আল্লাহ আপনার দোয়া কবুল করুক। ১.ইসলামে কবর পাকা করা নিষিদ্ধ যা অনেক সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। হাদীসে নববীর এই শিক্ষার আলোকেই কোন সাহাবী কবর পাকা করেননি,বরং পাকা উঁচু কবর সমান করে দিতেন। কিন্তু নবী সা.এর কবরের ইতিহাস একটু ভিন্ন। সংক্ষেপে বলছি, নবীগণের ব্যাপারে নিয়ম হল, যেখানে তারা মারা যান তাদেরকে সেখানেই দাফন করতে হয়,এ বিষয়ে কিছু হাদীস রয়েছে। রাসুল সা. তার বিবি হযরত আয়েশা রা. গৃহে ইন্তেকাল করেছেন,তাই তাকে সেখানেই দাফন করা হয়। এবং রাসূল সা. এর ইন্তিকালের পর থেকে আমরণ (৫৮হি.) তিনি সেই ঘরেই ছিলেন,কারন তার অন্য কোন ঘর ছিল না। হযরত আয়েশা( রা.) এর ঘর ছিল, মদিনার মসজিদে নববীর দক্ষিন পূর্ব পাশে, একেবারে মসজিদের দেয়ালের সাথে। ইসলামের প্রচার – প্রসারের সাথে সাথে মসজিদের মুসল্লির সংখ্যা বাড়তে থাকে,যার কারণে মসজিদে নববী সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। ওমর রা. ও ওসমান রা. এর খেলাফতের সময়ে মসজিদে নববী উত্তর,দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকে বাড়ানো হয়,কিন্তু পূর্ব দিকে নবী সা. এর বিবিদের ঘর থাকার কারণে তা বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়নি। পরবতীর্তে নবী সা. এর সকল বিবিদের ইন্তেকালের পর বিশিষ্ট তাবেয়ী ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ রাহ মদীনার মসজিদে নববীর পূর্বদিকে বৃদ্ধি করেন,এতে নবী সা. এর কবর মসজিদের ভিতরে চলে আসে।আর নবীজীর কবরের উপর সর্বপ্রথম গুম্বুজ দেওয়া হয় ৬৭৮ হি. সুলতান মানসুরের নির্দেশে। মূলতঃ বলা যায় মসজিদের গুম্বুজ দিতে গিয়ে কবরের উপরে একটি পড়ে যায়। আর তাঁর কবরের উপর মাটি আছে। কবর মূলত পাকা নয়্ আশা করি উত্তর পেয়েছেন। আল্লাহ ভাল জানেন। ২.বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বলে শুরু করা ইহা আল্লাহর কালাম হওয়ার বিষয়ে সংশয়ের প্রশ্নই আসে না,কারনঃ মহান আল্লাহ কোরআনের আরো অনেক জায়গায় বলেছেনঃ কালাল্লাহু (আল্লাহ তায়ালা বলেন)। মূলতঃআল্লাহ তায়ালা এখানে নিজ সত্তাকে থার্ড পারসন হিসেবে উল্লেখ করেছেন,যা প্রত্যেক ভাষায় ব্যবহার হয়। আশা করি উত্তরটা বুঝতে পারবেন। মহান আল্লাহ ভাল জানেন।