আমার বাবা ছোট বেলা থেকেই আমাদেরকে বিভিন্ন সময় বাইরের মানুষের সামনে হেয় প্রতিপন্ন করে কথা বলেন, বাজেভাবে সম্মোধন করেন (যেমন: বান্দর, ছাগল, আমাকে একবার হাবা বলছিল মানুষের সামনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে)। উনি একজন শিক্ষিত মানুষ। আমাদের বিভিন্ন দোষ ত্রুটি বাইরের মানুষকে বলেন। এমনকি আম্মুকেও বিভিন্ন সময় বাইরের মানুষের সামনে মুখের কথা দিয়ে অপমান করেন। এর জন্য আমি বিভিন্ন সময়ই মানসিকভাবে কষ্ট পেয়েছি।মাঝে মাঝে এগুলো নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগি।
আমাদের বাসায় শুক্রবারে পারিবারিক বৈঠক হয়।আম্মু উনার এই ধরনের আচরণে বিরক্ত হয়ে বৈঠকে অংশগ্রহণ করে না। উনি পারিবারিক বৈঠকে কুরআন এবং হাদিস নিয়ে আলোচনা করেন। রাসুলদের জীবনী, তাদের আদর্শ নিয়ে আলোচনা করেন। আমি যখন বলি আপনার আচরণ তো কুরআন সুন্নাহ সমর্থন করে না। এভাবে মানুষের সামনে হেয় প্রতিপন্ন করা, কটু কথা শোনানোতে তো আপনার সম্মান বাড়ছে না। এটা ইসলাম সমর্থন করে না। আমরা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। আগে এসব বলতাম না কিন্তু এখন মাঝে মাঝে বলি। উনি আমার কথা মানতে চান না। বলেন যে বাবা-মা যা বলে বা করে সন্তানের ভালোর জন্যই করে। এভাবে ওনার দোষ ধরলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব। উনি একবারও উনার এই ধরনের আচরণকে দোষ হিসেবে কবুল করেন না।এখন আমার কি উনার এই ধরনের আচরণের প্রতিবাদ কর উচিত নাকি প্রতিনিয়ত এই ধরনের আচরণ মেনে নেয়া উচিত? ইসলাম এই ব্যাপারে কি বলে?