As-Sunnah Trust

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 793

হজ্জ

প্রকাশকাল: 1 Apr 2008

প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম। আমার প্রশ্ন হল আমি হজ্জের প্রশিক্ষনের একটি ভিডিওতে শুনলাম trainer বললেন যে মুজদালিফাতে রাত্রিযাপন কালে যেহেতু তাহাজ্জুত সালাত নেই, তাই বিতিরও পড়তে হবে না, যেহেতু বিতির সালাত তাহাজ্জুতেরই অংশ। বিষয়টির সহিহ কিনা জানতে চাই (যেহেতু বিষয়টি আমার কাছে নতুন মনে হল তাই প্রশ্ন করলাম) যাযাকুমুল্লাহ, জিয়া

উত্তর

ওয়া আলাইকুমুস সালাম। মুজদালিফাতে রাত্রীযাপন কালে বিতর নামায পড়তে হবে বলে অধিকাংশ আলেম বলেছেন। শায়খ আলবানীসহ কিছু আলেম বলেছেন পড়া লাগবে না। তবে পড়ার ভিতরেই অধিক সতর্কতা। যারা বলেন পড়া লাগবে না তাদের দলীল: হযরত জাবের রা. বলেন, أَتَى الْمُزْدَلِفَةَ فَصَلَّى بِهَا الْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ بِأَذَانٍ وَاحِدٍ وَإِقَامَتَيْنِ وَلَمْ يُسَبِّحْ بَيْنَهُمَا شَيْئًا ثُمَّ اضْطَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- حَتَّى طَلَعَ الْفَجْرُ অর্থ: রাসূলুল্লাহ সা. মুজদালিফাতে এসে মাগরিব ও এশার সালাত এক আজান এবং দুই ইকামতে আদায় করলেন। দুই সালাতের মাঝে তিনি আর কোন সালাত আদায় করেন নি। এরপর রাসূলুল্লাহ সা. ঘুমালেন। এভাবে ফজর হয়ে গেল। … সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩০০৯। এই হাদীসে এশার সালাতের পর ঘুমিয়েছেন বলে উল্লেখ আছে। তাই এই আলেমগণ মনে করছেন তিনি বিতর সালাত পড়েন নি। অবশ্য স্পষ্টভাবে উল্লেখ নেই যে, তিনি বিতর সালাত আদায় করেন নি। আব্দুল্লাহ বিন বাযসহ অধিকাংশ আলেমের মতে পড়তে হবে। দলীল: আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন أَوْصَانِي خَلِيلِي صلى الله عليه وسلم بِثَلاَثٍ صِيَامِ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ وَرَكْعَتَيِ الضُّحَى ، وَأَنْ أُوتِرَ قَبْلَ أَنْ أَنَامَ অর্থ: রাসূলুল্লাহ সা. আমাকে অসিয়ত করেছেন তিনটি জিনিসের অসিয়ত করেছেন (অন্য বর্ণনায়: কখনো না ছাড়ার অসিয়ত করেছেন)। ১. প্রতি মাসে তিনিটি করে রোজা। ২.ফজরের পূর্বের দুই রাকআত সালাত। ৩. ঘুমের পূর্বে বিতর সালাত। সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৯৮১। এই হাদীসে বিতরের কথা বলা হয়েছে কোন সময় ছাড়া যাবে না। এই হাদীস থেকে আরো একটি বিষয় বুঝে আসছে। তা হলো বিতর তাহাজ্জুদের অংশ নয়। অন্য হাদীসে রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, مَنْ خَافَ أَنْ لاَ يَقُومَ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ فَلْيُوتِرْ أَوَّلَهُ وَمَنْ طَمِعَ أَنْ يَقُومَ آخِرَهُ فَلْيُوتِرْ آخِرَ اللَّيْلِ যে ব্যক্তি ভয় করবে যে, সে শেষ রাত্রে উঠতে পারবে না সে যেন প্রথম রাত্রেই বিতর পড়ে আর যে আশা করে যে, সে শেষ রাত্রে উঠতে পারবে সে শেষ রাত্রে বিতর পড়বে। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৮০২। এই হাদীসে স্পষ্ট বলা হয়েছে প্রথম রাত্রেও বিতর পড়া যায় সুতরাং রাসূলুল্লাহ সা. যে বিতর পড়েন নি তাওতো স্পষ্ট বলা যাচ্ছে না। তাছড়া ঐ হাদীসে স্পষ্ট নেইও যে, তিনি বিতর পড়েন নি। এই সব দলীলের ভিত্তিতে অধিকাংশ আলেম বলেন, সব সময়ই বিতর সালাত আদায় করতে হবে। আল্লাহ ভাল জানেন।