আমার স্বামী আমাকে প্রায়ই আমার বাবার বাড়ি থেকে কি দিলো না দিল এগুলা নিয়ে খোটা দেয়।বিয়ে হয়েছে মাত্র তিন মাস হয়েছে কিন্তু এর মধ্যে এসে যতবারই কারো কাছ থেকে শুনেছে যে কেউ তার বউয়ের বাপের বাড়ি থেকে কিছু পেয়েছে তখনই সে আমাকে কথা শুনিয়েছে এবং তুলনা করে অনেক কষ্ট দিয়েছে।বেশিরভাগ সময়ই আমি কিছু বলি না এবং এটা বলি যে আমাকে তো এখনো উঠিয়ে দেয়নি, যখন দিবে তখন আমার পরিবারও যা দেওয়ার দিবে। তার মতে শুধু ছেলে পক্ষকেই মেয়ে পক্ষরা দেয়। কয়েকদিন আগে সে আবার আমাকে খোটা দেয় যে আমার বাবা মা দূরে বিয়ে দিয়ে বেঁচে গেছে, কোন গিফট পাঠাতে হচ্ছে না। অমুকে শ্বশুরবাড়ি থেকে এই এই জিনিসপত্র দিয়েছে। আমি প্রতি উত্তরে শুধু এটা বলি যে আপনারাও তো বেঁচে গেছেন, আমি এটা বুঝাতে চেয়েছি যে আমাদের এখানেও এরকম অনেক নিয়ম-কানুন আছে যেটা সমাজের তৈরি। আপনাদেরকে তো আমরা ওগুলা পূরণ করার জন্য প্রেসার দিচ্ছি না। আমার কথার মধ্যে কোন বেয়াদবির ভাব বা সুর ছিলনা।আমি শুধুমাত্র ওই কথাটা বলাতে সে বলছে আমি তার সাথে বেয়াদবি করেছি। এরপর শুরু হয় আমাকে আর আমার ফ্যামিলিকে গালিগালাজ। আমি সবসময় এগুলো শুনি কিন্তু কিছু বলি না। প্রতিউত্তরে এবার আমি বলেছি যে আল্লাহর কাছে যে কি জবাব দিবেন। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে উনি যেটাকে বেয়াদবি বলছে আর যেটা আমার কাছে বেয়াদবি লাগছে না সেটা কি আসলেই ইসলামের দৃষ্টিতে বেয়াদবি? স্বামী যদি কোন অন্যায় কথা বলে তাহলে তার প্রতি উত্তরে কিছু বলার কি স্ত্রীর অধিকার নাই? ইসলামকে আমাদেরকে শুধু বোবা হয়ে থাকতে বলে? ব্যাপারটা কি এমন যে আমার স্বামী আমাকে কষ্ট দিয়ে খালি কথা বলেই যাবে আর আমি প্রতি উত্তরে কিছুই বলতে পারব না, আর বললেই সেটা বেয়াদবি?