ওয়া আলাইকুমুস সালাম। ভাই, তাহলে তো আপনার ঐ ভাই ছাড়া কুরআন কেউ বুঝে নাই আর আপনার ঐ ভাইয়ের নামায ছাড়া পৃথিবীর কোন মুসলিমের নামায হয় না। আর আপনার ঐ ভাই যদি মসজিদে নামায পড়ে তাহলে তার নামযও হবে না কারণ তার মতানুযায়ী ইমাম সাহেবেরও ওযু হয়নি । আসলে তিনি কুরআন বুঝেন নি। আরবী ভাষা সম্পর্কে তার কোন জ্ঞানও নেই। তিনি যদি কুরআনের গ্রহনযোগ্য কোন তরজামাও পড়তেন তাহলেও এই মসস্যা হতো না। কুরআনে শুধু অঙ্গের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে গিয়ে মাথা মাসেহ পর পায়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যার আরবী ভাষার সামান্য জ্ঞান আছে সে বুঝতে পারবে যে, মুখ ও হাত ধোয়ার বিধানের সাথে পা ধোয়ার বিধান একত্রিত হবে, কারণ এই তিনটি অঙ্গের ইরাব ( আরবী ব্যকরণ অনুযায়ী যের যবার পেশ ইত্যাদী দেয়ার বিধান) এক। প্রতিটিই নসব হয়েছে (এখনে নসব হয়েছে যবর দ্বারা)। আর মাথার ইরব ভিন্ন। মাথার ইরাব হয়ে হয়েছে জ্বর দ্বারা ( এখানে জ্বর হয়েছে যের দ্বারা। আপনিও আরবী জানা কারো সহযোগিতা নিয়ে বিষয়টি দেখতে পারেন। সুতরাং সবার নামাযই হয় শুধু তার নামাযই হয় না। তবে আপনাকে বলে রাখি পথভ্রষ্ট শিয়ারা কুরআন এই বিধানটি অপব্যাখ্যা করেন, বলেন পা মাসেহ করতে হবে, আপনার ঐ ভাই শিয়া হয়ে গেল কিনা বা শিয়াদের কারো খপ্পরে পড়লো কিন সেটাও কিন্তু দেখার বিষয়। আর আপনি আয়াতের যে অনুবাদ দিয়েছেন তা সঠিক নয়। গ্রহনযোগ্য কোন অনুবাদে এমন অনুবাদ করা হয় নি। অনুবাদ কেমন হবে দেখুন: তোমরা যখন নামাযের জন্য দাঁড়াবে তোমরা তোমাদের (পুরো) মুখমন্ডল ও কনুই পর্যন্ত তোমাদের হাত দুটো ধুয়ে নেবে, অত:পর তোমাদের মাথা মাসে করবেে এবং পা দুটো গোড়ালী পর্যন্ত (ধুয়ে নেবে)। কোরআন শরীফ, সহজ সরল বাংলা অনুবাদ, হাফেজ মুনির উদ্দিন আহমাদ। আল কোরআন একাডেমী লন্ডন। আরো একটি অনুবাদ দেখুন: তোমরা যখন নামাযের জন্য উঠবে তখন নিজেদের চেহারা ও কনুই পর্যন্ত নিজেদের হাত ধুয়ে নিবে, নিজেদের মাথাসমূহ মাসেহ করবেে এবং টাখনু পর্যন্ত নিজেদের পা (-ও ধুয়ে নেবে)। । তাফসীরে তাওযীহুল কুরআন, মূল: শায়খ ত্বকী উসমানী, বঙ্গানুবাদ: মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম। মাকতাবাতুল আশরাফ, ঢাকা।