প্রশ্ন-০২: মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিশ্বনবী কি না? কুরআনের (দাবি) অনুসারে তিনি যদি বিশ্বনবী হয়ে থাকেন তাহলে রিসালাতের দায়িত্ব নিয়ে তিনি কোন কোন দেশে গেছেন?
উত্তর: বিশ্বনবী হতে গেলে সব দেশে যেতে হবে? তাহলে বিশ্বনবী কে? বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি কয় দেশে গেছেন? যিশুখ্রিস্ট কোনো দেশে যাননি, কোনো লোকে যাননি, ইতিহাসে তার নাম নেই, কেউ চেনে না। বিশ্বের কোনো ইতিহাসে নেই। এমনকি খ্রিস্টানরা বলে, এই নামে কেউ ছিলই না। এটা কাল্পনিক। একমাত্র রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিশ্বনবী। কুরআন বারবার বলেছে, তিনি বিশ্বের জন্য প্রেরিত হয়েছিলেন। এবং তিনিই একমাত্র নবী, যিনি তার জাতির বাইরে অন্যদের কাছে দাওয়াত পাঠিয়েছেন। তখনকার দিনের বিশ্ব কী ছিল? একটু পড়াশোনা করেন। তখনকার দিনের বিশ্ব ছিল ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকা।
ইউরোপ শাসন করত রোমান সাম্রাজ্য। পরে ভেঙে দুটো হয়। ওটায় আর যাব না। আফ্রিকার ভেতর পুরোটা জঙ্গল, শুধু আফ্রিকার শেষ মাথায় উত্তরে এসে মিশরটা ছিল সভ্য। আর এশিয়া মহাদেশের ভেতর পারস্য থেকে চীন, ভারত পর্যন্ত সভ্যতা ছিল। মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহই একমাত্র মানুষ, একমাত্র নবী, যিনি নিজের জাতির বাইরে রোমান সম্রাটের কাছে, অর্থাৎ ইউরোপে দাওয়াত পাঠিয়েছেন। আফ্রিকায় দাওয়াত পাঠিয়েছেন। চিঠি দিয়ে লোক পাঠিয়েছেন মিশরের বাদশাহর কাছে। চীন থেকে ভারত পর্যন্ত এশিয়ার মূল ক্ষমতা যার হাতে ছিল, সেই পারস্যের সম্রাটের কাছে দাওয়াত পাঠিয়েছেন। আর কাউকে দেখান তো? নেই।
তিনি বিশ্বনবী এবং নবুওয়াতের দায়িত্ব তিনি পালন করে গেছেন। বাকিটা আমাদের দিয়ে গেছেন। বিশ্ব বড় হবে আমরা দাওয়াত দেব। আর কেউ নিজের জাতির বাইরে, বিশ্বের সকল মহাদেশে দাওয়াত পাঠাননি। যিশুখ্রিস্ট যাননি। বরং যিশুখ্রিস্ট উল্টো বলেছেন। তিনি বলেছেন, আমার জাতি বনী ইসরাঈল ছাড়া সবাই শিয়াল-কুকুর। তাদেরকে দাওয়াত দেয়া যাবে না। এটা ইঞ্জিলের কথা বলছি। আমি বানিয়ে বলছি না।
লেখক: ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহ.