চেয়ারম্যানের বাণী
আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট
আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট একটি অরাজনৈতিক, অলাভজনক শিক্ষা, দাওয়াহ ও পূর্ণত মানবকল্যাণে নিবেদিত সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান মানবতার শিক্ষক, মানুষের মুক্তি ও শান্তির দূত, মানবসেবার আদর্শ, মহানবী মুহাম্মদ সা.-এর পদাঙ্ক অনুসরণ করে আর্তমানবতার সেবা, সমাজ সংস্কার, মহত্তম নীতিচেতনার সঞ্চার, কর্মসংস্থান তৈরি, দারিদ্র্য বিমোচন, ইসলামী তমদ্দুনের প্রসার, বহুমুখী শিক্ষায়ন প্রকল্প পরিচালনা, ত্রাণ বিতরণ, স্বল্পমূল্যে বা বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, পরিচ্ছন্ন মানসিকতা গঠনে নিরন্তর নানা কর্মসূচি পালন, সর্বোপরি মৌখিক, লৈখিক ও আধুনিক সকল প্রচারমাধ্যম ব্যবহার করে মানুষকে মহান আল্লাহর আনুগত্য ও তাঁর রাসূলের অনুকরণে সত্য ও শান্তির পথে ডেকে এনে একটি আদর্শ কল্যাণসমাজ বিনির্মাণে যথাশক্তি প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আস-সুন্নাহ ট্রাস্টের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
‘সৃষ্টিজগতের রহমত’ স্বরূপ প্রেরিত মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শের প্রচার, এ আদর্শের প্রেরণায় মানবতার সেবা এবং মমতাপূর্ণ সমাজ ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠিত। এর কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে:
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহ.
আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর-আস সুন্নাহ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহ., যিনি ছিলেন এই উপমহাদেশের অন্যতম সেরা আলিম এবং মুজাদ্দিদ।
নাম ও পরিচয়
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহ. একজন প্রখ্যাত আলেম ও বহু গ্রন্থ প্রণেতা ছিলেন। তাঁর পূর্ণ নাম: আবু নসর মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর। তাঁর পিতার নাম খোন্দকার আনোয়ারুজ্জামান রাহ.। তিনি আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর নামে দেশ জুড়ে পরিচিত।
জন্ম ও শৈশবকাল
এই মহা মনীষী বৃহত্তর যশোর জেলার তৎকালীন ঝিনাইদহ মাহকুমার শৈলকুপা থানার দিগনগর গ্রামে ইংরেজি ১৯৫৮ সালের ৫ নভেম্বর, বাংলা ১৩৬৫ সালের ১৯ কার্তিক ও হিজরী ১৩৭৮ সালের ২৩ রবিউস সানি বুধবার বিকাল ৪ ঘটিকায় জন্ম গ্রহণ করেন। (সনদপত্রে প্রদত্ত জন্ম তারিখ: ১৯৬১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। তবে প্রকৃত জন্ম তারিখ হলো ১৯৫৮ সালের ৫ নভেম্বর)। ঝিনাইদহ সদরের নরহরিদ্রা হলো তাঁর নিজ গ্রাম। পরবর্তীতে তাঁর পিতা ঝিনাইদহ সদরের ধোপাঘাটা-গোবিন্দপুর গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তাঁর শৈশবের অধিকাংশ সময় কেটেছে মুরারিদহে ‘মিঞার দালান’ খ্যাত বাড়িতে।
শিক্ষা জীবন
