একটা মেয়ে আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়, তার বিয়ের এক সপ্তাহ আগে, কিন্তু আমি প্রত্যাখ্যান করি, তার বিয়ে হয়ে যায় অন্য ছেলের সাথে। কিছুদিন পর ওই ছেলের শারীরিক সমস্যা এবং মানসিক সমস্যার জন্য ওই মেয়েই ছেলেকে তালাক দেয়। পরবর্তীতে ওই মেয়ে আমার সাথে আবার যোগাযোগ করে এবং কথা বলে, আমি তাকে বললাম তোমাকে বিয়ে করা অথবা প্রেম করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়, সে বলল আচ্ছা ঠিক আছে বন্ধু হিসেবে কথা বলেন।
এভাবে কিছুদিন কথা বলার পর একটা পর্যায়ে তার সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, আমিও তাকে ভালবাসতে শুরু করি, আমি জানতাম আমার পরিবার মানবে না কোনদিন, তাই আমি তাকে কোনদিন বিয়ের আশ্বাস দেইনি, এরপরেও সে আমাকে ভালোবাসে বলে আমার পরিবারকে তাকে দেখায়। আমার পরিবার কোনভাবেই মেনে নিতে চায় না। সে আমাকে বলে আমাকে বিয়ে করো পরবর্তীতে মেনে নেবে।
একদিন আমার ভগ্নিপতি কেউ দেখালাম কিন্তু মেনে নিল না। আমি পড়ালেখা এবং চাকরির জন্য তাদের এলাকাতে থাকতাম, ভগ্নিপতি অমত পোষণ করায় আমি তাকে বলি আমার অনার্স ফাইনাল ইয়ার এর পরীক্ষা দুই মাস পর পরীক্ষা শেষ হলে আমি তোমাদের এলাকায় ছেড়ে চলে যাব সে আমার এই কথায় কিছু বলল না। আমার অনার্স পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই একদিন, আমাকে দেখা করতে বলে। দেখা করতে গেলে সেখানে কান্না করা শুরু করে এবং আত্মহত্যা করতে চায়। এ কথা শুনে আমি কোন কিছুই ভাবতে পারিনি ওই মুহূর্তে। তার এক বন্ধুর মাধ্যমে ঐদিন ওই মুহূর্তে (এফিডেভিট) করে ফেলি এবং কেউ কারো পরিবারকে না জানানোর জন্ম কথা থাকে। এবং যে যার জায়গায় অবস্থান করতে থাকি।
কিন্তু পরবর্তী দিন আমার ভুল ভাঙলো। আমিও ওই মেয়ের কাছে ক্ষমা চাইলাম এবং বললাম তুমি আমাকে ছেড়ে দাও। আমার কান্না শুনে সে বলল তিন মাস পরে দিব। তিন মাস পর আমার সাথে দেখা করতে চাইলো এবং তালাক দিতে চাইলো কিন্তু দিল না বরং আমার পরিবার কেউ জানিয়ে দিল এখন আমার পরিবার আমাকে চাপ দেয়। বলে হয় ওকে ছাড়তে হবে না হয় আমার আমাদের ছাড়তে হবে ।
সত্যিকার অর্থেই আমি তওবা করেছি। এখন আমাকে একটু পরামর্শ দিলে বাকি জীবনটা সে অনুযায়ী পরিচালনা করার চেষ্টা করতাম ইনশাআল্লাহ!
আপাতত এখন আমি বাড়ি ছাড়া।