আস-সালামু আলাইকুম। আমার বয়স ২২। আমি নামাজের প্রতি উদাসীন ছিলাম। ইসলামের বিভিন্ন দিক গুলো জানলেও সেভাবে মেনে চলতাম না। রমজান মাসের আগে থেকেই আমি নিজের ভেতরে পরিবর্তন লক্ষ্য করি। আমি নিয়মিত নামাজ শুরু করি। রমজান মাসে পূর্ণ রোজা পালন করি।
আমার এলাকার মসজিদে শুক্রবারে এবং বিভিন্ন সময়ে মিলাদ কিয়াম এর আয়োজন হয়। সবাই মিলে দাঁড়িয়ে নবির প্রতি দুরুদ পাঠ করে। প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর সম্মলিত মোনাজাত করে। মোনাজাত কে নামাজের অংশ মনে করে।এছাড়াও আরো অনেক সুন্নাহ বহির্ভূত কাজ করে। আমি অনেক আগে থেকেই এ বিষয়ে ড. খোন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যার সহ অনেক শায়েখের মতামত শুনেছি। সেজন্য আমি ফরজ নামাজের পর সম্মলিত মোনাজাত এবং মিলাদ কিয়াম কোনটাই পালন করিনা। এজন্য আমার অগোচরে আমাকে নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনা হয়।
আমি তাদেরকে এ বিষয়ে বুঝিয়েছি কিন্তু কোন কাজ হয়নি। এছাড়া আমাদের মসজিদের ইমাম তাবিজের মাধ্যমে চিকিৎসা করে।আমি আমার এলাকার অনেককেই তাবিজ সম্পর্কে বুঝিয়েছি যে এটা অনেক বড় গুনাহ।শিরকেরব পর্যায়ের কাজ। তারা আমাকে বলে ইমাম সাহেব তাবিজ দিছে। আমার কথার কোন গুরুত্ব তাদের কাছে বহন করেনা।এমন অনেকে আছে যারা তাদের বাচ্চাদের তাবিজের মাধ্যমে চিকিৎসা করে আবার ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে। আমি মাঝে মাঝে তাদের ব্যাপারে চিন্তিত হই যে এরা ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েও এত বড় গুনাহ করছে যা তারা বুঝছে না। আমি তাদের কে অনেকবার বুঝাতে চেষ্টা করেছি কিন্তু তারা বোঝে না। আমার গ্রামের লোকদর সঠিক পথে পরিচালনা করার জন্য আমি কি কি করতে পারি?
আমার একটি মেয়ের সাথে হারাম সম্পর্ক ছিল প্রায় ৩ মাস। আমাদের শুধু ফোনে কথা হতো।এর চেয়ে বেশি কিছু হয়নি।আমি আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর ভয়ে সে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসেছি।কিন্তু সে আমাকে বলেছে সে আমাকে কখনো ক্ষমা করবে না।আমি আল্লাহর কাছে এটার জন্য অনুতপ্ত হই এবং ক্ষমা চাই।আমি কি এখানে কোন বান্দার হক নষ্ট করেছি।ওই মেয়ে যদি আমাকে ক্ষমা না করে তাহলে কি পরকালে এর জন্য আমাকে শাস্তি পেতে হবে?
অনুগ্রহ করে আমার প্রশ্ন দুটির উত্তর দিবেন।