তিনি ১৯৬৮ সালে ঝিনাইদহ আলিয়া মাদরাসায় ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৭৩ সালে দাখিল, ১৯৭৫ সালে আলিম এবং ১৯৭৭ সালে ফাযিল পাশ করেন। তারপর তিনি উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন নিয়ে ‘মাদরাসা-ই-আলিয়া, ঢাকা’-তে (কামিল: হাদীস বিভাগ) ১৯৭৭-৭৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন এবং উক্ত বিভাগ থেকে মাদ্রাসা বোর্ডে ৮ম স্থান অধিকার করে সুনামের সাথে কামিল পাশ করেন। ১৯৮১ সালে স্কলারশিপ অর্জন করে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অবস্থিত ইমাম মুহাম্মদ বিন সউদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ লাভ করেন। উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর লিসান্স শেষ হয় ১৯৮৬ সালে, মাস্টার্স সমাপ্ত হয় ১৯৯২ সালে। ১৯৯৮ সালে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
শিক্ষকতা ও কর্মজীবন
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদেই তিনি তাঁর বর্ণাঢ্য ছাত্রজীবনের ইতি টানেন। তারপর ১৯৯৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘আল-হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ’ বিভাগে লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ১৯৯৯ সালে সহকারী অধ্যাপক, ২০০৪ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০০৯ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়ে আমৃত্যু সেই বিভাগেই তিনি কর্মরত ছিলেন।
সামাজিক অবদান
১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি “আল-ফারুক একাডেমী” প্রতিষ্ঠা করেন। বিশুদ্ধ ইসলামী জ্ঞানের প্রচার ও মানবসেবার মহৎ উদ্দেশ্যে ২০১১ সালে “আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর-আস সুন্নাহ ট্রাস্ট” প্রতিষ্ঠা করেন। উক্ত প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ইসলামী শিক্ষা প্রচার, দুস্থ নারী ও এতিম শিশুদের সেবা প্রদান সহ বিভিন্ন ইসলামী ও সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে।
মৃত্যু
২০১৬ সালের ১১ মে তিনি সড়ক দূর্ঘটনায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। আল্লাহ তাঁকে জান্নাতের উচ্চ মর্যাদা দান করুন।
চেয়ারম্যানের বাণী
২০১১ সালের প্রারম্ভে ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ ইসলামের সঠিক জ্ঞান মানুষের নিকট পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠানটি একটি অলাভজনক গবেষণামূলক এবং শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান। যাত্রার শুরু থেকেই এই প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে অগণিত মানুষ বিভিন্নভাবে উপকৃত হয়ে আসছে। শুধুমাত্র ইসলামী জ্ঞানের প্রচার নয় বরং সমাজের দুস্থ্য এবং অবহেলিত মানুষদেরকে সেবা প্রদান করাও এই প্রতিষ্ঠানের একটি মৌলিক কর্ম।
‘সৃষ্টিজগতের রহমত’ স্বরূপ প্রেরিত মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শের প্রচার, এ আদর্শের প্রেরণায় মানবতার সেবা এবং মমতাপূর্ণ সমাজ ও বিশ্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠিত। এর কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে:
আমরা মহান আল্লাহর কাছে তাওফিক কামনা করি যেন আমরা সুন্দরভাবে সুন্নাহর অনুসরনের মাধ্যমে এই দীনি প্রতিষ্ঠানটিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। আসুন আমরা সকলে মিলে এই মহৎ কাজে সাধ্যমত শরীক হই।
উসামা খোন্দকার
চেয়ারম্যান, আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহ.
আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর-আস সুন্নাহ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহ., যিনি ছিলেন এই উপমহাদেশের অন্যতম সেরা আলিম এবং মুজাদ্দিদ।
নাম ও পরিচয়
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহ. একজন প্রখ্যাত আলেম ও বহু গ্রন্থ প্রণেতা ছিলেন। তাঁর পূর্ণ নাম: আবু নসর মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর। তাঁর পিতার নাম খোন্দকার আনোয়ারুজ্জামান রাহ.। তিনি আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর নামে দেশ জুড়ে পরিচিত।
জন্ম ও শৈশবকাল
এই মহা মনীষী বৃহত্তর যশোর জেলার তৎকালীন ঝিনাইদহ মাহকুমার শৈলকুপা থানার দিগনগর গ্রামে ইংরেজি ১৯৫৮ সালের ৫ নভেম্বর, বাংলা ১৩৬৫ সালের ১৯ কার্তিক ও হিজরী ১৩৭৮ সালের ২৩ রবিউস সানি বুধবার বিকাল ৪ ঘটিকায় জন্ম গ্রহণ করেন। (সনদপত্রে প্রদত্ত জন্ম তারিখ: ১৯৬১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। তবে প্রকৃত জন্ম তারিখ হলো ১৯৫৮ সালের ৫ নভেম্বর)। ঝিনাইদহ সদরের নরহরিদ্রা হলো তাঁর নিজ গ্রাম। পরবর্তীতে তাঁর পিতা ঝিনাইদহ সদরের ধোপাঘাটা-গোবিন্দপুর গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তাঁর শৈশবের অধিকাংশ সময় কেটেছে মুরারিদহে ‘মিঞার দালান’ খ্যাত বাড়িতে।
শিক্ষা জীবন
তিনি ১৯৬৮ সালে ঝিনাইদহ আলিয়া মাদরাসায় ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৭৩ সালে দাখিল, ১৯৭৫ সালে আলিম এবং ১৯৭৭ সালে ফাযিল পাশ করেন। তারপর তিনি উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন নিয়ে ‘মাদরাসা-ই-আলিয়া, ঢাকা’-তে (কামিল: হাদীস বিভাগ) ১৯৭৭-৭৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন এবং উক্ত বিভাগ থেকে মাদ্রাসা বোর্ডে ৮ম স্থান অধিকার করে সুনামের সাথে কামিল পাশ করেন। ১৯৮১ সালে স্কলারশিপ অর্জন করে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অবস্থিত ইমাম মুহাম্মদ বিন সউদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ লাভ করেন। উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর লিসান্স শেষ হয় ১৯৮৬ সালে, মাস্টার্স সমাপ্ত হয় ১৯৯২ সালে। ১৯৯৮ সালে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
শিক্ষকতা ও কর্মজীবন
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদেই তিনি তাঁর বর্ণাঢ্য ছাত্রজীবনের ইতি টানেন। তারপর ১৯৯৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘আল-হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ’ বিভাগে লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ১৯৯৯ সালে সহকারী অধ্যাপক, ২০০৪ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০০৯ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়ে আমৃত্যু সেই বিভাগেই তিনি কর্মরত ছিলেন।
সামাজিক অবদান
১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি “আল-ফারুক একাডেমী” প্রতিষ্ঠা করেন। বিশুদ্ধ ইসলামী জ্ঞানের প্রচার ও মানবসেবার মহৎ উদ্দেশ্যে ২০১১ সালে “আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর-আস সুন্নাহ ট্রাস্ট” প্রতিষ্ঠা করেন। উক্ত প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ইসলামী শিক্ষা প্রচার, দুস্থ নারী ও এতিম শিশুদের সেবা প্রদান সহ বিভিন্ন ইসলামী ও সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে।
মৃত্যু
২০১৬ সালের ১১ মে তিনি সড়ক দূর্ঘটনায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। আল্লাহ তাঁকে জান্নাতের উচ্চ মর্যাদা দান করুন।
২০১১ সালের প্রারম্ভে ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ ইসলামের সঠিক জ্ঞান মানুষের নিকট পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠানটি একটি অলাভজনক গবেষণামূলক এবং শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান। যাত্রার শুরু থেকেই এই প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে অগণিত মানুষ বিভিন্নভাবে উপকৃত হয়ে আসছে। শুধুমাত্র ইসলামী জ্ঞানের প্রচার নয় বরং সমাজের দুস্থ্য এবং অবহেলিত মানুষদেরকে সেবা প্রদান করাও এই প্রতিষ্ঠানের একটি মৌলিক কর্ম।
‘সৃষ্টিজগতের রহমত’ স্বরূপ প্রেরিত মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শের প্রচার, এ আদর্শের প্রেরণায় মানবতার সেবা এবং মমতাপূর্ণ সমাজ ও বিশ্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠিত। এর কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে:
আমরা মহান আল্লাহর কাছে তাওফিক কামনা করি যেন আমরা সুন্দরভাবে সুন্নাহর অনুসরনের মাধ্যমে এই দীনি প্রতিষ্ঠানটিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। আসুন আমরা সকলে মিলে এই মহৎ কাজে সাধ্যমত শরীক হই।
উসামা খোন্দকার
চেয়ারম্যান, আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট