ওয়া আলাইকুমুস সালাম। ভাই, আপনি একসাথে ৮টি প্রশ্ন করেছেন। আগামীতে একসাথে দুইটির বেশী প্রশ্ন করবেন না। প্রশ্ন বেশী হলে উত্তর যথাযথভাবে দেয়া অনেক সময় সম্ভব হয় না। চারটি প্রশ্নের উত্তর দিলাম।বাকীগুলো আবার করবেন।
১।ইমামের সাথে রুকু পেলেই মুক্তদি রাকআত পেয়েছে বলে গণ্য হবে। তাসবীহ পরিমান শর্ত নয়। সকল আলেম ও ইমাম এই বিষয়ে একমত যে, রুকু পেলেই রাকআত পেয়েছে বলা ধরা হবে। বর্তমানে কিছু মানুষ না বুঝে বলছে সূরা ফাতিহা না পড়ে শুধু রুকু পেলে রাকআত পাওয়া হবে না । এটা সম্পূর্ণ ভুল কথা। এই বিষয়ে দলীলসহ বিস্তারিত জানতে আমাদের দেয়া ০০৬৮ নং প্রশ্নের উত্তর দেখুন। ২। আপনি তাশাহুদু ধীরে ধীরে পড়বেন যেন ইমামের সালাম ফিরানো পর্যন্ত পড়তে পারেন। আর সবগুলো পড়লেও নামাযেন কোন ক্ষতি হবে না। ৩। পড়লে শুধু সূরা ফাতিহা পড়বেন। অন্য কোন সূরা পড়বেন না। তবে কোন কিছু না পড়লেও নামায হবে বলে অনেক আলেম মত দিয়েছেন। ৪। জ্বী, জুমুআর দিন ফরজ নামাযের পূর্বে চার রাকআত সুন্নাত পড়া সহীহ হাদীস সম্মত । জুমুআর ফরজ নামাযের আগে সুন্নাত পড়ার বিষয়ে স্যার রহ. এর ইন্তেকালের পূর্বে একটি প্রশ্নের উত্তর তাঁর তত্ববধানে দেয়া হয়েছিল। সেটা এখন আপনার জন্য দিয়ে দিলাম। এখানে বিস্তারিত আলোচনা আছে। রাসূলুল্লাহ সা. জুমুআর ফরজ সালাতরে র্পূবে সুন্নাত সালাত আদায়রে জন্য বলছেনে। সহীহ বুখারীর এই হাদীসটি লক্ষ করুন:
عَنْ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم : مَنِ اغْتَسَلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَتَطَهَّرَ بِمَا اسْتَطَاعَ مِنْ طُهْرٍ ثُمَّ ادَّهَنَ ، أَوْ مَسَّ مِنْ طِيبٍ ثمَّ رَاحَ فَلَمْ يُفَرِّقْ بَيْنَ اثْنَيْنِ فَصَلَّى مَا كُتِبَ لَهُ ثُمَّ إِذَا خَرَجَ الإِمَامُ أَنْصَتَ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجُمُعَةِ الأُخْرَى
সালমান ফারসী রা. থকেে র্বণতি, তনিি বলনে, রাসূলূল্লাহ সা. বলছেনে, যে ব্যক্তি জুমুআর দনি ভালভাবে গোসল করে তলে বা সুগন্ধি ব্যবহার করে (মসজদি)ে গমন করবে অতঃপর (মসজদি)ে কাউকে না ডঙিয়িে সাধ্যানুযায়ী নামায পড়বে এবং যখন ইমাম খুতবা দয়োর জন্য বরে হবে তখন চুপ করে তা শুনব,ে তার এক জুমুআ থকেে অপর জুমুআর মাঝরে সব গুনাহ মাফ করে দয়ো হব। ে
সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৯১০। এই হাদীসে রাকআত সংখ্যা নর্দিষ্টি করা হয় ন। ি আলমেগণ বলছেনে দুই রাকআত থকেে শুরু করে যত ইচ্ছা পড়ব,ে যত বশেী পড়বে সওয়াব ততো বশেী হব। ে
রাকআত সংখ্যার ব্যাপারে বভিন্নি সাহবী থকেে বভিন্নি সংখ্যা র্বণতি আছ। ে দুই রকআত. চার রাকআত ইত্যাদ। ি চার রাকআতরে বষিয়ে নচিরে হাদীসটি লক্ষ্য করুন:
عبد الرزاق عن الثوري عن عطاء بن السائب عن أبي عبد الرحمن السلمي قال كان عبد الله يأمرنا أن نصلي قبل الجمعة أربعا وبعدها أربعا حتى جاءنا علي فأمرنا أن نصلي بعدها ركعتين ثم اربعا. র্অথ: ( তাবঈে) আবু আব্দুর রহমান আস-সুলামী বলনে, সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. আমাদরেকে জুমুআর র্পূবে চার রাকআত এবং পরে চার রাকআত নামায পড়ার নর্দিশে দয়িছেনে। এরপর আলী রা. আমাদরেকে জুমুআর পর প্রথমে দুই রাকআত এরপর চার রাকআত পড়ার নর্দিশে দয়িছেনে। মুসান্নাফু আব্দুর রায্যাক, হাদীস নং ৫৫২৫। এই হাদীসটরি বষিয়ে শায়খ আলবানী রহ. বলছেনে,
وهذا سند صحيح لا علة فيه
র্অথ: এটা সহীহ সনদ, তাতে কোন সমস্যা নইে।সলিসলিাতুয যয়ীফাহ, ১০১৬ নং হাদীসরে আলোচনা। উক্ত সহীহ হাদীসটি দ্বারা আমারা জানতে পারলাম য,ে প্রখ্যাত সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. চার রাকআত ক্ববলাল জুমুয়া পড়ার আদশে দয়িছেনে। উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা আমরা বুঝলাম য,ে জুমুআর আগে নামায সুন্নাত, তবে রাসূলুল্লাহ সা. থকেে রাকআত সংখ্যা বষিয়ে কোন কছিু র্বণতি হয়ন। ি সুতরাং যে যতটুকু ইচ্ছা করে ততোটুকু পড়তে পার। ে একজন সাহবী থকেে চার রাকআত পড়ার নর্দিশে এসছেে তাই নঃিসন্দহেে বলা যায় চার রাকআতও পড়া যায় এবং এটাও সুন্নাত। জুমুআর পরে সুন্নত নামায সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমানতি। সুতরাং জুমুআর পরে নামায পড়া সুন্নাত। আমাদরেকে সুন্নাতরে অনুস্বরণ করতে হবে।