আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

সাম্প্রতিক সংবাদ

প্রশ্ন-১৯৩: সাহরির সময় মসজিদের মাইকে কুরআন তিলায়াত ও গযল বলা জায়িয আছে কি না?

প্রশ্ন-১৯৩: সাহরির সময় মসজিদের মাইকে কুরআন তিলায়াত ও গযল বলা জায়িয আছে কি না?

প্রশ্ন-১৯৩: সাহরির সময় মসজিদের মাইকে কুরআন তিলায়াত ও গযল বলা জায়িয আছে কি না?

উত্তর: আমি ষোলো বছর ধরে সংগ্রাম করছি এই নাজায়িয কাজটা বন্ধ করার জন্য। কিন্তু মানুষ শোনে না। সাহরির সময়, ফজরের আযানের আগে ও পরে মসজিদের মাইকে গযল গাওয়া, কুরআন তিলাওয়াত করা পুরোটাই নাজায়িয কাজ। সাহরির জন্য ডাকা জায়িয কাজ। ভালো কাজ। ডাকা মানে কী? আপনি আড়াইটার সময়, তিনটার সময়, সাড়ে তিনটার সময় পাঁচসাত মিনিট ডাকলেন। ‘সাহরির সময় হয়ে গেছে, ওঠেন গো’। ব্যস, হয়ে গেল। একটানা গযল গাওয়া, মাইক বাজানো, কুরআন তিলাওয়াত করা- এটা বিভিন্ন কারণে নাজায়িয। প্রথম কারণ, মসজিদের যে মিনারা এটা শুধু আযানের জন্য।

মসজিদের যে মাইক, এটা আযানের জন্য। সালাতের জন্য। দুই নাম্বার হল, এই ধরনের গান-গযল, কুরআন তিলাওয়াত মানুষকে কষ্ট দেয়। মানুষের হক নষ্ট হয়। হারামের গোনাহ হবে। আপনি ৫/৭ মিনিট ডেকেছেন, আলহামদুলিল্লাহ। এতে কোনো দোষ নেই। যার ওঠার দরকার উঠবে। যে উঠবে না, সে ঘুমিয়ে যাবে। কিন্তু একটানা বাজালে অনেকে অসুস্থ আছে, বৃদ্ধ মানুষ আছে। অনেকে রোযা রাখবে না, অনেকে আছে সাহরি খেয়ে একটু ঘুমায়, ঘুমের থেকে উঠে রিকশা চালাবে। অনেকে তাহাজ্জুদের নামায পড়তে চায়। এই সবগুলো কাজে বাধা দেয়া হয় একটানা মাইক চালিয়ে। কাজেই মাঝে মাঝে ডাকা, আড়াইটার সময় একবার, সাড়ে তিনটার সময় একবার, সাহরির শেষ হওয়ার দশ মিনিট আগে একবার এগুলো ঠিক আছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
আপনার ইমেইল
Print

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.