(১) কুরআন-শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
এ কেন্দ্রে আগ্রহী ইমাম, মুয়াজ্জিন, আলিম বা তালিব-ইলমদেরকে বিশুদ্ধ তিলাওয়াত, অর্থ ও প্রয়োজনীয় মাসাইল শিক্ষাদান পদ্ধতির উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণার্থীদের কিছু ভাতা প্রদান করা হয়। সফলভাবে উত্তীর্ণদেরকে আকর্ষণীয় পুরস্কার দেওয়া হয়। এছাড়া তাদেরকে কুরআন শিক্ষা মকতব প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করা হয়।
(২) ইমাম প্রশিক্ষণ ও সহায়তা প্রকল্প
সমাজ উন্নয়নে ইমামগণের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুসলিম সমাজ সামগ্রিকভাবে মসজিদ কেন্দ্রিক। আমাদের সমাজে প্রায় ২০-২৫% মুসলিম নাগরিক নিয়মিত/অনিয়মিত মসজিদে যান। যারা মসজিদে যান না তারাও বিভিন্ন উপলক্ষ্যে ইমাম সাহেবের সাথে সম্পর্ক রাখেন ও তাদেরকে শ্রদ্ধা করেন।
একজন উচ্চশিক্ষিত ও মুত্তাকী ইমাম তাঁর এলাকার মানুষদের মধ্যে বিশুদ্ধ ধর্মীয় ও মানবীয় মূল্যবোধ প্রচারে এবং ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক দুর্নীতি ও অবক্ষয় রোধে সর্বোচ্চ অবদান রাখতে পারেন। দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদকাসক্তি, যৌতুক, নারী-নির্যাতন, ইভটিজিং ইত্যাদির প্রতিরোধে কোটি-কোটি টাকার প্রচার, সেমিনার, র্যালি ইত্যাদির চেয়ে ইমামগণের উপদেশ ও ওয়ায-নসীহত অনেক বেশি কার্যকর।
কিন্তু দুঃখজনক
হলেও ইমামগণ এক্ষেত্রে পূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারছেন না। আমাদের দেশে মুসলিমগণ মসজিদ নির্মাণে অকৃপণভাবে দান করেন। তবে মসজিদের জন্য একজন ভাল, উচ্চশিক্ষিত যোগ্য ইমাম নিয়োগে আমরা অত্যন্ত কৃপণ। অথচ যথাসম্ভব উচ্চশিক্ষিত ও মুত্তাকী ইমামের মাধ্যমে মসজিদে সর্বোত্তম খুতবা, ওয়ায, কুরআন শিক্ষা ও মাসলা-মাসাইল শিক্ষার ব্যবস্থা করাই মসজিদ আবাদ রাখার মূল বিষয়। ইমামগণকে তাদের যথাযোগ্য ভূমিকা পালনে সহায়তার জন্য আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
প্রথমত: ইমামগণকে সমকালীন সমাজমুখি ও জীবনঘনিষ্ট বিষয়াদিতে কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক খুতবা ও আলোচনার বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান। দ্বিতীয়ত: ইমামগণকে গবেষণা-কর্মে সহায়তা। তৃতীয়ত: আগ্রহী মসজিদ কমিটিকে উচ্চশিক্ষিত যোগ্য ইমাম নিয়োগ ও সম্মানী প্রদানের ক্ষেত্রে সহায়তা ও অনুদান প্রদান।