As-Sunnah Trust

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 7264

হাদীস

প্রকাশকাল: 3 May 2025

প্রশ্ন

ফযজরের নামাজের পর সেখানে বসে নামাজের নিষিদ্ধ সময় শেষ হওয়া পর্যন্ত জিকির করে পরে ২ রাকাত নামাজ পরলে কবুল হজের সওয়াব পাওয়া যাবে।

প্রশ্ন ১: এই ২ রাকাত কি ইশরাকের নামাজ নাকি আলাদা ২ রাকাত পরতে হবে?

প্রশ্ন ২ :  কিন্তু মসজিদে নামাজ আদায় ইশরাকের নামাজ র্পর্যন্ত বসে থাকার সূযোগ থাকেনা। মসজিদে বন্ধ করে দেয়।  ঘরে এসে বাকি আমল করলে কি কবুল হজের সওয়াব পাওয়া যাবে?

উত্তর

এই বিষয়ে হাদীসটি হলো
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ مَنْ صَلَّى الْغَدَاةَ فِي جَمَاعَةٍ ثُمَّ قَعَدَ يَذْكُرُ اللَّهَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ كَانَتْ لَهُ كَأَجْرِ حَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ تَامَّةٍ تَامَّةٍ تَامَّةٍ ‏”‏ ‏.‏
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জামাআতের সাথে ফজরের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে সূর্যোদয় পর্যন্ত সেখানে বসে আল্লাহর যিকর করবে এবং এরপর দু’রাকআত সালাত আদায় করবে, তার জন্য একটি হজ্জ ও উমরা পালনের সওয়াব হবে। আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহ বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ঐ ব্যক্তির জন্য হজ্জ ও উমরার পরিপূর্ণ সওয়াব হবে, পরিপূর্ণ সওয়াব হবে, পরিপূর্ণ সওয়াব হবে। সুনানু তিরমিযী, হাদীস নং ৫৮৬্
 উক্ত হাদীসে আমরা দেখছি দুই রাকআত নামায আদায় করতে হবে। এটাকেই অনেকেই ইশরাকের নামায বলে। মসজিদ পুরোপুরি বন্ধ করে দিলে বাসায় এসে পড়বেন। ইনশাআল্লাহ ফজিলত পাবেন। তবে মসজিদ পুরোপুরি বন্ধ করা ঠিক নয়। বারান্দা বা কিছু জায়গা মানুষের প্রয়োজনে খুলে রাখা দরকার।