আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

সাম্প্রতিক সংবাদ

নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য গুদামজাত করা নিষিদ্ধ ও পাপ

যে বিশ্বে মানুষকে খাদ্য বঞ্চিত করে বায়োডিজেল উৎপন্ন করা হচ্ছে। যে বিশ্বে মুক্ত বাজার অর্থনীতির নামে খাদ্যের উপরে বহুজাতিক কোম্পানিগুলির কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা হচেছ। যে বিশ্বে খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধির জন্য মানুষের খাদ্য সমূদ্রে ফেলে দেওয়া হচ্ছে সে বিশ্বে বিশ্ব খাদ্য দিবসে কি বা মূল্য আছে।

সকল মানুষের জন্য খাদ্যকে সহজলভ্য করতে ইসলাম খাদ্যদ্রব্য গুদামজাত বা মজুদদারি করা নিষিদ্ধ করেছে। মানুষের কষ্ট প্রদানের একটি বিশেষ দিক দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করা বা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে খাদ্যদ্রব্য গুদামজাত করে রাখা। হাদীস শরীফে এরূপ করাকে সুস্পষ্ট কঠিন পাপ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

অনেক ধার্মিক মুসলিম তার সম্পদের যাকাত প্রদান করেন। কিন্তু না জানার কারণে হয়ত মজুদদারীর মাধ্যমে কঠিন পাপে নিপতিত হন। রাসূলুল্লাহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: مَنْ احْتَكَرَ فَهُوَ خَاطِئٌ. لا يَحْتَكِرُ إِلا خَاطِئٌ “যে ব্যক্তি গুদামজাত করে সে ব্যক্তি পাপী। একমাত্র পাপী ব্যক্তি ছাড়া কেউ গুদামজাত করে না।”

এ হাদীস থেকে স্পষ্টতই বুঝা যায় যে, ব্যবহারের প্রয়োজন ছাড়া যে কোনো প্রকারের পণ্য যে কোনো উদ্দেশ্যে গুদাজাত করে আটকে রাখা নিষিদ্ধ ও পাপ। আর যদি এরূপ গুদামজাতকৃত পণ্য খাদ্য বা জনগণের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য হয়। আর গুদামজাতের উদ্দেশ্য দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে কষ্ট দিয়ে নিজের কিছু কামাই করা হয়। তবে তা নিঃসন্দেহে মুমিনের ঈমানের দাবি ও ইসলামী মূল্যবোধের সাথে সাংঘর্ষিক।

অন্য হাদীসে বলা হয়েছে:
نَهَى رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلام أَنْ يُحْتَكَرَ الطَّعَامُ
“রাসূলুল্লাহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খাদ্য জাতীয় পন্য গুদামজাত করতে নিষেধ করেছেন।”

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
আপনার ইমেইল
Print

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.