাবে এ রাতে গোসল করা এবং অন্য কোনো রাতে গোসল করার মধ্যেও কোনো পার্থক্য নেই।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print

Leave a Reply

Your email address will not be published.