আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

সাম্প্রতিক সংবাদ

লাইলাতুল কাদর বনাম ২৭ রমযান

কুরআন-হাদীসে ‘লাইলাতুল কাদরের’ মর্যাদা ঘোষণা করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘লাইলাতুল কাদ্র’কে নির্দিষ্ট করে দেন নি। রামাদান মাসের শেষ দশ রাত এবং বিশেষ করে শেষ দশ রাতের মধ্যে বেজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কাদর সন্ধান করার নির্দেশ দিয়েছেন। সাহাবী-তাবিয়ীগণের কেউ কেউ ২৭ রামাদান লাইলাতুল কাদর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে উল্লেখ করেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কিছু বর্ণিত হয়নি। কাজেই ‘২৭ রমযানের’ ফযীলতে যা কিছু বলা হয় সবই বানোয়াট বা বিকৃত। 

এরূপ কিছু বাতিল কথা: “হাদীসে আছে,- যে ব্যক্তি রমযানের ২৭ তারিখের রাত্রিতে জাগিয়া এবাদত বন্দেগী করিবে। আল্লাহ তাআলা তাহার আমল নামায় এক হাজার বৎসরের এবাদতের ছওয়াব লিখিয়া দিবেন। আর বেহেশতে তাহার জন্য অসংখ্য ঘর নির্মাণ করাইবেন।… আবূ বকর ছিদ্দীকের প্রশ্নের উত্তরে রাছূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলিয়াছিলেন: রমযানের ২৭ তারিখেই শবে কদর জানিও।… রমযান মাসের ২৭ তারিখের সূর্যাস্ত যাইবার সময় নিম্নলিখিত দোওয়া ৪০ বার পাঠ করলে ৪০ বৎসরের ছগীরা গুনাহ মার্জিত হইবে।”1মাও. গোলাম রহমান, মকছুদোল মো’মেনীন, পৃ. ২৪৫-২৪৮।

অনুরূপ বানোয়াট কথা: “হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, যেই ব্যক্তি রমজান মসের ২৭ তারিখের রজনীকে জীবিত রাখিবে, তাহার আমলনামায় আল্লাহ ২৭ হাজার বৎসরের ইবাদতের তুল্য সাওয়াব প্রদান করিবেন এবং বেহেশতের মধ্যে অসংখ্য মনোরম বালাখানা নির্মাণ করিবেন যাহার সংখ্যা আল্লাহ ব্যতীত কেহই অবগত নন।2মুফতী ছামদানী, বার চান্দে ফযীলত, পৃ. ৩৯; অধ্যাপিকা কামরুন নেসা, নেক কানুন, পৃ. ৩১৫।

বই: হাদীসের নামে জালিয়াতি

ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
আপনার ইমেইল
Print

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.